শোয়ার ঘরের জানালা গরমের রাতে খোলা না-রেখে পারি না আমরা।
ম্যগনোলিয়া ফোটে। আর জীবনও গড়াতে শুরু করে।
প্রিয় স্বামী আমার তর্জন-গর্জন করতেই থাকে ঘরে
আর রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়ে, ব্লেডের ধার বরাবর
বেশ্যাদের সন্ধানে দিকবেদিক ছুটে আর ছুটে।
পাগলটা তার বউকে খুনই করে ফেলবে হয়তো,
মাতাল না-হওয়ার প্রতিজ্ঞা করবে কেবল তারপরেই।
হায়রে একঘেয়ে ছোটলোকী কামুকতা তার...
অবিচার, অবিচার এসব... আগাপাশতলাই সে বিবেচনাহীন।
হুইস্কী-পাগল, হামবড়া ভাব নিয়ে পাঁচটায় ঘরে ফেরা।
আমার কেবল একটাই চিন্তা কিভাবে-যে বাঁচবো আমি।
কী তাকে এমন ব্যস্ত রাখে? এখন প্রতিরাতেই
দশ ডলার আর তার গাড়ির চাবি আমার জংঘায় আমি বেঁধে রাখি...
প্রাক-বার্ধক্যে তার চাহিদার চূড়ন্তাসংকটে ফেঁসে গিয়ে
নিয়ন্ত্রণহারা হাতির মতো সে উঠে আসে আমার ওপর।