‘আমরা পত্রিকাটি যে দামে কিনেছি তা বলতেও লজ্জা লাগে। এই টাকা দিয়ে একটি নতুন কাগজও শুরু করা যেতো,' মন্তব্য করেন নূর আলী।
বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে অন্যতম চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা ঘটলো সম্ভবত আমাদের সময় এবং নাঈমুল ইসলাম খানকে নিয়ে। নৈতিকতার মানদণ্ডে অনেক আগেই পচে গলে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকা নাঈমুল ইসলাম খানের যে পরিণতি হয়েছে, তা তাঁর প্রাপ্যই ছিলো। কিন্তু আজকের সংবাদ সম্মেলনে নূর আলীর একটি বক্তব্য পড়ে আমার মনে হলো, শুধু নাঈমুল ইসলাম খান নয়, নূর আলীরও মনে হয় এমনটাই পাওনা ছিলো! কিংবা কে জানে, হয়তো আরো বেশি পাওনা রয়ে গেছে তাঁদের দুজনেরই!
তারপরেও বোঝা গেলো, অনেক পরে হলেও নূর আলীর বোধোদয় হয়েছে। নাঈমুল ইসলাম খানের হাতে যে টাকা তিনি তুলে দিয়েছেন, তা বলতে যখন তার লজ্জ্বা লাগছে, তখন বোঝাই যায়, বিষয়টি তার উপলব্ধিতে এসেছে। এই টাকা দিয়ে যে নতুন একটি কাগজ শুরু করা যেতো, তা তিনি এখন টের পাচ্ছেন! বোধোদয়টা তাহলে হলো? কিন্তু একটু দেরীতে, ভীষণ দেরীতে। টগবগে একঝাঁক তরুণের স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটিয়ে এই বোধোদয় এলো।
নূর আলী তো ঠিকই বলেছেন, যে টাকা তিনি খরচ করেছেন, তাতে তো নতুন একটি পত্রিকা বের করাই যেতো। আর তিনি তো নতুন একটি পত্রিকা করতে গিয়েছিলেনও। অধিনায়ক নামের সেই পত্রিকাটির অফিসও তিনি করেছিলেন সেই বোরাক টাওয়ারে, আজ যেখানে আমাদের সময়ের অফিস। ৩৫ থেকে ৪০ জন টগবগে তরুণ নতুন কাগজ করার স্বপ্ন নিয়ে সেখানে এসেছিলেন। কিন্তু নাঈমুল ইসলাম খান হঠাৎ দৃশ্যপটে আসেন, নূর আলীর ঘাড়ে তার আমাদের সময় গছিয়ে দেন। ফল হলো, অধিনায়ক আর আলোর মুখ দেখলো না। নূর আলী এবং পিএইচপি গ্রুপ যৌথভাবে আমাদের সময়ের পেছনে টাকা ঢালতে শুরু করলেন। দেশের সংবাদপত্র ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক খলনায়কের দ্বারা তারা কীভাবে মন্ত্রমুগ্ধ হলেন, তা বোঝা না গেলেও, এর ফল হলো খুব খারাপ।
অধিনায়কের যে তরুণ ছেলেমেয়েরা ছিলেন, তারা বেরিয়ে গেলেন। সম্ভাবনাময় েএকটি হাউস গুছিয়ে ওঠার আগেই তারা ভগ্নহৃদয়ে এখানে ওখানে ছড়িয়ে পড়লেন। তারুণ্যের এই স্বপ্নের অপমৃত্যুর দায় নূর আলী কীভাবে এড়াবেন?
নাঈমুল ইসলাম খান মনে হয় প্রথম সাংবাদিক, যিনি একটি নতুন পত্রিকা প্রকাশ হতে যাচ্ছে জেনেও সেই প্রকাশকের কাছে গিয়ে দিন-রাত ঘ্যানঘ্যান করে সেটি বন্ধ করে তার নিজের পত্রিকায় টাকা ঢালার আয়োজন সেরেছেন। কী অনৈতিক কাজ! অধিনায়কের এতোগুলো তরুণের কথা তিনি ভাবেন নি। কাজেই আর আমরা যদি তার কথা নাই বা ভাবি, তাহলে কিছুই আসবে যাবে না। ইতিহাস এভাবেই ফিরে ফিরে আসে। নাঈমুল ইসলাম খান নিশ্চয় উপলব্ধি করতে পারছেন। আশা করবো, ভবিষ্যতে আরো ভালোভাবে তিনি উপলব্ধি করতে পারবেন। কারণ শ্রমিকদের নায্য পাওনা না দিয়ে খাটানোর ইতিহাস এখনো তার দুয়ারে মনে হয় ফিরে আসে নি। শিগগির আসুক, প্রত্যাশা রইলো।
ছবি কৃতজ্ঞতা : বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম
আলোচিত ব্লগ
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
সম্পর্ক
আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন