হাড়েরও ঘর খানি
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
হাড়েরও ঘর খানি কবিতা টি রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহ্ -র অন্যতম এক সৃষ্টি।কবিতাটিতে শহীদুল্লাহ্ বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের পুর্ববর্তী,মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন অবস্থা এবং এর পরবর্তী সময় স্বাধীন বাংলায় আশাহত মানুষের দঃখ দুর্দশা এবং দৈনতার কথা বলেছেন। আমার বিশ্লেষন অনুসারে, পুরো বাংলাদেশ কে কবি অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষায় তৈরী একটি ঘরের সাথে তুলনা করেছেন। মানুষের হাড়ে রক্তে বানানো এই ঘরে কোন এক সময় ঘুনপোকা ধরে, আনচে কানাচে আগাছা বেড়ে ওঠার কথা তিনি বলেছেন। নিজেদের দেশের রাজনীতিবীধ,তরুন ও বুদ্ধিজীবীরা দেশের সার্থের তুলনায় বেশি নিজেদের সার্থের কথা ভেবেছে, তাই তাদের চেয়ে যে বেশ্যাদের অনেক বেশি বিশ্বাষ করা যায় তা তিনি অবলীলায় বলেছেন,নির্ভয়ে স্বিকার করেছেন।
পাকিস্তানিদের অত্যাচারে মানুষের জীবন অতিষ্ট থাকলেও কোন কথা কেউ কখনো বলতে পারেনি। মানুষ জীবন উল্টে পরে থাকা কাছিমের মতো অসহায় ছিল তখন। সবাই শুধু হাত পা বাধা মানুষের মতো সব কিছু সহ্য করে গেছে, মুখ বুজে। কবিকে নিরুপায় মানুষের নিস্পাপ মুখ গুলো ঘুমাতে দেয় না, অত্যাচারিত বধু,শিশু,বৃদ্ধের চোখ কবিকে ঘুমাতে দেয় না।
তার পরে ডাক আসে স্বাধীনতার । রাজপথে নেমে আসে স্বাধীনতা কামি মানুষের ঢল। রেসকোর্স ময়দানের সেই উত্তাল দিনে একটি কন্ঠের আহবান শোনার জন্য লাখো মানুষ ভিড় জমায় । শুরু হয় স্বাধীনতা সংগ্রাম।
২৫ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় মানুষ দিশে হারা হয়ে ছুটে বেড়ায় নিরাপদ আ্শ্রয় খোঁজার জন্যে। গ্রামে গঞ্জে আতংকিত মানুষের দুঃখ কষ্টের বিবরন এসেছে এখানে। মানুষ নিজের ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়,যায় দেশের সীমানা পার হয়ে , ৮০ লক্ষ মানুষ চলে যায় ভারতের সরনার্থী ক্যাম্পে। পিছে ফেলে যায় নিজের সৃতি মাখা, মায়া মাখা সংসার, স্বজনের লাশ,মৃত পোষা কুকুর । নিস্তঃব্ধ গ্রাম খাঁ খাঁ করে । পাখিরাও যেন ডাকতে ভুলে যায়..... টুবি কন্টিনিউড....