ন্যানোট্যাক মানে হল ন্যানোট্যাকনোলজী।ন্যানোট্যাকনোলজীর ইতিহাস খুব একটা পুরোনো নয়।কিন্তু এই কিছু দিনের ইতিহাসে এই প্রযুক্তি অনেক সাফল্যের মুখ দেখেছে।১৯৫৯ সালে এই নিয়ে প্রথম বক্তব্য রেখেছিলেন প্রফেসর রিচার্ড ফাইনম্যান,আমেরিকার ফিজিক্যাল সোসাইটির এক সভায়।বক্তব্যের যে শিরোনাম ছিল সেটা তিনি কেন পছন্দ করেছিলেন তা জানা যায় না।শিরোনাম টি ছিল এরকমঃতলানিতে একটু জায়গা।
যাই হোক বিজ্ঞানীরা ভাবছে ন্যানো রোবট অর্থাৎ ক্ষুদ্র রোবট বানাবে।তখন তারা সেই রোবট কে মানুষের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেবেন।আর আমাদের রক্তে বা শরীরের কলকব্জায় যেসব ত্রুটি আছে তা এই রোবট ঠিক করে দেবে।তার মানে ভবিষ্যতে কোন রোগ সারানোর জন্য হয়তো ওষুধ খেতে হবে না, হয়তো বা অস্ত্রপচার ও ক্রতে হবে না।এই ধরনের ন্যনো রোবটই আমাদের শরীরের নানাত্রুটি দূর করে দেবে।তাহলে এই ধারনা মনে আসতে পারে-এইড্স কিংবা ক্যান্সার এর জীবানু ধ্বংসের ক্ষেত্রেও এই রোবট সাফল্য অর্জন করতে পারে।হয়তো বা একদিন দেখা যাবে মানুষ দোকান থেকে এই ন্যনো রোবট কিনে এই রোবট কে গিলে ফেলে দেহের রোগ সারাবে।কিংবা অন্য কোন ভাবে দেহে প্রবেশ করাবে রোগজীবানু ধ্বংস করানোর জন্য।কিন্তু এই ব্যপার ও চিন্তা করতে হবে এই রোবট যদি কোনভাবে মস্তিষ্কে চলে যায় তবে কি হবে।সেটা যে একটা ভয়ঙ্কর ব্যপার হবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই।এমন হতে পারে যে এই রোবট শরীরে প্রবেশ করার নির্দিষ্ট সময় পরে ধ্বংস হয়ে যাবে।কিন্তু তাতেও অনেক প্রশ্ন থেকে যায়।এই রোবটের কলকব্জা যদি স্টিল কিংবা এইধরনের ধাতু দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে তাহলে সেসব আমাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আর যদি কোনভাবে আমাদের শরীরের এনজাইম দিয়ে গলিয়ে ফেলা যায় ও তাতে আমাদের কি কোন ক্ষতি হতে পারে না?আর নির্দিষ্ট সময় বলতে কতক্ষন পর হতে পারে?ধারণা করা যাক এই রোবট শ্রীরে প্রবেশের আধ ঘন্টা পর ধ্বংস হয়ে যায়।কিন্তু সেই সময়ে কি এভারেজ মানুষের শরীরের সব ধরনের ত্রুটি ত্রুটিমুক্ত হয়ে যাবে?একেক জনের শরীরের এনজাইম একেক নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করে।তাহলে হয়তো কারো শরীরে এই রোবট প্রবেশের ৫ মিনিট পরেই শরীর ভালো হয়ে যাবে আর কারো হয়তো একদিনেও ভালো হবে না।যাই হোক এ ব্যপারটি হয়তো বিজ্ঞানীরা সফলভাবে শেষ করতে পারবে।আর বাকিটুকু সময় বলে দেবে।