রাষ্ট্রপ্রদত্ত সুবিধার ফায়দা নিতে ব্রিটেনে অভিবাসীরা বিশেষ করে পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিরা বেশি বেশি সন্তান নেন। তবে ভারতীয়দের মধ্যে এ প্রবণতা নেই। ব্রিটেনের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস ফ্লেদার এ মন্তব্য করেছেন। সরকারের কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলোতে পরিবর্তন আনাসংক্রান্ত এক পার্লামেন্টারি বিতর্কে গত মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন। হাউস অব লর্ডসে প্রথম এশীয় নারী ফ্লেদার। ব্যারোনেস ফ্লেদারের (৬৭) জন্ম ১৯৩৪ সালে, তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের লাহোরে। ১৯৯০ সালে কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষে হাউস অব লর্ডসের আজীবন সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ফ্লেদার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের প্রথম এশিয়ান নারী সদস্য। বিতর্কের সময় ফ্লেদার বলেন, ব্রিটেনে অবস্থানরত সংখ্যালঘু কোনো কোনো গোষ্ঠী অতিরিক্ত সন্তান নেয়। শিশুদের জন্য রাষ্ট্রের দেওয়া সুবিধা বেশি পরিমাণে ভোগ করতে তাঁরা এ কাজ করেন। বেশি সন্তান মানেই সরকারের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় বা বড় পরিবার পালনের মতো বড় বাড়ি পাওয়ার সুযোগ। তিনি বলেন, 'পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি। কিন্তু কেউই বিষয়টি মেনে নিতে বা এ ব্যাপারে কথা বলতে পছন্দ করবে না। কারণ রাজনৈতিকভাবে এই আলোচনাকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর মনে করা হয়।' তবে ভারতীয় অভিবাসীদের মধ্যে এ ধরনের কোনো মানসিকতা কাজ করে না বলেও মনে করেন ফ্লেদার। তিনি বলেন, 'ভারতীয়দের মধ্যে বড় পারিবার দেখা যায় না। তাঁরা তাঁদের সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চান। পাকিস্তানি বা বাংলাদেশি পরিবারগুলো শিক্ষাগ্রহণের ওপরও জোর দেয় না।' ফ্লেদার বড় পরিবারগুলোর সুবিধা কমিয়ে দেওয়ারও প্রস্তাব দেন। যেকোনো পরিবারের প্রথম দুটি সন্তানের জন্য পূর্ণ সুবিধা, তৃতীয় সন্তানের জন্য তিন-চতুর্থাংশ সুবিধা এবং চতুর্থ সন্তানের জন্য অর্ধেক সুবিধা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তবে বিতর্কে উপস্থিত থাকলেও ফ্লেদারের এ প্রস্তাবের ব্যাপারে কল্যাণ সংস্কার মন্ত্রী লর্ড ফয়েড কোনো মন্তব্য করেননি।
তথ্যসূত্র-
Click This Link