মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুনতাসির মামুন।
Published : 15 Jul 2013, 08:42 AM
সোমবার আদালত যুদ্ধাপরাধ পরিকল্পনার অপরাধে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ৯১ বছর বয়সী গোলাম আযমকে। এ মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসাবে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন মুনতাসির মামুন।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, “গোলাম আযমের ৯০ বছরের জেলে আমি ব্যক্তিগতভাবে অসন্তুষ্ট। এ রায়ে জামায়াত যে দল হিসেবেও যুদ্ধাপরাধী তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।”
রায়ে অসন্তুষ্ট হলেও হতাশ নন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এ নরাধমের কারণে লাখ বাঙালির জীবন দিতে হয়েছে। আমরা ফাঁসি প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু আদালত বয়সের কারণে তাকে ৯০ বছরের সাজা দেওয়ায় আমরা বিষণ্ন।”
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, “এ রায় আমাদেরকে দুঃখ দিয়েছে। তাই আমাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ কাজ করছে।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে একাত্তরে ব্যাপক মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উস্কানি, পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা এবং হত্যা-নির্যাতনে বাধা না দেয়ার পাঁচ ধরনের অভিযোগই প্রমাণিত হয়।
তবে বয়স বিবেচনায় তাকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।