বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর এই বৈশিষ্ট্য এবং অবস্থানের পেছনে দুটি কারণ নিহিত বলে অনেকে মনে করেন।
এক. তারা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল হিসেবে ধর্মীয় দীক্ষা পেয়েছে ১৯৪৭-পূর্ব উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে সমালোচিত এবং প্রায় কোণঠাসা ধর্ম-গুরু ও রাজনীতিবিদ আবুল আলা মওদুদীর কাছ থেকে। আল্লাহর একত্ব এবং কোরআনের অলৌকিকতায় ঠিকই তিনি বিশ্বাসী। তবে আল্লাহ ও তার রাসূল যে ইসলামের ঈমান-আকিদার অঙ্গ, সেটা তিনি একটু দ্বিধা ও সন্দেহের চোখে দেখেন। তার ইসলাম সম্পর্কিত কতিপয় গ্রন্থে রাসূল (সা.) সম্পর্কে এই ধারণা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রমাণ মেলে। হাক্কানি আলেমদের মতে, মওদুদীর অনেক বক্তব্য ইসলামের ঈমান আকিদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাদের অনেকেই জামায়াতে ইসলামী এবং নেতা মওদুদীকে বিপথগামী বলে ভাবেন। জামায়াত ছাড়া সারা বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায় মওদুদীর ওই ধ্যান-ধারণাকে ইসলামের বিচ্যুতি এবং বেদাত বলে অভিহিত করেন। তাতে জামায়াতের যেন কিছু যায় আসে না। তারা রাজনীতি করে ধর্মকে ব্যবহার করে। সরল ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করাই জামায়াতের মিশন বা লক্ষ্য। এ জন্য কোনো তরিকারই মুসলিম সাধক, পণ্ডিত ও ইসলাম ব্যাখ্যাদাতারা জামায়াতে ইসলামীকে ইসলামী দল বলে মনে করেন না। না করুন। জামায়াত ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশে সব মুসলমানকে হিন্দু করে ফেলা হচ্ছে, মুসলমানদের রক্ষা করা দরকার, এই মিথ্যা কথাগুলো বলে বেশ কয়েকটি আরব দেশে কোটি কোটি দিনার-ডলার ভিক্ষা করেছে। লিবিয়াসহ কয়েকটি বাংলাদেশবিরোধী সন্ত্রাসী দেশের শাসককুলের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছে। ভিক্ষা করা এবং চাঁদা তোলা এখন অনেকটাই কমে গেছে। কমে গেছে কারণ, যেসব দেশের শাসক ও মালদার আদমীরা জামায়াতকে ভিক্ষা ও চাঁদা দিত, তারা ইতোমধ্যে ভালোভাবেই জেনে গেছে বাংলাদেশে মুসলমানদের ধরে ধরে হিন্দু করার কথাটা একেবারে ভিত্তিহীন। এটা অর্থ উপার্জনে জামায়াতের মিথ্যাচার এবং শঠতা বৈ আর কিছু নয়। তারা এখন জামায়াতকে ভিক্ষা আর চাঁদা দেয় না।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৮