somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উলটো রাজার উলটো দেশের গল্প(দুঃখের ইমো হইবে)

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা দেশে কোন রাজা ছিল না...আরেক দেশের রাজা ওই দেশ চালাতো...যেহেতু দেশটা অন্যের তাই ওই দেশটার সব সম্পদ রাজা তার সাংপাঙ্গদের নিয়ে চুতি করত...ওই দেশে চুরি করার জন্য রাজার মত আকারের এক চামচা রাজা জুটিয়ে নিলেন...রাজার সেই পা-চাটা কুত্তা আবার স্বঘোষিত অধ্যাপক...মাথায় টুপি পড়ে এবং দাড়ি আছে...সে ওই রাজাবিহীন দেশের লোকদের বোঝাতে লাগল তারা একটি ধর্মের ধারক ও বাহক...এইগুলা বলে সে মনের আনন্দে চুরি করতে লাগল......

কিন্তু বিধিবাম...হটাত রাজাবিহীন দেশের কিছু ফকিন্নির পুত দেশে গন্ডগোল শুরু করলো...ফকিন্নির পুতেদের নিজেদের রাজা লাগবে...ফকিন্নির পুতগুলা আর রাজার এবং রাজার আকৃতির বিরোধিতাকারি সবাইরে সাইজ দিতে রাজার কাছে আবদার করলো সেই কুত্তা...রাজা কি আর চামচার কথা না শুনে পারে...রাজা আবার সেনাপ্রধান...তিনি তার সৈন্যবাহিনীর বিশিষ্ট কিছু কুকুরকে ওই দেশের ফকিন্নির পুতদের সাইজ করতে ওই দেশে পাঠালেন...সেনাবাহিনী ওই দেশে এসে রাতের আধারে ফকিন্নির পুতগুলারে মারা শুরু করলো...আর ফকিন্নির ঝি গুলাকে তাদের খেদমতে নিযুক্ত করলো...রাজার মত আকৃতিধারিদের সবাইর কাজ হলো ফকিন্নির পুতগুলাকে চিনায়ে দেয়া আর ঝি গুলার দুই-একটারে পারলে নিজেদের খেদমতে নিযুক্ত করা...তারা বলতে লাগলো ফকিনির পুতেদের ধর্ম নাই ওরা ধর্মের বিরুদ্ধে ওরা কাজ করে...আর ফকিন্নির ঝিগুলা ধর্মের সপক্ষের লোকেদের খেদমত কইরা পাপের প্রায়শ্চত্ত করতেছে...রাজার মত আকৃতির প্রধান সেই প্রফেসর ধর্মের নামে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ওই দেশের সকলকে শান্তিকুঠির আর রাজাকার বাহিনী গড়ে তুলতে আহ্বান করে...
পরে গন্ডগোলের চূড়ান্ত পর্যায়ে ঐ সৈন্যবাহিনী যখন হারতে বসল তখন রাজার মত আকৃতির ওরা ওই দেশের যেই ফকিন্নির পুতেরা তপস্যা(রাজনীতিবিদ),দীক্ষা দান(মাস্টর)...ডাকিনীবিদ্যার চর্চা(ডাক্তারি) উহাদের সিস্টেম দিয়া দেয়...এক সময় ওই দেশ থেইক্যা সৈন্যবাহিনী পালায়া বাচে...কিন্তু থাইকা যায় ঐ রাজার মতন আকৃতিধারিরা...

১৫ বছর পরে ওই দেশ চালাচ্ছে এক সেনাপ্রধান...দেশের দুই রাজকন্যা সুয়ো আর দুয়ো ওই অত্যাচারী সেনাপ্রধানকে ক্ষমতা থেকে নামাতে পা ছুয়ে সালাম করে রাজার মত আকৃতির প্রধানের কাছ থেকে দোয়া নিলেন...
প্রায় ৩০ বছর পর...ঐ দেশে এখন দুই রানী দেশ চালায়...সুয়োরাণী আর দুয়োরাণী...দুই রাণী ৫ বছর পর পর নির্বাচনে অংশগ্রহণ...সুয়োরাণীর আবার দুই ছেলে বড় গণতন্ত্র আর ছোট গণতন্ত্র...তার স্বামী সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলো...তার মতে তার দলই গন্ডগোলের চেতনার শিশ্নধারী...তার স্বামী কোন যুদ্ধে নিহত না হয়েও শহীদ...আগে সুয়োরানী ৫ বছর রাজ্য চালিয়েছেন...এইবার রাজ্যের জণগণ যাতে ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করে তাই তিনি রাজার মত আকৃতির প্রধানদের সাথে চুক্তি করেন...পরে নির্বাচিত হয়ে সুয়োরানী রাজার মত আকৃতির কয়েকজনকে মন্ত্রী বানান...

৪০ বছর পরের কথা এক ফকিন্নির পুতের মেয়ে দুয়োরানী বললেন গন্ডগোলের সময় যারা রাজার মত আকৃতির ছিলো তাদের বিচার হবে...বিচারে তাদের রাজার মত আকৃতি দেখে বিচারক বলিলেন উহাদের বয়স যে বড় বেশি...আর চেহারাও নূরানী উহাদের ফাসি দেয়া বড়ই মানবতাবিরোধী...আসুন আমরা বরঞ্চ উহাদের জনগণের খাজনার টাকায় যাবজ্জীবন অথবা ৯০ বতসর নরবিচ্ছিন্ন কাঠাল পাতা খাওয়াই...এইদিকে আবার দুয়োরাণীর পোষ্য এবং তারই অর্থায়নে গন্ডগোলের সময়কার কিছু ফকিন্নির পুতের জন্ম দেয়া নব্য বড়লোকের পুত কিছু ফকিন্নির পুতকে নিয়ে রাজার মত আকৃতিধারীদের ঝুলায়ে দেবার আন্দোলন করা শুরু করে...এইদিকে আবার ওই দেশে চাকর হওয়ার পরীক্ষায় নব্য বড়লোকের পুতদের প্রতি দুয়োরাণীর বড় মায়া...তাছাড়া কিছু ফকিন্নির পুতকে বাকস তৈরির কাজ(টেন্ডারবাজি)...কিছু গুলতি...কয়েকটা চাপাতি,রড ইত্যাদি দিয়ে কিছু করে খেতে সুযোগ দিয়েছেন...তারা হইলো দুয়োরাণির সুনার!(সেন্সরড) ছেলে...তবে অধিকাংশ ফকিন্নির পুত চাকর হইতে কম সুবিধা পায়...তার কৌটার বিরুদ্ধে আন্দুলন করলে গন্ডগোলের শিশ্নধারী নব্য বড়লোকদের গায়ে লাগে...তারা সাধারণ ফকিন্নির পুতদের শ্রমিক ফকিন্নির পুতদের দিয়ে তাদের পিটায়...এছাড়া পেটোয়া বাহিনী দিয়েও পেটায়...কারণ হিসেবে বলে এইসব ফকিন্নির পুতেরা গন্ডগোলের শিশ্নধারী নয়...এদের আবার চাকর হওয়া কিসের???

তবে গোপনে ঠিকই দুয়োরাণীর সাথে রাজার মত আকৃতিধারীদের সম্পর্ক থেকে যায়...দুয়োরাণীর মেয়ের জামাই মানে এক রাজপুত্র আবার রাজার মত আকৃতির লোকের শয়তান থুক্কু সন্তান...তার পেটোয়াবাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী যিনি ঝাকাঝাকি করে বিল্ডিং ফেলে দিতে পারেন তিনিও বিশিষ্ট রাজার মত আকৃতির লোক...

তাইতো কবি থুক্কু বিচারক বলেন বুড়া মানুষদের ফাসি দেয়া উচিত হইবে না...তারা আলেম লুক...তাদের চান্দের দেশে দেখা যায়...আমরা বরং তাদের ৯০ বতসর কাঠাল পাতা খাওয়াই...টেকা আফনেরা দিবেন...তবে কাঠালপাতার বেশি সমস্যা হইলে ইউনুস বেপারির কাছ থেইক্কা ক্ষুদ্রঋণ লইবো...নইলে আমরা আশি বতসরের সচল লাঙ্গল সমৃদ্ধ সাবেক লেজে(গোবরে) এর কাছে যাইব...তিনি পীর মানুষ...এক ফুঁতেই লাঙ্গল দিয়া হালচাষ করিতে পারেন...

পরিশেষে নচিকেতার মতন বলতে পারি...
"এতো এক উলটো দেশের গল্প শুনলে এতক্ষণ...
যদি কেউ এমন দেশের সন্ধান কর শুরু...
ঠিকানা আমার ফেসবুক...
কেয়ার অব সামুব্লগ তমাল গুরু..."

উপরের লেখার সাথে বাস্তবের কোন মিল না পাইলে তা অনভিপ্রের কাকতাল মাত্র...ইহার জন্য লেখক দায়ী থাকবে না...
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×