somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের মানচিত্রে পরিবর্তন : উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দেড় হাজার একর জমি দেয়ার পর বাংলাদেশের চন্দননগর গ্রামও ভারতকে দেয়া হল

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের বিতর্কিত যৌথচুক্তি অনুযায়ী ভারতের দখলেই থাকছে চন্দননগর গ্রাম। অথচ ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিতে চন্দননগর গ্রাম ছিল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। গতকাল ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সংবাদ’ পত্রিকায় এটা ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ ছয় দশকের বিতর্কের অবসান হলো।

‘বিতর্কের অবসান, ভারতের দখলেই থাকছে চন্দননগর’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটিতে বলা হয়, কর ও গ্রিডের মানচিত্রের ভিত্তিতে ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুযায়ী চন্দননগর গ্রাম ছিল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। এই চুক্তির আওতায় ১৯৮৩ সালে এই গ্রামকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত সরকার। প্রশাসনিক জটিলতায় তখন এই উদ্যোগ স্থগিত হয়ে যায়। ভারতের স্বাধীনতার সময় গ্রিড-কর জরিপের মানচিত্রেও চন্দননগর গ্রাম বাংলাদেশের। অথচ গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের চুক্তি অনুযায়ী এই চন্দননগর গ্রাম এখন ভারতের।

চুক্তিতে লেখা হয়েছে : ‘the boundary shall be drawn along sonaroy cherra river from existing boundary pillar no 1904 to boundary pillar no 1905 as surveyed jointly and agreed in july 2011.’ অর্থাত্ সোনারায় ছড়া বরাবর সীমান্ত চিহ্নিত হবে। দুই প্রান্তের দুই সীমান্ত পিলার হচ্ছে ১৯০৪ থেকে ১৯০৫। চুক্তিতে রহস্যজনক কারণে সোনারায় ছড়াকে নদী বলা হয়েছে। অথচ সোনারায় ছড়া ছড়াই, নদী নয়। দৈনিক সংবাদও স্বীকার করে নিয়েছে ‘সোনারায় নদী নয়, স্রেফ একটি ছড়া।’

রিপোর্টে বলা হয়, সোনারায় ছড়া বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার চম্পারায় চা বাগান ও চন্দননগর গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত। ইংরেজ আমল থেকেই এই গ্রামটি সিলেট জেলার মানচিত্রে দেখানো হয়েছে। লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোনারায় ছড়ায় সীমানা নির্ধারণ হলে চন্দননগর গ্রাম চলে যাবে ভারতের ভূখণ্ডে। সোমবার চন্দননগর গ্রামবাসীকে ত্রিপুরার পিসিসির সদস্য প্রেমানন্দ দাস জানিয়েছেন, এখন থেকে চন্দননগর গ্রাম ভারতের।



০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×