রাজনৈতিক কৌতুক
এরশাদ, অপি করিম, মিলা আর নিজামী একসাথে ট্রেনে করে একটা আঞ্চলিক অনুষ্ঠানে যোদ দিতে যাচ্ছে। হটাৎ গাড়ি একটা টানেলের ভিতর ঢুকে পড়ল। তার পরপরেই ওরা প্রথমে একটা চুমু ও তার সাথে সাথে একটা থাপ্পরের আওয়াজ শুনতে পেল। একটু পর ট্রেন টানেল থেকে বের হল। কেউ কোনো কথা বলছে না, খালি এরশাদ তার গালটা ধরে হাতাচ্ছেন। ওখানটা লাল হয়ে আছে। বুঝা গেল চড় কাকে মারা হয়েছে।
অপি করিম ভাবছে--- নিশ্চই এরশাদ চাচা মিলাকে চুমু খেতে গিয়ে চড় খেয়েছেন!!!!! নাহ বেটা এই বয়সেও ভাল হল না!!!!!!
মিলা ভাবছে--- এরশাদ আঙ্কেল মনে হয় আমাকে চুমু খেতে গিয়ে ভুলে অপি আপাকে চুমু খেয়ে ফেলেছে......... আর তাই অপি আপা বেটাকে দিয়েছে থাপ্পর!!!!! ঠিক হয়েছে!!!!!
এরশাদ ভাবছেন--- নিজামী শালা মনে হয় মিলাকে চুমু দিছে!!!!! আর শালি অন্ধকারে থাপ্পর মেরেছে আমাকে!!!!!! নাহ দেশটা রসাতলে গেল!!!
নিজামী ভাবছেন--- আল্লাহ আবার আরেকটা টানেল পাঠাও...... আবার চুমার শব্দ কইরা হালার পুতেরে কষায়া আরেকটা চড় মারি!!!!!!!!!!!!!
আগের বার বেশি জোড়ে দিতে পারি নাই। এইবার কানপট্টী লাল কইরা ফালামু হারামজাদার!!!!!!!!!!!
এক লোক মারা গেছে। সে জীবনে অনেক পাপ করেছে। তাই তাকে দোজখে পাঠানো হল। তো সেখানে গিয়ে
সে দেখে প্রতিটা দেশের দোজখ আলাদা আলাদা ভাগ করা। লোকটা প্রথমে ব্যপারটা কি তা বুঝার জন্য আমেরিকার দোজখে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে চরম খারাপ অবস্থা। পাপিদের প্রথমে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসানো হচ্ছে, এরপর বড় বড় তার কাটাযুক্ত বিছানায় শুয়ানো হচ্ছে। এরপর এক জল্লাদ এসে ধুমসে পিটাচ্ছে। লোকটা ভয় পেয়ে ওখান থেকে চলে আসে। আর বাকি দোজখ গুলাও ঘুরে ঘুরে দেখে। কিন্তু সবখানে একি অবস্থা। চরম শাস্তি দেওয়া হচ্ছে পাপিদের। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে সে হটাৎ বাংলাদেশি দোজখের সামনে এসে হাজির হয়। দেখে বাইরে বিরাট লাইনে বিভিন্ন দেশের লোকজন দাঁড়ানো। সে একজন কে জিজ্ঞেস করে ব্যপারটা কি!!!!
বাংলাদেশি দোজখ
-আরে ভাই বুঝলেন না????? বাংলদেশি দোজখ!!!!! ইলেক্ট্রিক চেয়ারে কারেন্ট থাকে না, তারকাটা গুলা কে জানি চুরি কইরা নিয়া গেসে!!!!!
আর জল্লাদ বেটাও সরকারি লোক............... হাজিরা খাতায় সাইন কইরা বাসায় গিয়া ঘুমায়া থাকে......... তাই এই দোজখে এতো ভীড়!!!!!!!!!