somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি রোমান্টিক গল্প। সিরিয়াস পাঠকদের জন্য নয়। শেষের অংশ

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :







আগে প্রথম অংশ পড়ুন
Click This Link

তনু সবি দেখছিল, প্রথম দিকে সে অনেক মজা পেলেও পরে কেন যেন শুভর জন্য তার খারাপ লাগল। মায়া হল। সে শুভ’র কাছে গিয়ে জ্ঞিগাসা করলো “ কি ব্যাপার তুমি এখানে একা একা বসে আছ কেন?”
শুভ হাসিমুখে বললো,সুব্রত ফাজলামো করে আমার চশমা নিয়ে গিয়েছে। কখন যে আসবে ও?
তনু ভারি আশ্চর্য হল শুভ কথা শুনে। এমন ধৈয্যশীল মানুষ আর কখনো দেখেনি সে। শুভর মুখের দিক তাকিয়ে রইল সে। তনুর কেন যেন মনে হয় শুভর কাছে আছে সিমাহীন নির্জণতা। আর অসিম ধৈয্যশক্তি। এমন একজন পুরুষকেই তার চাই।
শুভর হাতধরে বলে
চল তোমাকে বাসায় পৌছে দেই।
শুভ হেসে বলে তোমার কষ্ট হবে নাতো?
আরে না। তুমিতো আমাদের পাশের মহল্লাতেই থাক। চল।
৪.
তনুর নাম্বারে এপযন্ত দশবার কল দিল শুভ। রিং হচ্ছে কিন্তু তনু ধরছে না। গতকালও সে ফোন রিসিভ করেনি। তনুর জন্য খুব দুঃশ্চিন্তা হয় শুভর। একমাস পর ভাসির্টি খুলেছে। গতকালও তনু ক্লাসে আসেনি। ফাইনাল পরিক্ষার আর মাত্র দুইমাস আছে। এমন সময় কেউ ক্লাস মিস করে? কি হল ওর?
মনটা খারাপ হয়ে যায় শুভর। সে তনুকে এসএমএস পাঠায়।
কিছুক্ষন পর কল আসে তনুর। রিসিভ করতেই তনু বলে, শুভ তুমি আমাকে ভুলে যাও। আমি তোমার যোগ্য নই। আমি খুব খারাপ একটা মেয়ে।
শুভ তনুর শিতল কন্ঠে অভস্ত্য নয়। কেমন অচেনা মনে হয় তনুকে। এমন কন্ঠে কখনো তনু তার সঙ্গে কথা বলেনি। বিস্মিত হয়ে তাই শুভ বলে, কি হয়েছে তোমার? ক্লাসে আস। প্লিজ!
ফোনের ও প্রান্তে তনুর কান্নার শব্দ পেয়ে বিচলিত হয়ে যায় শুভ। বলে, প্লিজ কি হয়েছে বল আমাকে।
তনু কান্না জড়ানো কন্ঠে বলে, তোমার মা গতকাল সকালে আমাদের বাসায় এসেছিল। সবার সামনে আমাকে যাচ্ছেতাই বলে বকা দিয়েছে। আমার মা বাবাকেও সে অনেক অপমান করেছে। বাবা তাই আমার কলেজে যাওয়া বন্ধকরে দিয়েছে। আমার বাইয়া সন্ধায় আমাকে এজন্য মেরেছে। তুমি, বল আমার বাবা কি এতই গরিব যে তোমার বাবার সম্পতী পাবার লোভে আমাকে তোমার পেছনে লেলিয়ে দিবে? মেয়ের বাবা বলেই কি তাকে এতসব কথা শুনিয়ে দিতে পারে তোমার মা?
শুভ এসব কথা শুনে যেন পাথরের মূর্তি হয়ে গেল। কষ্টে তার বুকটা ভেঙে যাচ্ছিল। সে তনুর কাছে ক্ষমা চাইল বার বার। কিন্তু তনুর কান্না তাতে থামলো না।
শুভর খুব অভিমান হল মায়ের প্রতি। সে ক্লাস না করেই বাসায় ফিরে এল। শুভর মা ডোয়িং রুমে বসে টিভিতে হিন্দি সিরিয়াল দেখতে ছিল। শুভ বইর ব্যাগটা সোফার উপর ছুড়ে ফেলে তার মায়ের সামনে গিয়ে দাড়ালো। তারপর কঠিন গলায় শুভ বললো, আম্মা তুমি কি তনুদের বাসায় গিয়েছিলে?
তার মা কখনোই শুভর এমন অগ্নিমূর্তি দেখেনি। প্রথম দিকে সে ভড়কে গেলেও সে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, হ্যা গিয়েছিলাম। ওদের উচিৎ শিক্ষা দিয়ে এসেছি। হিন্দি সিরিয়ালের মহিলা ভিলেনের মত কওে বলে সে।
- তুমি কিন্তু কাজটা মোটেও ঠিক করনি। লালচোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে শুভ। কিন্তু তার মা তাকে মোটেও পাত্তা দেয়না। গম্ভীর স্বরে বলে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল তোমার কাছে আমার শিক্ষতে হবে না? বেশি বড় হয়ে গিয়েছো? ঐ শয়তানটা তোমার মাথা খেয়েছে।
এরপর শুভ আর কোন কথা না বলে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। শুভর মা আবার তার হিন্দি সিরিয়ালে ডুবে যায়।

ডাইনীং টেবিলে খাবার সাজিয়ে অনেক বার ডাকার পরও যখন শুভ ভাত খেতে আসেনা, তখন শুভর দরজার কড়া নাড়ে শুভর মা। জোরে জোরে কয়েক বার ডাকার পরও ভেতর থেকে কোন সাড়া নেই। তার মায়ের হটাৎ করেই মনে হয় ছেলেটাকে ওভাবে বকা দেওয়াটা ঠিক হয়নি।
সে আদরভরা গলায় বলে, সরি বাবা আমার ভুল হয়েছে। দরজা খোল।
কোন শব্দ নেই। ক্রমাগত আঘাত করে যায় শুভর মা। কোন শব্দ নেই। অজানা আশংকায় বারান্দা দিয়ে ঘুরে গিয়ে কাচের জানালা ভেদ করে সে শুভর ঘরের ভিতর তাকায়।

শুভ তখন ঝুলছে ফ্যানের সঙ্গে। চিৎকার করে জ্ঞান হারায় সে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪১
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শৈল্পিক চুরি

লিখেছেন শেরজা তপন, ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭


হুদিন ধরে ভেবেও বিষয়টা নিয়ে লিখব লিখব করে লিখা হচ্ছে না ভয়ে কিংবা সঙ্কোচে!
কিসের ভয়? নারীবাদী ব্লগারদের ভয়।
আর কিসের সঙ্কোচ? পাছে আমার এই রচনাটা গৃহিনী রমনীদের খাটো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কোথায় বেনজির ????????

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫




গত ৪ মে সপরিবারে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে। গত ২৬ মে তার পরিবারের সকল স্থাবর সম্পদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

‘নির্ঝর ও একটি হলুদ গোলাপ’ এর রিভিউ বা পাঠ প্রতিক্রিয়া

লিখেছেন নীল আকাশ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭



বেশ কিছুদিন ধরে একটানা থ্রিলার, হরর এবং নন ফিকশন জনরার বেশ কিছু বই পড়ার পরে হুট করেই এই বইটা পড়তে বসলাম। আব্দুস সাত্তার সজীব ভাইয়ের 'BOOKAHOLICS TIMES' থেকে এই বইটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিতর্ক করার চেয়ে আড্ডা দেয়া উত্তম

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬

আসলে ব্লগে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি বিতর্কের চেয়ে স্রেফ আড্ডা দেয়া উত্তম। আড্ডার কারণে ব্লগারদের সাথে ব্লগারদের সৌহার্দ তৈরি হয়। সম্পর্ক সহজ না হলে আপনি আপনার মতবাদ কাউকে গেলাতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে প্রাণ ফিরে এসেছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪



ভেবেছিলাম রাজিবের অনুপস্হিতিতে সামু রক্তহীনতায় ভুগবে; যাক, ব্লগে অনেকের লেখা আসছে, ভালো ও ইন্টারেষ্টিং বিষয়ের উপর লেখা আসছে; পড়ে আনন্দ পাচ্ছি!

সবার আগে ব্লগার নীল আকাশকে ধন্যবাদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×