মনের ক্ষোভ দুঃখগুলো আর চেপে রাখা যায় না।এই বাংলাদেশের জন্য কি মানুষ নিজেদের বলি দান করেছিল?আজ যদি কোন উচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে দেশের মাটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা তাহলে প্রতিটি মাটির কণায় পাওয়া যাবে রক্তের দাগ।না,এই রক্তের দাগ কখনোই মুছবে না।এই দাগ যে আমাদের হৃদপিন্ডের রক্তের-তা কি মুছা যাবে?যতদিন দেশ থাকবে-এই পৃথিবী থাকবে ততদিন এই রক্তের দাগ থাকবে।এই দাগে যে এখনো খুঁজে পাওয়া যায় একেকটি পরিবারের করুন ইতিহাস।এই ইতিহাস কি এক নিমেষে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব?
প্রত্যেক দেশের মানুষেরই নিজের দেশের জন্য ভালবাসা থাকে-কারো হয়ত বেশি কারো বা কম।কিন্তু থাকা উঁচিত।যদি কারো এই ভালোবাসা টুকু না থাকে তবে তাকে পশু হিসেবে আক্ষ্যা দেওয়া হয়।
মন্ত্রীদের কাজ দেখে মনে হয় তাদের দেশের জন্য কোন মায়া নাই।এমনকি একটু করুণাও হয় না।বরং দেশকে কিভাবে ডুবানো যায় সে কাজই তারা ঠিক মত করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ কে তো কেউ কেউ গরু-ছাগল মনে করে মিডিয়াতে প্রচারও করছেন।মানুষ রা যাতে খেয়ে পড়ে বাঁচতে না পারে সে ব্যবস্থা ও করছেন।গত সরকার আমাদের আতঙে মেরেছে আর এই সরকার খাবারে মারতে চাইছে।বাহ বেশ ভালো।
কিন্তু এদেরকে কি পশু বলে কি পশুকে অপমান করা হয় না।পশুরা কখনো নিজের প্রজাতিকে হত্যা করতে দেখা যায় না।কিন্তু মানুষ তো শুধু নৃশংস হত্যাই করে না আরো অনেক জঘন্যতম কাজ করতেও দেখা যায়।
আমার মতে এই সব মন্ত্রীদের কে বেজন্মা বলাই শ্রেয়।প্রচলিত অর্থে যাদের বংশ পরিচয় নেই তাদের বেজন্মা বলে।আমার মতে এর অর্থ একটু অন্যরকম।আমার মনে হয় তারাই বেজন্মা-যারা নিজের দেশের প্রতি কোন মায়া-মমতা নেই,দেশকে নিয়ে যারা কখনোই স্বপ্ন দেখে না,দেশের উন্নতিতে যারা একটুও আনন্দ পায় না,দেশের দুঃখে একটুও মনে কষ্ট হয় না,দেশকে অস্বীকার করে,ভাষাকে অস্বীকার করে,যারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে দেশ কখনোই বদলাবে না-তারাই প্রকৃত বেজন্মা।তাহলে যারা দেশকে বেচে খেতে চায়,মানুষের রক্ত পান করতে চায়-তাদের কে কি বলা উচিত?বেজন্মার বেজন্মা?
আর সাধারণ মানুষরা(আমরা) তো কখনোই এইসব বেজন্মা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে রুখে দঁড়াতে পারবে না,তাদের ইট খুলে আনতে পারবে না।আমাদের সেই দমই তো আমারা হারিয়ে ফেলেছি-যেটা করতে পারব সেটা হল আল্লাহ্র কাছে ফরিয়াদ।আসুন আর যখন কিছুই করতে পারছি না তাহলে সেটাই করা যাক।