সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের বিলচিতল এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ধসে গেছে।
Published : 16 Jul 2013, 11:53 AM
মঙ্গলবার সকালে যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ২নং প্যাকেজের ৬৫ মিটার বাঁধ ধসে যায়। এর আগে ৬ জুন একই বাঁধের ৫০ মিটার ধসে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।।
বাঁধে আবার ধস দেখা দিলেও তা ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে সংরক্ষণ এ প্রকল্পের বাঁধ পুরো তলিয়ে গেছে। নদীর স্রোতের কারণে প্রচণ্ড ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে বাঁধে আঘাত আনায় সংরক্ষণ কাজের ৬৫ মিটার ধসে গেছে।
ধসের পর এ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ এস কনস্ট্রাকশনের দায়িত্বশীল কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
বাঁধ ধসের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ভাঙ্গন আতঙ্ক বিরাজ করছে।।
কাজিপুরের মাইজবাড়ি থেকে সদর উপজেলার বাহুকা পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার অংশে নদীতীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে পাউবো থেকে ১৬টি প্যাকেজে গত ২০১১-১২ অর্থ বছরে ২৩৭ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। বরাদ্দের অজুহাতে মাত্র ছয়টি প্যাকেজের কাজ শুরু হয়।
গত অর্থ বছরে মাইজবাড়ি ১ ও ২ নং প্যাকেজের কাজ শেষ হয়। কাজ শেষ হবার পর গত বছরই ১ নং প্যাকেজে ধস দেখা দেয় এবং ১০ দিন আগে ২ নং প্যাকেজের ৫০ মিটার অংশ যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে।
মাইজবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, নিম্নমানের কাজের কারণে বছর না ঘুরতেই বাঁধ ধসে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বাঁধ ধসের সংবাদ জানানো হলেও হরতালের কারণ দেখিয়ে তারা বাঁধ রক্ষায় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জুলফিকার তারেক এবং ওই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী টিপু সরোয়ার বলেন, পানির নিচের ওই ভাঙ্গন এখন ঠেকানো সম্ভব নয়।
পানি নেমে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তারা জানান।