ঘাতক নয় হৃদয়হীন নয়
টর্নেডো মিসমার করে জমিন
দূর্যোগের রাত্রি আসে; অমোঘ নিয়তি টেনে নেয় পাতাল গহ্বরে
শূণ্য পড়ে থাকে দু এক দানা অধ:ক্ষেপ
ইচ্ছেপূরনের পাতায়
শুধু মনস্তাপ, দুটি মেরুর মোহনায়
ধূসর শ্যাওলায় ছোট ছোট সুখ বেঁচে থাকে
এমন পার্থক্য, এমন আলাদা, তবুও ভালবাসাই বলি তাকে
ঘাতক তো নয় ওরা কেউ, হৃদয়হীনও তারা নয়
নির্ভয়
তাঁতের সফেদে এসে বাড়ি
লেফাফা স্টেপল মুড়ানো
বারজাখে
ফরিস্তা যুগল কানাকানি
মালপত্র কিম্ভুত আনন্দ
তার শাখে
আসমানের জুলমাত বিছানা
শুক্লা ঝুলে-লালা
কিঙ্কিন
আখদার তৃণাবৃত বাড়ি
ঘুমায় মুসাফির
নিরচিন
------ নিরীক্ষামূলক/ মাহী ফ্লোরার পোস্টে অনুপ্রেরণা ---
মনোলগ
বহুদিন এমন অদ্ভুত প্রেম ছিল আমাদের; নদী থেকে সমুদ্রের তটে
বালু সেঁচে পাহাড়ের উপত্যকা পার হয়ে সিসিলি উপদ্বীপে
নেমে আসা হাতির পালের মতো নিয়ন্ত্রণবিহীন অনুভব
সাদা আঙুলের নখে শিশির ঝরে গেছে, হাতের ওপর হাত
বহুতল ইমারতে মতো পুরনো হয়ে নোনা পলেস্তার খসে যায়
বেটেলজিউসের আলো জ্বলে জ্বলে জীবন ঝরে গেছে আকাশের চালুনির ভেতর, অবসাদে
একই রকম করে অনেক বার বিদায়ী হাত নেড়েছি, একই ফসল তুলে
কৃষকেরা ক্লান্ত হয় নি, বাজের সুলেখা আগুন ঝিলিক দিয়ে চুলের কাঁটায় রোদ পড়ে
তখন অনেক বিশুদ্ধ ছিল মন, স্লেটের উপর কিছু লিখলে শিশুরা বারবার
মুছে নেয় ভেজা কাপড়ে। শিলাচাঁইয়ের উপর পিরানের ভাঁজ পড়ে যায়
কাকাতুয়া উড়ে বসছে, বিদেশী ময়না, উষ্ণ গেইজিয়ার ফিনকি দিয়ে পানি
ছুঁড়ে দেয়া দেখে মনে পড়ে, দীঘির পাড়ে মুঠো মুঠো দণ্ডকলসের ঝোঁপ
তারপর যখনই হেটে যাচ্ছি হাতের মুঠোয় কেউ নেই, চুলের ওড়ানো বাতাস
ক্রিস্যানথিমাম দোকান থেকেই কিনে পেয়ালা সাজানো, গ্ল্যাডিওলাস ডগায়
কড়া রঙ, চেয়ে চেয়ে স্তব্ধ চোখ, হয়তো পেয়ে পেয়েই আহ্লাদী
হারানোর তৃষ্ণায় কাতর হল সব রাতের মত, জেনে যাই
অন্তর্গত ফসিল কুড়িয়ে, বেদনার রাত্রিতে স্মৃতি ও মৃত্যু থাকে খুব মুখোমুখি
----- শব্দ জট ----
মেঘে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘায়
মনে পড়ল মেঘে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘায়,
টাইগার হিলের এক ব্যর্থ সকাল,
বাতাসিয়া লুপের মেলায়
নেপালী টুপি, পশমী বালিকা
খোলা জীপ
হোটেলে বিরতি দিয়ে চাবি বন্ধ, বন্ধ দরজায়
ঝুলানো নম্বর ৩০৩; বারান্দায় রূপালী বিকেল
গিটারের কর্ড আছে, বন্ধু তুমি নেই
সাথে
সব স্বার্থপর, সব কিছু অপচয়
স্মৃতিগুলো সঙ্গে করে বহুদিন এভাবে এড়ানো
টিউনিং ফর্কের মত আছড়ে আছড়ে একঘেয়ে সুর নেয়া
কোথাও তুমি ছিলে না
অন্য কোথাও ছিলে অসমাপ্ত যাত্রায়
সুশান্ত চোখের মণি,
ফড়িং এর চঞ্চল ডানার মতো একটি সময়
অসীম আকাঙ্ক্ষায়; এখানে ওখানে উদ্দেশ্য ছাড়া
দোকানে ঝুলানো ৫০-৫০ ক্র্যাকার্স
পদব্রজে
ঘুম বাজার, সর্পিল ধোঁয়া ছড়ানো স্টীম ট্রেন
তারপর বুড্ডিস্ট টেম্পলের রেলিং এ দাঁড়িয়ে দেখছিলাম
সেদিনের সেই দিনে; তুমি নেই বন্ধু
এমন অধরায়
কোথাও তুমি নেই
সিঁড়ি বেয়ে উঠছিল কমলা পুরোহিত; ফিরে আসছিল অসময়
খুব কমই ছিল আমার মত বন্ধুহীন সে সময়; আশায়
---
নির্যাতিত প্যারাফিন
মোমের মন নেই
থাকলে দেখা যেত সে শৃঙ্খলিত
তার ইচ্ছে নেই জ্বলার (কে চায় জ্বলতে?)
সাদা পবিত্র রঙেরও বাঁচার তাগিদ থাকে
উত্তাপ থেকে বাঁচিয়ে একটু শীত কে তাকে দেবে
বরং দহনে উৎসবে ফেটে পড়ে সবাই
তাকে পুড়িয়ে আলো কেড়ে নেয়া হয়
সে বাষ্প হয়
সে উড়ে যায় খুব অনিচ্ছায়
মোমের মন নেই
থাকলে সেও হত নির্যাতিত
---
ড্রাফট ১.০
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৭