somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাত্রী নির্যাতন/:), অতঃপর?????

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইদানিং শিক্ষক কতৃক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে তা সত্যিই দুঃখজনক, কষ্টদায়ক ও উদ্বেগজনক। অবশ্য এখানে শব্দ গুলো কেন যে জনক; জননী নয় তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। শুধু নির্যাতন নয়, ছাত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়া বা ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা বেড়েছে। এ ধরনের ঘটনা গুলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পবিত্র সম্পর্ক কে নষ্ট করে দিচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা শুধু যে এখন ঘটছে তা এমন নয়। এ ধরনের ঘটনা অনেক আগে থেকেই ঘটে আসছে আমাদের সমাজে। লজিং বাড়িতে ছাত্রী পড়াতে পড়াতে এক সময় প্রেম হত; কখনো বা অন্য কিছুও হত। তারপর জানাজানি হলে বিয়ে দিয়ে দিত।
বর্তমান সময়ে ভাল লাগলে কিছু করার চিন্তা আসে। বিয়ের চিন্তা আসেনা। যদি পার পেয়ে যায় তবে তো পোয়াবারো:P:P। আর ধরা খেলে পরিমলের (মল) মত অবস্থা হয়। মল যত ঘাটাঘাটি করে তত দুর্গন্ধ ছড়ায়।
কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটে কেউ কি এ ব্যাপারে লজিকালি চিন্তা করেছি???
নারী পুরুষের মাঝে পরস্পরের প্রতি যে আকর্ষণ তা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আর অনেক সময় কাছাকাছি থাকলে মনের মাঝে বিক্রিয়া শুরু হয়। আর এ থেকে পরস্পরের কাছাকাছি যাওয়া। ভালবাসা বা অন্য অনেক কিছু ঘটে থাকে। অবশ্য যার অন্যদের প্রতি আকর্ষণ নেই তার কথা ভিন্ন। একজন সুন্দর মেয়ে দেখলে যেকোনো ছেলে তাকাবে (তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়া, একি মোর অপরাধ:)B-)) আর সে যদি সাহসী/নিচুমনের হয় তবে টিজ করবে। X(
বর্তমান এই এক্সপোজারের যুগে যেভাবে সবাই খোলামেলা পোশাক আর সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে তা থেকে আকর্ষণ বাড়বে বৈ কমবে না। একটা কৌতুক বলে তারপর বাকি কথা বলছিঃ

“একবার মহাবীর আলেকজান্দার একা শিকারে বের হলেন। তো যেতে যেতে এক বনে গিয়ে রাত হল। তিনি থাকার জায়গা খুঁজতে লাগলেন। দেখলেন ছোট্ট একটা কুটির। তো তিনি এখানেই রাত কাটানোর সিদ্বান্ত নিলেন। এই কূটিরে একা একটি মেয়ে থাকে। তিনি থাকার অনুমতি চাইলেন পরিচয় গোপন করে। তাকে থাকার অনুমতি দেয়া হল। রাতে তারা এক খাটে ঘুমাল যেহেতু আর কোন জায়গা নেই। যাক রাত শেষ হল। সকাল বেলা মহাবীর বিদায় নেয়ার সময় পরিচয় দিয়ে বললেন ‘আমি হলাম বিখ্যাত বীর আলেকজান্ডার’। মেয়েটি উত্তর দিল আপনি কেমন বীর যে মাঝখানে থাকা একটা বালিশ সরাতে পারেন না!!!!!!!!!!!!”

যাই হোক এ ধরনের ঘটনার পিছনে শিক্ষকের নৈতিকতার ঘাটতিই অনেকাংশে দায়ী, এ কথা চোখ বন্ধ করে বলা যেতে পারে। তবে ছাত্রী কে দোষ দেয়া যায় কিনা আমি বলবনা। ছাত্রীরা যেভাবে সেজেগুজে শিক্ষকের কাছে পড়তে যায় তা একটু দেখেই আমার হার্টবিট বেড়ে যায়। শিক্ষক যদি হিজড়া না হয় তবে তার মনেও কিছু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আমি তো শুধু দেখেই যাই শিক্ষক তো অনেক সময় কাছাকাছি থাকে।

একজন পরিমল বা এরকম যারা ধরা পড়ছে তাদের বিচার করলেন। কিন্তু আমার বোনের যা ক্ষতি হওয়ার তাতো হয়েই গেলো।
এরকম যাতে আর না ঘটে, আর কোন বোন যাতে এ ধরনের ঘটনার শিকার না হয় সে জন্যই আপনাকে এর গভীরে যেতে হবে। এর কারন খুঁজে বের করে তা দুর করতে হবে।

আসল কথা হল
শুধু ঘটনা নিয়ে চিল্লাচিল্লি করলে তো হবে না, এর পিছনের কারন নিয়েও চিন্তা করতে হবে। শিক্ষার এত প্রসারের পরও কেন আমরা ঘটনার পিছনের কারন গুলো অনুসন্ধান করি না (যা বিজ্ঞান সম্মত)? ঘটনার গভীরে গিয়ে চিন্তা করি না? Social and individual cause গুলো নিয়েও চিন্তা করতে হবে। Social, moral and religious value may help us find the solution.

নির্যাতন বিরোধী পোস্ট
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৭
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×