somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চেয়ারম্যানের হাতে সম্ভ্রম হারানো রুপালী,মেট্রপলিটন নগরীতে নব্যধনীর পুত্রের হাতে প্রতারনার শিকার জিনিয়া আর ফ্রেম ওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের নামে ট্রানজিট বিলিয়ে তিস্তা,ছিটমহল ও টিপাইমুখ বাধ না দেয়ার অঙ্গিকার হারানো একটি দেশের কাহিনী।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এসব ঘটনা আমাদের আশেপাশে ইদানিং হরদম হচ্ছে।কিন্তু আমরা কিছুই শিখছি না।তাই গল্প গুলো বলার আগে বলি,আমাদের মুল্যবান সম্পদ কি তা আগে সনাক্ত করা।কারন দূর্ভাগ্যবশত আমরা তা জেনেও যেনো বুঝিনা।

মেয়েদের বলছি, সাথে সাথে দেশকেও কারন দেশতো মায়েরই মতো।সতীত্ব অত্যান্ত মুল্যবান জিনিস, কোন কিছুর সাথে যার বিনিময় চলেনা।শত প্রলোভনে তাকে বিসর্জন দেয়া চলে না।এটির তুলনা কেবল দেশের সার্বভৌমত্বের সাথেই চলে।কিন্তু অত্যান্ত দূঃখের ব্যাপার অভাব-অনোটনে মেয়েরা সতীত্ব ততটা হারায় না,যতটা হারায় প্রলোভনে পড়ে।

গ্রামের রুপালির কথাই ধরুন না।সে নিম্ন মধ্যবিত্ত চাষীর মেয়ে।সুন্দর স্বাস্থবতী রুপালী নদীতে গোসল করার সময় চেয়ারম্যানের চোখে পড়ে,বাংলা সিনেমার ভিলেন মিজু আহম্মেদের মতো তিনি তার দুই সাঙ্গপাঙ্গকে চোখের ইশারায় জানালেন এটি তার চাই।তারা তাদের কার্যক্রম যাতে অনতিবিলম্বে চালু করে।

সেদিন থেকে শুরু হলো রুপালির সর্বনাশের সাতকাহন।চেয়ারম্যান তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয়,কিন্তু রুপালী রাজি হয় না।সে আগেই চেয়ারম্যানের চরিত্র সম্পর্কে সম্যক অভিহিত।চেয়ারম্যান হাল ছাড়ে না,সে বলে সে আমুল পরিবর্তিত হয়ে যাবে রুপালীকে বিয়ের পর।দেখা যায় চেয়ারম্যান ইদানিং নামাজ নিয়মিত পড়ে এবং প্রায় রুপালীর বাপের পাশে বসে নামাজ পড়ে আর লাল সালুর মজিদের ন্যায় বলে সে স্বপ্ন দেখেছে যে,কোন এক কলন্দর বাবা তাকে স্বপ্নে বলেছে নিয়মিত নামাজ পড়তে।

এর মাঝে সে তাবলিগের তিনদিনের একটি প্রোগ্রামে যায়।আবার অল্প অল্প দাড়িও সে ইদানিং রাখছে।যে দেখে সেই বলে,আহা চেয়ারম্যানরে দেখছোস,সাক্ষাত বুযুর্গ উমিদ খাঁ।

অবশেষে রুপালী উন্নত জীবনের আশায় তার প্রলোভনে পড়ে,তাকে বিয়ের পর কক্সবাজার,সেন্ট মার্টিন বেড়াতে নিয়ে যাবে এমন অনেক জায়গার নাম বলে রাতে পাটক্ষেতে নিয়ে যায়।তার পর রুপালী একদিন সব হারায়।

এখন রুপালীর কাছে আর সে আসে না,বিরক্ত হয়।বিয়ের কথা বললে হাসে,বলে পাগল নাকি আমি।যা খাওয়ার তাতো পাইছিই।যেমন-ইন্ডিয়া ট্রানজিট পাওয়ার পর তিস্তা,ছিটমহল,টিপাইমুখে বাধ কোন চুক্তিতেই আর আগ্রহ দেখায় না,ঠিক চেয়ারম্যানের মত।

রুপালী কাদেঁ!সর্বশ্য হারিয়ে।

ঠিক একিই ঘটনা ঘটে মেট্রপলিটন নগরীর জিনিয়ার বেলায়।আসলে আমাদের জীবনে তো নতুন নতুন ঘটনা প্রতিদিন ঘটেনা,বরং একিই ঘটনা প্রতিদিন নতুন নতুন করে ঘটে।

জিনিয়া রুপালীর মতোই সবকিছু হারায়,নব্য শিল্পপতির পুত্রের রাব ফোর গাড়ী,পিজাহাট-কে এফ সি জীবনযাত্রার ঘনঘটা দেখে।তারপর ঘোর কাটে একদিন!ধনীর দুলালকে বিয়ের কথা বলায় সে বাংলা সিনেমার চৌধুরী সাহেবের মত হেসেই মরে।

সে জিনিয়াকে বলে,এটাই আমার হবি,তুমি ৩১৩ নং শিকার,এর আগে ৩১২ জন আমার শিকার হয়েছে।আর তোমাকে বিশেষ করে ধন্যবাদ এজন্য যে,তোমার নামের বানান z দিয়ে।কারন আমি a দিয়ে ১৭ জন,b দিয়ে ১৩ জন,c দিয়ে ১৯ জন কে টেস্ট করেছি,আমি ডিকশনারি ওয়াইজ কাজ করি এটাই আমার হবি।সবচেয়ে বেশী পেয়েছি t আর s দিয়ে নাম।তোমার z ফিল আপ হলো।এখন বাকী রইলো ডব্লিঊ w আর এক্সx,জানি কালেক্ট করা কঠিন কারন আনকমন ওয়ার্ড।গুড বাই।

জিনিয়া কাদেঁ!সব হারিয়ে।

এবার দেশটির কাহিনী।চেয়ারম্যানের মত এক প্রতিবেশীর প্রতারনায় পড়ে সে ট্রানজিটের নামে তিস্তা,ছিটমহল,অমিমাংসিত ভূমি ও টিপাইমুখের বাধ না করার অঙ্গীকার কিছুই পেলো না।

সতীত্ব ও সার্বভৌমত্ব সম্ভবত কাছাকাছি জিনিস।

দেশটি কাদেঁ! সব হারিয়ে।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×