এখন হাওয়ার রাত শেষ হয়ে গেছে, তবু কেনো
হায় চেতনার চিল- তুমি জাগোনি এখনো!
পরবাসী চিল তুমি তা'র ঠিকানা কি জানো?
বুঁনো হাঁস হয়তো জানিবে-
সুধায়ে হাঁসেরে তা'র খবর আনিবে;
হৃদয়ের তার দিযে তা'র তরে গাঁতিয়াছি শঙ্খমালা।
নিয়মের নিয়ামক আমাদের চোখে আজো গলির আঁধার
আজও নিয়ম আছে, আজও বনে হরিণেরা বাঘের শিকার-
তবু' কিছুটা বদরে গেছে নিয়মের পালা;
পরিবার তন্ত্রের কাছে মানুষেরা কুকুর বেড়াল।
তবুও সুদর্শনা, সুহাসিনী হয়ে ফিরে এলে যবে
সুরঞ্জনার মতো না যেও হারায়,
কমলা লেবুর ঘ্রাণ শ্যামলীর মুখ
যুবক বাহুতে আজও শক্তি জোগায়
বলে- তাহারা দুজন আজও দুজন কে ভালো না বেসে
ভালোবাসার'ই মতন হৃদয়ে হৃদয় কাছে এসে
দাঁড়ায়ে রয়েছে আজ- কিছুত হবেই অবশেষে।
স্বপ্নের ধনিরা আজ মিশে গেছে জীবনের সাথে
চৈতের রোদেলা সকালে আমাকে তুমি লয়ে-
তুমি-আমি দুইজনে হেঁটে ছিনু, ধানক্ষেত শ্যামলের পথে-
গিয়েছিনু 'স্বপ্নের ধনী' আর 'জীবনে ফুল' মিল হয়ে।
ধান কাটা হয়ে গেছে বোশেখের রোদে
এখন মাঠের বুকে হাওর জলধী-
আর শিরীষের ডালপালা হলোদ বিকেল
জীবনের মিতভাষণ আমাদের নারী আর নদী-
লয়ে গজায় কবিতা,
মানুষের জন্মের ইতিহাস প্রতিদিন লিখেদেয়
আকাশ সবিতা।
সুচেতনা হয়তো দূরেই গেছে চলে-
সুরঞ্জনার চলা কোন আকাশে শেষ হবে জানিনাতো,
সুহাসিনী এসে গেছে পৃথিবীরে রূপসী করিতে-
চৈতে তাহার সাথে দেখা হয়েছিলো প্রথমতো;
হয়তো আবার হবে অঘ্রান প্রান্তরে শিশিরের শীতে।