somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকাশ্যে জনগণের ধর্মীয় আচরণ কি রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতাকে ক্ষুন্ন করে? আওয়ামী-বাকশালীদের ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা নিয়ে প্রতারণা!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
প্যারিসের রাস্তা সমূহে ক্রীসমাসের আকর্ষণীয় সাজ সজ্জা


Click This Link



Click This Link




প্যারিসে রাস্তায় নামাজ নিষিদ্ধ

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের রাস্তায় মুসলমানদের জন্য নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে প্যারিসে মেয়েদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লদ গুয়েন্ত বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আর প্যারিসের রাস্তায় নামাজ পড়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, যদি কেউ এ নিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ফ্রান্স মুসলমানদের জন্য রাস্তায় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করল।
ক্লদ গুয়েন্ত এর আগে একটি বার্তাসংস্থাকে বলেছিলেন, রাস্তায় নামাজ পড়া অগ্রহণযোগ্য। এটা সরাসরি রাষ্ট্রের ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলে আঘাত করে।
পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে ৫০ লাখের বেশি মুসলমান বাস করে।
প্যারিসের মিশ্র সংস্কৃতির এলাকা গোথে ডি অরের দুটি রাস্তায় শুক্রবারের নামাজ পড়া হয়। মুসলমানদের বলা হয়েছে, তারা যেন আর বাইরে নামাজ না পড়ে। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গোথে ডি অর মসজিদের ইমাম মো. সালেহ হামজা বলেছেন, তাঁরা মসজিদের ভেতরেই নামাজ পড়ার চেষ্টা করছেন। তবে রাস্তায় নামাজ না পড়তে দেওয়া নিয়ে ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
রাস্তায় নামাজ পড়া বন্ধের পাশাপাশি প্যারিসের ফায়ার ব্রিগেড কার্যালয়ের উন্মুক্ত জায়গায় নামাজ আদায়ের বিকল্প ব্যবস্থা করেছে সরকার। পুলিশ জানায়, ‘আমরা আশা করব, এর পর থেকে আর কেউ রাস্তায় নামাজ পড়তে চাইবে না।’ সূত্র: রয়টার্স ও বিবিসি।
Click This Link
**********************************
ফরাসী মন্ত্রীর মতে প্যারিসের কোন মুসলমান যদি রাস্তায় নামাজ পড়ে তা সে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে ক্ষুন্ন করে। তাহলে তিনি কি বলতে চান সে দেশের সব মানুষক ধর্ম হতে মূক্ত হতে হবে? দেশ বা রাষ্ট্র মানে কি? এর ভিত্তি কি? সহজ অর্থেই জনগণ। তো জনগণ কোন ধর্ম পালন করবে বা না করবে সেটা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই দেশের সংখ্যা গুরু কি লুঘু তারা দেশের নাগরিক হিসেবে প্রয়োজনে ও বিশেষ সময়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মীয় কোন আচার প্রকাশ্য স্থানে পালন করতেই পারে। তাতে মুষ্টিমেয় ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীর সংখ্যা গুরু কি লুঘু ধর্মে বিশ্বাসী কারো ধর্মীয় বিষয়াদি প্রকাশ্যে পালনে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে না। কিন্তু ফরাসী সরকার সেটাই করল যেহেতু তারা মুসলমান। অথচ ক্রীসমাস এলে প্যারিসের রাস্তা সহ পুরো ফ্রান্সে মহোৎসব হয়। কিন্তু সেটা ফরাসী সরকারের বিবেচ্য নয়। ক্রীস মাসের সময় স্বাভাবিক ভাবে বোঝাই যায় এটা খ্রীষ্টানদের দেশ। একে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় ঘর ও গীর্জার ভিতর আবদ্ধ করা যাবে না। তাহলে ফ্রান্সের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের হাতে সরকার ও মুষ্টিমেয় ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ধোলাই খাবে। কিন্তু মুসলিমরা সংখ্যালুঘু হওয়ায় তারা এই বৈষম্যের শিকার। ধর্মনিরপেক্ষতার ছুতো দিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। তাই বলা যায় ধর্মনিরপেক্ষতা বললেই তার আচরণ ন্যায়সঙ্গত হয় না। স্পষ্টতই এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই সব ধর্মের সমান অধিকার নয়।

কিন্তু আমাদের দেশে সেই ১৯৭২ সাল হতে মুষ্টিমেয় নাস্তিক(সবাই নয়) ও তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী আওয়ামী-বাকশালী গং বলে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হল সকল ধর্মের সমানাধিকার। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আচরণ তাদের বুদ্ধিজীবিদের গত্রদাহের কারণ হয়। তাই এ কারণে তারা দেশের সিংহভাগ মুসলিম জনগণকে ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মোনাফেকী করতে বলে। যা আদৌ একজন পবিত্র কোরআনে বিশ্বাসী মুসলমানের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমাদের এই সকল কালপ্রিট ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩২
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালী মেয়েরা বোরখা পড়ছে আল্লাহর ভয়ে নাকি পুরুষের এটেনশান পেতে?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২০


সকলে লক্ষ্য করেছেন যে,বেশ কিছু বছর যাবৎ বাঙালী মেয়েরা বোরখা হিজাব ইত্যাদি বেশি পড়ছে। কেউ জোর করে চাপিয়ে না দিলে অর্থাৎ মেয়েরা যদি নিজ নিজ ইচ্ছায় বোরখা পড়ে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×