somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাদঁ, আকাশ ও আমি

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়েছে বিদেশে এসে।ছিলাম অতিসাধারন, হলাম অসাধারন।পড়তাম মেয়েদের স্কুলে, এসে পড়লাম আমেরিকান হাই স্কুল যেখানে মেয়েদের ছেলেদের স্কুল বলে কিছু নাই।ছিলাম একা হলাম দোকা।আমার স্বভাব ছিল যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে।সবসময় খুব শান্ত মেয়ে হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলাম(যদিও ভিতরে ভিতরে আমি হলাম পৃথিবীর সবচেয়ে অশান্ত মেয়ে)।
খুব কম কথা বলতাম।কাউকে ভালো না লাগলে বেশ ভালো ভাবেই ইগনোর করতাম।খুব কম বন্ধু ছিল।পরে একটা ব্যাপার বুঝতে পেরেছিলাম, কারো সাথে দীর্ঘদিন না মিশলে আমার বন্ধুত্ব হতো না।প্রাকটিকাল জোক্স ভালো লাগতো না।আর এর জন্যই আমার কম বন্ধু ছিল।তাছাড়া প্রথম দেখায় কারো অসঙ্গতি দেখলে তার সাথে কথা বলার ইচ্ছা চলে যেতো।সায়ন্টিস্টরা বলে প্রথম দেখার ইমপ্রেশন নাকি পরে বিশ বার কথা হবার পর পরিবর্তন হয়।

কম বন্ধু হবার কারনে বইকেই বন্ধু বানিয়ে ফেলে ছিলাম।প্রচুর বই পড়তাম।গনিত আর বাংলা ছাড়া আর বিষয়ে চিন্তিত থাকতাম সব সময়।ভালো লাগতো লাগে লাবে ছবি আঁকা।এখনো মনে আছে, প্রথম দিন ওখানে স্কুলে এক দল আমার সাথে স্প্যানিশএ কথা বলা শুরু করেছিলো।কিছুই বুঝতে পারলাম না, দুই মিনিট হা করে তাকিয়ে থাকার পর আমাকে ইংরেজিতে বলল আমি মাক্সিকান নাকি।কি আজব, ভাবলাম মনে মনে।বললাম না, ওরা হতাশ হল, কিন্তু জানতে চাইলো কোথা থেকে আসছি।দশ বার বলার পর যখন বুঝলো না তখন রাগ হলো।সবচেয়ে সমস্যা হল এশিয়া মহাদেশকে ওরা এইস্যা বলে।তাই ষোল সতেরোবার বোঝানোর পর বুঝল।তারচেয়েও বড় সমস্যা আমার উচ্চারন।ব্রিটিশ ইংলিশ এর সাথে আমেরিকান ইংলিশের যে কত পার্থক্য, তা প্রথমবারের মত বুঝলাম।

অনেক অনেক খারাপ লাগতো প্রথম দিকে।এখনো লাগে, গান শুনতে শুনত যখন স্কুলে যাই, বাংলা উপন্যাস লেখা যখন পড়ি তখন মনে হয় এখানে এসে সব পেয়েছি, সুখ পাইনি।

তবে একটা ব্যাপার এখনো পরিবর্তন হয়নি, এখনো আমি একা।আগে খুব সাধারন ছিলাম বলে সবাই কিছুটা উপেক্ষা করত, এখন অতিঅসাধারন আমাকে সবাই এত সম্মান দেয় যে আমার সামনে ওরা জোক্স কিংবা স্লং বলে না।

একটা বিষয়ে এখনো আমি একরকম, আগেও ভালো শিক্ষার্থী ছিলাম, এখনো তাই রয়েছি। আমার সব শিক্ষক সবসময় আমার উপর সন্তুষ্ট।শুধু অনেক বেশি জানি, যা জানার দরকার তার চেয়েও বেশি।

এই হল আমি যাকে আপনি এই মাত্র জানলেন!


(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩৬
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শেষ মুহূর্তে রাইসির হেলিকপ্টারে কী ঘটেছিল

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩২

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত খুব কমই জানা গেছে। এবার এ ঘটনার আরও কিছু তথ্য সামনে এনেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের চিফ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের কিছু উল্টা পালটা চিন্তা !

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১০

১।
কলকাতা গিয়ে টুকরা টুকরা হল আমাদের এক সন্ত্রাসী এমপি, কলকাতা বলা চলে তার ২য় বাড়ি, জীবনে কতবার গিয়েছেন তার হিসাব কেহ বের করতে পারবে বলে মনে করি না, কলকাতার অলিগলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×