"অসভ্য বিনয়"
আহমাদ ইউসুফ
সময় যখন অসময়ের মুখোমুখি দাঁড়ায়,
অভিনীত জীবন তখন মুখোশ খোলে।
প্রেতাত্মারাও নির্মল হাসীর সাধনা সাধে।
সত্যিকার যোদ্ধার মুখে উঠে রক্তপন।
বারবনিতার আঁচলে প্যাঁচ খায় অসংখ্য কুমার।
আর লালিত স্বতিত্বের কুমারী বিলায় রাগরস।
শুধু কাপুরুষেরাই সাঁজঘর খোঁজে তখন।
সময়ের সাথে অকৃত্তিম রুপে
নিজেকে মেলানোর বিষাক্ত সরীসৃপ মানসিকতায়।
সভ্যতার মুখোশধারীদের দু' চোখ হতে,
ঠিকরে বেড়োয় অসভ্য বিনয়।
অন্ধ অনুসারী তাতে বিগলিত হয়।
নবাগত বিভক্ত হয় ত্রিমুখী ভাবনায়।
বোধ,নির্বোধ আর দুর্বোধ্যের ক্রম শ্রেণীতে।
শুধু সজাগ সতর্ক হয় ভুক্তভোগী।
সময় যার বারবার অসময় দেখেছে।
দেখেছে অসভ্য বিনীতের মুখোশ খোলা হিংস্রতা।
সভ্যতা যাদের অভিধানে সন্ত্রাস হয়ে উঠে।
পতনোন্মুখ মানবিকতায় তারাই সুশীল।
তাই তাদের হাতের মুঠোয় শোভা পায় মিথ্যা।
সত্য দলিত হয়ে গেছে বহু আগেই।
বিবেক বিবেচ্যের ঢালু পথ জুড়ে,
তোমার আমার জন্য এখন শুধুই কাঁটা।
আর তাদের জন্য পাপের ছাড়পত্র।
সেই সাথে প্রেতাত্মাদের উত্তরাধিকার সনদ।
হে সভ্যতা, নত হও,হও অবনত শির।
কুর্ণিশ কর এসব যোগ্যতরদিগকে।
মুখোশধারী যত অসভ্য বিনয়।