somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ সেন্টারের অবস্থা!!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিরোনামে ইচ্ছাকৃত ভাবে একটু ভুল করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান নাম হচ্ছে অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) যার প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিলো অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ সেন্টার (এআরসি)। কিন্তু এখনো অধিকাংশ মানুষ এআরসি হিসেবেই এটাকে চেনে দেখে শিরোনামে রাখা হলো।

যাই হোক, ২০০২ সালে এই প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। যে মূল উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের পদচারনা সেটা হচ্ছে বাংলাদেশে সংঘটিত সড়ক দূর্ঘটনাগুলোর কারন অনুসন্ধান এবং প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করার জন্যে বৈজ্ঞানিক গবেষনা কার্যক্রম পরিচালনা। এছাড়া দূর্ঘটনা প্রতিরোধে ড্রাইভার থেকে শুরু করে পথচারী সবার ভিতরেই নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি করাও এই প্রতিষ্ঠানের একটি ম্যান্ডেট। নিঃসন্দেহে এটা খুবই ভালো একটা উদ্যোগ ছিলো, এবং যেহেতু বুয়েটের তত্ত্বাবধানেই এই প্রতিষ্ঠানটি কাজকর্ম করবে, তাই এটা নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো মানুষ নিতান্তই কম ছিলো না।

এরপর অনেক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে সড়ক-নৌ-রেলপথে দূর্ঘটনার সংখ্যা এবং এতে নিহতের সংখ্যা আনুপাতিক হারে শুধু বেড়েই চলেছে। এই দূর্ঘটনা বৃ্দ্ধির কোন দায় অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে দেয়ার প্রশ্নই উঠে না, এবং আমি দিচ্ছিও না। কিন্তু আমার অভিযোগ হচ্ছে, এই যে এতো এতো দূর্ঘটনা ঘটছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিষ্ঠান তাদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে? বা আদৌ করেছে কি? শুধু কোন দূর্ঘটনা ঘটলেই দেখা যায় টিভি মিডিয়াতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মহোদয় কিছু গৎবাঁধা কথাবার্তা বলছেন।

সময় এসেছে তাদেরকে প্রশ্ন করারঃ তাদের রিসার্চ থেকে তারা দূর্ঘটনার কি কি কারন চিহ্নিত করতে পারলো বা কি কি উপায় বের করলো দূর্ঘটনা প্রশমনের? তাদের গবেষনালব্ধ ফলাফলগুলোকে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে সমন্বয়মূলক কাজের প্রয়োজন সেটাতে তারা কতটুকু সফল? নাকি এই বস্তা বস্তা গবেষনা রিপোর্টগুলা শুধু প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরীর শেলফগুলো্র সৌন্দর্যই বর্ধন করে যাবে আমৃত্যুকাল?

এই প্রতিষ্ঠানটি আসলে কি কি কাজ সম্পন্ন করেছে বা বর্তমানে কি করছে সে সম্পর্কে ধারনা নিতে সম্প্রতি আমি তাদের ওয়েবসাইটে গিয়েছিলাম। সেখানে যেয়ে আমার লজ্জা পাওয়ার পরিমান আরো বেড়ে গেছে। এই ওয়েবসাইট দেখে কে বলবে যে প্রতিষ্ঠানটি বুয়েটের অন্তর্ভুক্ত এবং বিগত ৯ বছর ধরে কাজ করছে? প্রয়োজনীয় যা কিছু খুঁজতে যাবো সবকিছুই ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’!! এছাড়া তাদের ‘Background’ এ যে কথা বলা আছে, ‘Mission’ এ-ও সেই একই কাওয়ালী চোথা মেরে দেওয়া হয়েছে! আরেকটা জায়গায় ‘Site’ কে লিখেছে ‘Sight’! আমি রীতিমতো বেকুব হয়ে গেছি এখানে এসে!

এটা সত্যি কথা, বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠানই তাদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করতে পারে না নানাবিধ আমলাতান্ত্রিক কারনে। কিন্তু বুয়েটের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যদি ঠিক মতো পরিচালনা করা যায় তাহলে বাংলাদেশের সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাসে অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অনেক বড় অবদান রাখতে পারবে।
বর্তমানে যিনি পরিচালক তিনি যেন ভবিষ্যতে সুনিপুনভাবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালিত করেন - এই প্রত্যাশা রইলো।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×