জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
Published : 17 Jul 2013, 02:46 AM
পুরাতন হাইকোর্ট এলাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘিরে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব। সাদা পোশাকে কাজ করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
তারা বলছেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউটর, তদন্ত কর্মকর্তা, সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) আনোয়ার হোসেন বলেন, “জামায়াত নেতা মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে, সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আমাদের সব্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে।”
সকালে হাইকোর্টসংলগ্ন ট্রাইব্যুনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড।
সড়কের মোড়ে অবস্থান নেয়া পুলিশ হাইকোর্ট এলাকায় প্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে। হাই কোর্টের মূল ফটকে ভোর থেকেই র্যর্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছেন।
অন্য দিনের মতো হাই কোর্ট এলাকায় রাস্তার মোড়ে কোনো ভিক্ষুককে দেখা যায়নি সকালে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদকে রায়ের জন্য নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে মঙ্গলবারই ঢাকায় নিযে আসা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের আগের রায়ের দিনগুলোর মতো এদিনও হরতাল করছে জামায়াতে ইসলামী। দলের সাবেক আমির গোলাম আযমের রায় ঘোষণা ও ৯০ বছর কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে গত দুই দিনও হরতাল করেছে তারা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপ নিবন্ধক অরুণাভ চক্রবর্তী মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রায়কে কেন্দ্র ট্রাইব্যুনালকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ট্রাইব্যুনালকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে।”