একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের জন্য জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় নেয়া হয়েছে।
Published : 17 Jul 2013, 03:51 AM
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদের বিরুদ্ধে।
ট্রাইব্যুনাল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক সুলাইমান নিলয় জানান, বুধবার সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে এই জামায়াত নেতাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস পুরাতন হাই কোর্ট এলাকায় পৌঁছায়। এরপর মুজাহিদকে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়।
রায়ের জন্য মুজাহিদকে মঙ্গলবারই নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই জামায়াত নেতাকে নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের একটি মাইক্রোবাস ট্রাইব্যুনালের দিকে রওনা হয় বলে চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক জানান।
আদালত কক্ষে নেয়ার আগে তাকে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়। রায়ের জন্য মুজাহিদকে মঙ্গলবারই নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয় ১০টা ৪০ এ। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং অপর দুই বিচারক মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম এজলাসে উপস্থিত হনে ১০টা ৪৮ এ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা রায় ঘোষণা শুরু করবেন।
রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সকালে হাইকোর্টসংলগ্ন ট্রাইব্যুনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড।
সড়কের মোড়ে অবস্থান নেয়া পুলিশ হাইকোর্ট এলাকায় প্রবেশকারীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে। হাই কোর্টের মূল ফটকে ভোর থেকেই র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। গণমাধ্যম কর্মীদেরও ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে নিরাপত্তা তল্লাশির পর।
ট্রাইব্যুনালের আগের রায়ের দিনগুলোর মতো এদিনও হরতাল করছে জামায়াতে ইসলামী। দলের সাবেক আমির গোলাম আযমের রায় ঘোষণা ও ৯০ বছর কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে গত দুই দিনও হরতাল করেছে তারা।