ঃ তুই কি বুঝতে পারিস?আমি তোকে খুব ভালোবাসি।
ঃ নতুন কিছু বল। এত সস্তা গল্প আর শুনতে ইচ্ছে করেনা।
ঃ চল বিয়েটা করে ফেলি।
ঃ হুমম বুঝলাম..... রেল লাইনের পাশ ঘেষে যে জলাটা আছে তারই একপ্রান্তে ঘাসের উপর বসে ল্যাপটপে নিয়ে ফেসবুকে ঘাটাঘাটি করছে রুহান।ঘাড় না ফিরিয়েই নির্লিপ্ত অমনযোগী জবাব।
খালের জলে চোখ রাখে কুমুন্তি মেঘগুলো ভেসে যাচ্ছে তাতে।এখানে সেখানে গুচ্ছ গুচ্ছ সবুজ পাতার ফাকে লাল শাপলা যেন থরে থরে জমাট বেধে ভাসছে তারই হৃদয়ক্ষরিত রক্ত।রুহান মাকড়সার জালের মত এক বন্ধুর ভিতর দিয়ে আরেক বন্ধুর প্রান্ত ছুয়ে যাচ্ছে। কমেন্টস লেখা শেষ করে মুখ তুলে চাইল রুহান।কাদছে কুমুন্তি।হাত দিয়ে আদরমাখা মুখে লেগে থাকা পানিটুকু মুছে দেয়।রুহানের বুকে ঝাপিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে কুমুন্তির।কুমুন্তির মাথার চুলগুলো দুহাতে করে ঠিক করে দেয় রুহান।তারপর ল্যাপটপটা আবার কোলে তুলে নেয়।তারবিহীন তারের বন্ধনে ডুবে যাবার আগে জানিয়ে দেয় ওসব সেকেলে আবেগ তার ভালো লাগেনা,এক সাথে পথ চললেই কি কোনো কমিন্টমেন্টে যেতে হবে নাকি?চারিদিকে কত কাজ কত ব্যস্ততা!!
শাপলার লাল রংগুলো আরও বেশি রক্তাক্ত হয়ে উঠে।পানির বুকে মেঘগুলো আর নেই, সেখানে নীলের ছড়াছড়ি।দুরের ট্রেনের হুইসেলটা ক্রমশ এগিয়ে আসছে।উঠে দাঁড়ায় কুমুন্তি .....।
রেললাইনের উপর জমে থাকা থকথকে লাল রক্তটুকু আজও ভুলতে পারেনারুহান।তার আজও কেন যেন মনে হয় মেয়েটা একটু বেশিই সেন্টিমেন্টাল ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৯