দিনাজপুরের রানীরবন্দরে জামায়াতের ‘পিকেটারের হামলার কারণে’ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
Published : 17 Jul 2013, 10:41 AM
মঙ্গলবার রাতে চিরিরবন্দর থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
একটি মামলা করেছে পুলিশ এবং অপরটি করে নিহতের পরিবার। পুলিশ মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
চিরিরবন্দর থানার পরিদর্শক হারিসুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে তিন শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এরা হলেন খামার সাতনালা গ্রামের মামুনুর রশিদ, রানীপুর গ্রামের আব্দুস ছামাদ এবং খোচনা গ্রামের আকতারুজ্জামান।
মঙ্গলবার হরতাল চলাকালে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে পিকেটিংয়ের সময় মারা যান ট্রাক চালক আব্দুল কুদ্দুস (৬০)। তার বাড়ি চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর গ্রামে।
পুলিশ পরিদর্শক হারিসুল বলেন, গাড়ীভাংচুর, সড়ক অবরোধসহ আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক আজম হোসেন। এতে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের ছোটভাই দেলোয়ার হোসেনের করা হত্যা মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে লরি চালক হাসান আলীকে (৩৬)।
ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হাসান আলীকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার ভোরে পিকেটাররা একটি ট্যাংকলড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ে মারলে চালক আহত হন এবং গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময লরিটি একটি রিকশাভ্যানকে ধাক্কা দিলে ওই ভ্যানের আরোহী কুদ্দুস গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।