somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দূর্ভাগা

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

:- ঐ ! কৈ রে তুই ?
:- এই তো দোস্ত, আমি ফয়েজ লেক ! জ্যামে পড়ছি । আইতাছি !
:- শালা তাড়াতাড়ি আয় ।
:- হু । রাখ !

লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামলাম । সকাল ৯ টায় বন্ধুদের সাথে একটা গেট টুগেদার ছিল । জিইসি তে । আর এখন বাজে ৮ টা ৫০, আর আমার ঘুম ভাঙ্গছে মাত্র ! ধুর । এই ঘুম আর না ভাঙ্গলেও কি হত ?

বিছানা ছেড়ে ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে শার্ট গায়ে দিতে দিতে টয়লেটে ঢুকলাম । প্রকৃতিক কম্ম আর ব্রাশ একসাথে (!) সেরে মুখ টা কোন রকমে ধুয়ে মানিব্যাগটা নিয়ে বেল্ট পড়তে পড়তে বেরিয়ে গেলাম । এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে আজ :(

অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়- হাতেনাতে কথাটার প্রমাণ পেলাম । পাক্কা ৩০ মিনিট একে খান মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা পেলাম না । অথচ অন্যসময় বাসের ঝটলা লাগে এখানে । ঘড়িতে তখন সাড়ে ৯ টা ! আর দেরি করা যায় না । ডান দিকে তাকাতেই একটা রিক্সায় চোখ পড়ল । চালক মাঝ বয়সী, উদাস ভঙ্গিতে বসে সিগারেট ফুঁকছে । এগিয়ে গেলাম ।

:- মামা, যাইবা ?
:- কই যাইবেন মামা ?
:- একটু জিইসি যাওয়া লাগবো ।
:- ৮০ ট্যাকা দিতে হইবো !
:- কি কও মামা ? ৫০ টাকা রেট ভাড়া ।
:- কি যে কন মামা ? হে দিন কি আর আছে ? দিন বদলাইছে না ?

বুঝলাম, দিন আসলেই বদলাইছে । বারকেটিং করে শুধু টাইম লসই হবে, কোন লাভ হবে না । তাই আর কথা না বাড়িয়ে রিক্সায় চেপে বসলাম ।

:- চলেন মামা ।

রিক্সা ঘুরিয়ে যখন চলতে শুরু করলেন, ঠিক তখনই কিছু একটার (!) দিকে চোখ পড়তেই মনের ভিতর ভাবের উদয় হল- মাইরালা ! মোরে মাইরালা !

:- খাড়ান ! খাড়ান মামা ! এক মিনিট খাড়ান !
:- কি হইছে মামা ?
:- এক মিনিট ওয়েটান ।

রিক্সা থেকে নেমে রাস্তার পাশে মুখটা উল্টা চাঁদের মত দুঃখী দুঃখী করে রাখা (!) সুন্দরীটার দিকে এগিয়ে গেলাম । মুখে যথাসম্ভব একটা বিনয়ীর ভাব ফুটিয়ে বললাম- এক্সকিউজ মি ?

মেয়েটা একরাশ বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে ফিরে তাকাল । প্রত্যাশিতই ছিল । কোন সুন্দরী আমার দিকে মোহনীয় ভঙ্গিতে তাকাবে এমনটা কস্মিনকালেও ভাবতে পারি না !

আবার সে বিনয়ী ভাবটা ফুটিয়ে তুলে বললাম- আমি একটা রিক্সা নিয়েছি । আপনি কি আমার সাথে যাবেন ?

মেয়ে এমন দৃষ্টিতে তাকাল ! তাতেই বুঝলাম যে আমার বলার মধ্যে বিশাল একটা ভুল হয়েছে ! তাই তাড়াতাড়ি ভুল সংশোধন করে আবার বললাম- দেখুন আমাকে ভুল বুঝবেন না । আপনি তো অনেকক্ষণ ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন । আমিও তো এতক্ষণ বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম । কিন্তু বাসের তো আজ দেখা নেই । হয়ত লাইনে কোন সমস্যা হয়েছে । তাই হয়ত বাস বন্ধ । এদিকে আপনি বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন । ফাইলের মধ্যে প্রবেশপত্র দেখা যাচ্ছে । হয়ত আপনার পরীক্ষার দেরি হয়ে যাচ্ছে । তাই বলছিলাম- চাইলে আপনি আমার সাথে যেতে পারেন ।

মেয়েটার চোখে মুখে দ্বিধান্বিত ভাব দেখা যাচ্ছে । হয়ত আমাকে বিশ্বাস করবে কিনা এই নিয়ে কিন্ঞ্চিত টেনশিত ! আমি ন্যাকামিটা আরেকটু বাড়িয়ে বললাম- এমনিতে এখান থেকে ভাড়া ৫০ টাকা । কিন্তু আজ বাস নেই বলে ৮০ টাকার নিচে যেতে রাজি হচ্ছে না । তাই আপনি যদি যেতে চান তাহলে ৫০% ভাড়া শেয়ার করেন তাহলে আপনারও যাওয়া হয় আমারও টাকা কিছু বাঁচে এই আরকি । চাইলে আসতে পারেন !

মেয়েটাকে টাকার কথা না বললেও হত । তবে কেন বলছি তার পেছনে একটা লজিক আছে । কথায় বলে- নারীর মন নাকি স্রষ্টাও বোঝে না ! তারা কোন সময় কিভাবে রিএক্ট করে এটা আগে থেকে ধারণা করা যায় না বলেই এই কথা বলা হয় । মেয়েটাকে ভাড়া শেয়ারের কথা বলার পেছনে আমার লজিকটা হচ্ছে- সুন্দরী মেয়েদের ইগো একটু বেশিই হয় । কোন সুন্দরীকে অপরিচিত একটা ছেলে এসে করুণা করবে এটা মেনে নেয়া তার ইগোর প্রতি হুমকিস্বরূপ । ভাড়া শেয়ার কথা এজন্যেই বলা যে- যাতে সে বুঝতে পারে প্রয়োজনটা তার নয়, আমার । আমি তাকে করুণা করছি না, বরং সে গেলে আমারই উপকার হয় !

সুন্দরীরা বোকা হলে তাদের মনটা অনেক দয়ালু হয় ! আমার উপকার করার এমন সুযোগ কি মেয়েটা হাতছাড়া করবে ? কমনসেন্স বলে করবে না । আমি রিক্সার দিকে ফিরে হাঁটছি । মেয়েটা পেছন থেকে ডাকার কথা । কিন্তু ডাকছে না কেন ? তাহলে কি আমার আমার লজিকে ভুল ছিল নাকি কমনসেন্স ফেল মারল । রিক্সায় উঠব ঠিক এমন সময়ই কাঙ্খিত ডাকটি এল- শুনুন....

আমি তো এটার জন্যই তৈরি ছিলাম । সাথে সাথেই ঘুরে বললাম- জ্বি বলুন....

মেয়ে এগিয়ে এসে নাভার্স ভাবটা অক্ষুণ্ন রেখেই বলল- চলুন....

হে হে ! লজিক তাইলে ঠিকই আছে । রিক্সায় উঠবো এমন সময় রিক্সাওয়ালা মামা বেঁকে বসল । ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটিয়ে তিনিও ন্যাকামি শুরু করলেন !

:- মামা, কামটা কিন্তু ঠিক হইল না !
:- কোন কামটা মামা ?
:- একজন যাইবেন বলে রিক্সা ঠিক করছেন কিন্তু এখন যাইতেছেন দুজন !
:- তাতে কি ? একজন আর দুজনের ভাড়া তো একই ! তিনজন হইলে এ না কথা ছিল !
:- ভাড়া কিন্তু বাড়াইয়্যা দিতে অইবো !
:- আইচ্ছা দেখা যাইবো নে, এখন চলেন....

রিক্সা চলতে শুরু করল । আমি ভেতরে ভেতরে পাশ্ববর্তীনীর সাথে কথা বলার তাগাদা অনুভব করলাম ।

:- আপনার নামটা কি জানতে পারি ?
:- কেন ?
:- না মানে.... একই রিক্সায় যাচ্ছি তো । তাই...
:- একই রিক্সায় চড়তে হলে নাম জানতে হবে- এমনটা কি কোন আইনে উল্লেখ আছে ?
:- না না ! তা থাকবে কেন ?

হঠাত্‍ করেই কথা বলার উত্‍সাহ হারিয়ে ফেলে চুপসে গেলাম । আর আমার চুপসে যাওয়া দেখে রিক্সাওয়ালা মিটিমিটি করে হাসছে । ব্যাটা হারামি একটা !! :@

দুজন রিকশায় মুখ দুদিকে করে বসে আছি । কারো মুখে কোন কথা নাই ! যে সময়টা উপভোগ্য হওয়ার কথা ছিল সেটাই হল চরম বিরক্তিকর । হঠাত্‍ ধরণী দ্বিধা হল আই মিন উঁচা হল !!

ঘটনাটা খুলেই বলি । রিকসা তখন আকবর শাহ মাজারের কাছাকাছি । প্রচন্ড গতিতে ছুটছে । রাস্তা ফ্রি বলে রিকসাওয়ালা মামাও কোন দিকে খেয়াল না করেই চোখ বুজে টানছে । ফলে যা হবার তাই হল । ঘন্টায় চল্লিশ মাইল বেগে এক স্পীড ব্রেকারের উপর দিয়ে তিনি রিকসা তুলে দিলেন আর আমরা দুজন বসা অবস্থা থেকে লাফ দিয়ে ৬ ইন্ঞ্চি উপরে উঠে গেলাম ! মেয়েটা ভয় পেয়ে ছোট্ট একটা চিত্‍কার দিয়ে শক্ত করে আমার হাত ধরে বসল ! একটু পরে স্বাভাবিক হয়ে রিকসাওয়ালাকে ঝাড়তে শুরু করল ! মেয়েটা যা ঝাড়তে পারে ! ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই ঝাড়ুদারীনী হবে !! (:পি)

ব্যথা+ভয় আমিও পেয়েছি । তাই আমার কিছু বলা উচিত ! কিন্তু আমার মধ্য তখন রোমান্টিসিজম ভর করেছে ! মেয়েটা যে এখনো আমার হাত ধরে বসে আছে ! মনে মনে মামাকে থ্যাংকস দিলাম !
মাম্মা, আরেকটা ঝাঁকি, প্লিজ !
আমার নির্লিপ্ত ভাব দেখেই বোধহয় মেয়েটার হুঁশ হল । সে আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বলল- স্যরি !

কেউ 'স্যরি' বললে তাকে 'ইটস ওকে' বলতে হয় । এটাই ম্যানার । কিন্তু আমি মুখে ভাব বজায় রেখে বসে রইলাম । চাইছিলাম মেয়েটাই যেন কথা শুরু করে ! করলও !

:- আমি কিন্তু স্যরি বলেছি !
:- তো ?
:- কেউ স্যরি বললে তাকে ইটস ওকে বলতে হয় । এটাকে নূন্যতম কার্টেসি বলে ।
:- পাশাপাশি দুজন যাত্রাসঙ্গী পরিচিত হওয়াও নূন্যতম কার্টেসির ভিতরেই পড়ে !

একটু খোঁচা মেরেই কথাটা বললাম । যাতে মেয়েটা বুঝতে পারে যে, তার প্রারম্ভিক আচরণ আমার পছন্দ হয় নি !

:- ওহ ! রাগ করে আছেন বুঝি ?
:- আমার রাগ এত সস্তা না । এসব ছোটখাটো বিষয়ে রাগার টাইম নাই !
:- তাহলে মুখটা এমন হুঁতুম পেঁচার মত 'ওফফ' করে রেখেছেন কেন ?

বলেই মেয়েটা ফিক করে হেসে দিল । হাসবো না হাসবো না করেও হেসে দিলাম ! হাসি মারাত্মক এক সংক্রামক ব্যধি । এক ড্রাম রাগও এক ফোঁটা হাসির কাছে ম্লান হয়ে যায় ! মেয়েটাই আবার কথা শুরু করল ।

:- আজ কেমেস্ট্রি এক্সাম । কিন্তু প্রিপারেশান একদমই খারাপ । এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে । তার উপর গাড়িও পাচ্ছিলাম না । সবকিছু মিলিয়ে মেজাজটা বিগড়ে ছিল । তাই তখন ওরকম করেছিলাম । কিছু মনে করবেন না প্লিজ !
:- ইটস ওকে । ব্যাপার না ।
:- আমি ঐন্দ্রিলা । আপনি ?
:- আমি মানুষ ।
:- হি হি হি ! সেটা তো আমিও দেখছি । আমি আসলে আপনার নাম জিজ্ঞাসা করেছিলাম !
:- ও । আমি ইমন । কোথায় থাকেন আপনি ?
:- আমি সাগরিকা রোড়ে থাকি । আপনি ?
:- আমি কৈবল্যধামে । সাগরিকা রোড়ে তো আমার প্রায়ই যাওয়া হয় । আপনাকে কখনো দেখি নি তো !
:- দেখার কথাও না । আমি তো সারাদিন রোড়ে রোড়ে টাং টাং করি না !
:- হুম । তা অবশ্য ঠিক । আমি আসলে ঠিক আপনাদের বাসার লোকেশানটা জানতে চাচ্ছিলাম !
:- আপনাদের ছেলেদের সমস্যাটা কি জানেন ? আপনারা বসতে পেলে শুতে চান ।
:- মানে ?
:- মানে ? এখন বাসার লোকেশান চাইলেন । তারপর নামার সময় ফোন নাম্বার চাইবেন ! কাল থেকে সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে বাসার সামনে গিয়ে আড্ডা মারবেন ! রাইতে বিরাইতে ফোন দিয়ে 'জানু, ভাত খাইছো ?' টাইপ ডায়ালগ মারবেন ! কলেজ ছুটি হওয়ার সময় হা করে গেইটে দাঁড়িয়ে থাকবেন ! আপনাদের মত ছেলেদের আমি ভাল করেই চিনি । অবশ্য আপনাদের আর কি দোষ ? আপনাদের কারেক্টারই এমন !!

আমি পুরাই হতবিহ্বল । খাঁটি বাংলায় যেটাকে বলে 'তাব্বুশ' !! তেরি মাকি আঁখ ! পাইছস কি তুই ? দায়া করে তোরে লিফট দিছি ! একটা থ্যাংকস দিবি তা না । সে প্রথম থেকেই পটর পটর করে যাইতেছস ! এদিকে বেয়াদপ রিক্সাওয়ালাটাও কুটকুট করে হাসছে । ইচ্ছা করতেছে দুইটারেই থাপ্পর লাগাই !

কিন্তু আমি কিছুই করলাম না । সৃষ্টিকর্তা আমাকে একটি খুবসুরত্‍ চেহারা না দিক ! চরম বিপদেও মাথা ঠান্ডা রাখার আজব এক গুণ দিয়েছেন । তাই মেয়েটার সব কথা কানের এক পাশ দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য পাশ দিয়ে বের করে দিলাম । মুখে আগের মতই সেই 'মাসুম' ভঙ্গিমাটা ফুটিয়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতে বললাম- না না ! আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন ! আমার সেই রকম কোন উদ্দেশ্য ছিল না !
:- তা আপনার কি রকম উদ্দেশ্য ছিল তাহলে ?
:- আসলে বাসায় আমার ছোট চাচার জন্য মেয়ে দেখা হচ্ছে । আপনি যদি আপনার বাসার লোকেশানটা দিতেন, তাহলে আব্বু আর দাদুকে নিয়ে চাচার জন্য আপনাদের বাসায় যেতাম আরকি !! (:পি)

রিক্সাওয়ালা এতক্ষণ কুটকুট করে হাসছিল । আমার কথা শুনে আর কুটকুটে ভাবটা ধরে রাখতে পারল না ! হো হো করে হেসে উঠল ।
হাসবে না ? 'আনক্লিনড ব্যাম্বু কাটিং ফ্রম বাঁশঝাড়' আর কাকে বলে !

আমি মুখে সেই চিরায়ত ভঙ্গি ফুটিয়ে বললাম- মামা, হাসো কেন ?
:- আপনের কথা শুনে, মামা !
:- আমি হাসির কি বললাম ! উনাকে আমার চাচার সাথে কিন্তু সেইরকম মানাবে !
:- হো হো হো !
:- হাইস্যো না ! দেইখ্যা চালাও !

ঐন্দ্রিলার দিকে তাকাতে সাহস পেলাম না । তবে না তাকিয়েই বুঝলাম সে আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করছে ! মানুষের চোখ দিয়ে যদি লেজার বীম বের হওয়ার সুযোগ থাকত তবে এতক্ষণে আমি পাউডার হয়ে যেতাম ! মেয়েটার সাথে আর কথা বলার সাহস করলাম না । সেও কিছু বলল না । রিক্সার টুনটাং শব্দ ছাড়াও তার নিশ্বাসের ফোঁস ফোঁস শব্দও কানে আসছে ! যাক ভাবা, ভালই ক্ষেপছে ! আমার সাথে গিরিঙ্গিবাজি ! (:বি)

উইমেন কলেজের সামনে ঐন্দ্রিলা নেমে গেল । জানি মেয়েটার হৃদয় ভেঙ্গে খান খান (শাহরুখ খান) হয়ে গেছে । ফেবিকল দিয়েও আর জোড়া লাগবে না । তাই কিছু উসুল করার এই সুযোগ ! মিনমিন করে বললাম- ইয়ে ভাড়াটা....

ঐন্দ্রিলা তার অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে আরেকবার তাকাল । আমি নিশ্চিত এই দৃষ্টি নিয়ে যদি কোন প্রতিপক্ষ তাকাত তবে মোহাম্মদ আলীরও বুক ধক করে উঠত ! আমি কোথাকার চুনোপুঁটি !? তাই আরেকবার মিনমিন করে বললাম- মামা চলেন যাই ! আমার চল্লিশটা টাকা জলেই গেল !!

ভাড়া দেয়ার সময় রিক্সাওয়ালা মুচকি হেসে বলল- মামা, জব্বর একটা কাজ করছেন ! এই পর্যন্ত রিকসায় যত জুটিরে বসাইলাম, সবসময়ই দেখছি মেয়েগুলাই শুধু ছেলেগুলারে বাঁশ দে ! আর ছেলেগুলার আবালের মত তাদের বাঁশ খাইয়্যাও হাসে ! হেগো মত বড় দুর্ভাগা আর নাই । আমার দেখা আপনেই পরথম পোলা যিনি এই মাইয়্যাডারে এত বড় বাঁশ দিলেন ! এক্কেবারে চাচী বানাইয়্যা দিলেন ! (:ডি)

পরথম বাঁশ দেয়ার আনন্দ মুখে ফুটিয়ে বললাম- দোয়া কইরেন মামা এই রকম যাতে সবসময়ই দিতে পারি !

চলে আসতে আসতে মনে মনে বললাম- মামা, আপনারে তো একটা কথা বলাই হয় নাই । এইরকম পথে ঘাটে অপরিচিত কোন মেয়েরে ধরে বাঁশ দিয়ে নিজেরে বীরপুরুষ জাহির করার কোন ইচ্ছাই আমার কোন কালে ছিল না । আমিও তো চেয়েছিলাম সেইসব আবালদের মত সকাল বিকাল কেউ একজনের ঝাড়ি খাইতে । ঝাড়ি খাইয়্যাও মুক বাঁকা করার বদলে মুখ কেলিয়ে হাসতে । কিন্তু আমার বড়ই দুর্ভাগ্য যে আমি সেইরকম 'দুর্ভাগা' হতে পারলাম না । কেন আমার এই দুর্ভাগ্যটা হল না !??
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×