somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধিক মমতা! হতভাগিনী দিপু মণি! এবং চিরায়ত 'মাল'!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ধিক মমতা!



তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি মনমত না হওয়ার পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে বাংলাদেশ সফরে এলেন না। অনেকের মত আমিও প্রাথমিক উচ্ছ্বাসে মমতার এই দেশপ্রেম (নাকি রাজ্যপ্রেম!) কে সম্মান জানিয়েছিলাম। কিন্তু একটু চিন্তা করতেই সেই উচ্ছ্বাস উবে গেছে!

কিসের দেশপ্রেম! এতো হারামিপনা! আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রাপ‌্যতার আইন ও ভৌগলিক কাঠামো অনুসারে বাংলাদেশ শুধুমাত্র ন্যায্য অংশটুকু চেয়েছে- বেশি তো চায়নি! তাহলে মমতার এতে আপত্তি কেন? পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পানি দরকার কারণ তাদের কৃষিকাজ করতে হয়- কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কি হাওয়া খেয়ে বাঁচে? বুশ-ওবামা অন্য রাষ্ট্রের খনিজ সম্পদ কেড়ে নিতে চায় বলে আমরা ওদের ঘৃণা করি- আর এদিকে মমতা জীবনের জন্য অপরিহার্য পানি কেড়ে নিচ্ছে- সেটাকে সাধুবাদ জানায় কোন বেকুব?

আমাদের ইলিশ আমরা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে তোদের দেশে পাঠাচ্ছি- তখনও কি তোদের বিবেক এমনিভাবে কাজ করে? করে না। কারণ তোরা স্বার্থপর ও কৃপণ জাতি!

ঝগড়াটে, পাগলাটে, একগুয়ে ও প্রচারপ্রিয় এই মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে কি কি অশনি সংকেত বয়ে আনে সেটাই দেখার বিষয়! (আমরা কিন্তু আড়াই বছর ধরে সেটা মর্মে মর্মে টের পাচ্ছি!)


হতভাগিনী দিপুমণি!



মনমোহন সিং বাংলাদেশে আসার পরের দিন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান মন্তব্য কলামে লিখেছেন-
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দুই দিনের সফরের প্রথম দিনেই বাংলাদেশের মানুষ গভীরভাবে হতাশ হয়েছে। গত সোমবার বিকেলেই আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি দেশবাসীকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আশাবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন।



কলামটি পড়ে দিপুমণির জন্য দুঃখ পেলাম। বেচারী কিসের আশায় এখনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে আছেন? যে দেশে একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক আগে থেকেই নিশ্চিতভাবে জানেন পার্শ্ববর্তী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী কে হচ্ছেন বা কে হচ্ছেন না- সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দিপুমণির অজ্ঞতা সীমাহীন ব্যর্থতাই প্রকাশ করে। দিপুমণির উচিত অন্যসব কাজ বাদ দিয়ে মতিউর রহমানের ডেস্কের সামনে বসে থাকা- তাতে যদি সঠিক তথ্যটি জেনে নিজের মুখ রক্ষা করতে পারেন!:|

চিরায়ত 'মাল'!



চুল পাকিলে মানুষ হয় না বুড়ো, আসল রসের বয়স এই তো শুরু!- কথাটি দেশবাসী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। বয়োবৃদ্ধ অর্থমন্ত্রী যতই দিন যাচ্ছে ততই 'রসের হাঁড়ি'তে পরিণত হচ্ছেন। তবে তাঁর রসিকতার ম্যাটেরিয়াল হল একটি হতভাগ্য দেশের মানুষ! এই মাল সাহেব আজকে বলেন- ট্রানজিট দিয়ে কিছু একটা নিব! কাল বলেন- ট্রানজিটের বিনিময়ে কিছু নেয়া 'শোভন' হবে না। মনমোহন সিংয়ের সফরের প্রথম দিন যখন তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি না হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হল- ট্রানজিট চুক্তিও হবে না- সেদিনই এক টিভি চ্যানেলে দেখলাম মাল সাহেব গাড়ির দরজা খুলে বলছেন- 'ট্রানজিট তো দেয়া হয়েই গেছে!'

সাবাস! বাঘের বাচ্চা! সত্যি বলতে আবার কিসের ভয়! শেয়ার বাজারের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লাখ লাখ বিনিয়োগকারীকে 'ফাটকাবাজ' বলতে যার মুখ আটকায় না তাঁর আবার ভয় কিসের?

অর্থমন্ত্রীর ঐ রসালো ও রহস্যময় হাসির অর্থ হতভাগা আমজনতা এখনও বুঝে উঠতে পারে নি। যেদিন বুঝবে সেদিন ধরে দাঁড়ানোর মত হাতের কাছে আর কিছুই পাবে না এই জাতি!


মারি হালা! পিডাই মারি ফালা! মারস না ক্যান?



সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৭
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×