দৃষ্টির জানালা খুলে অপলক চেয়ে আছি অনন্ত পথের দিকে-
সামনে আর কতদূর যেতে পারবো, তা আমাকে কখনোই জানানো হয়নি,
শুধু এতটুকু জানি, আমি পেছনে কিছু সোনাঝরা দিন রেখে এসেছি-
সেই শৈশব, যেখানে কেবল স্বপ্ন আর স্বপ্ন
ভালবাসার সোনালী চাদরে যেখানে আমি আবৃত ছিলাম সারাক্ষণ।
আমাকে তখন কে ভালোবাসে নি?
তখন তো আমার আমলনামার প্রতিটি পৃষ্ঠায় ছিল অগণিত নক্ষত্রের আলো
যা প্রতিদিন ফেরদাঊসের বিমল বাতাসে দোল খেত,
জমজমের পবিত্র পানি দিয়ে ফেরেশতারা ধুয়ে দিত আমার হৃদয়
আর সোনার চামচে করে ঠোঁটে তুলে দিত কাউসারের কোমল পানীয়।
সেই নিষ্পাপ দিনগুলো আমি পেছনে রেখে এসেছি।
এখন তো আমার জন্য পথের ওপর কেউ রেশমী পালক বিছিয়ে রাখেনা
কারণ, আমি এখন আর ফুলের মত সুরভিত নই ;
আমি আমার সকল ঐশ্বর্য অকাতরে বিলীন করে দিয়েছি মহাকালের গর্ভে।
সময়ের সাথে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে-
আমি আমার অজ্ঞতার অন্ধকারকেই ভোরের মত প্রস্ফুটিত করে তুলেছি
অথচ ইতোপূর্বেই আমার কাছে সতর্ক বার্তা এসেছিল :
"সময়ের কসম! নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত ।"
না, আমি আবার ফিরে যেতে চাই সে নিবিড় জলপাই বনের ছায়ায়,
যেখানে নরম বাতাস আমার চুল ছুঁয়ে যাবে,
যেখানে অবিশ্বাস আর অকৃতজ্ঞতা বলে কোন শব্দ নেই।
সেই দুধসাদা শৈশবের মত আমি আবার নিষ্পাপ হতে চাই !
কেননা, পড়ন্ত বেলায় 'হে প্রশান্ত আত্মা' বলে যদি আমাকে না ডাকা হয়,
তাহলে আমি কার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়বো ?