মিরপুর থেকে গুলশান আসার বাস একটিই, বেঙ্গল। বাস তো নয় যেন নরক। আজ অফিসে আসার জন্য মিরপুর-১ থেকে বাসে উঠলাম। ভাগ্যটা এতোই খারাপ যে সিট পেলাম ভিআইপি গ্যালারি অর্থাৎ একেবারে শেষ রো-তে। বাসের কন্ডিশন মাশাআল্লাহ। জানালার গ্লাস ভাঙ্গা, বেশকিছুর সিট নেই, বৃস্টির পানিতে বাকি সিটগুলো ভিজে একেবারে মাখন হয়ে আছে। কোনরকমে তাতেই বসলাম। কিন্তু ভাগ্যটা আজ আবারো আমার সাথে প্রতারনা করলো। আমার সিট থেকে অল্প দূরে উপরে আলো-বাতাস আসার জন্য বাসের ছোট ঢাকনা মত করা থাকে। সৌভাগ্য না দূর্ভাগ্য এটার সেই ঢাকনা উধাও। মামুরে জিগাইলে কয় চুরি হয়ে গেছে। বৃস্টির পানি সেই ফাকা দিয়ে এসে আমাগো সব্বাইরে ভিজাইয়া দিতাছে। আর আমরাও মনের আনন্দে (আসলে দু:খে) ভিজতে লাগলাম। সাথে ছাতা থাকাই তা দিয়ে কোনরকমে নিজেকে রক্ষা করতে লাগলাম। ১০নং এ আসার পর মানুষের ভিড়ে সে সুখটুকুও আর সইলো না।
আসতে আসতে অতি দু;খে কিছু কথা মনে উদয় হলো যা কবতে আকারে সামি ব্লগে দিতে মন চাইলো-------
মিরপুর থেকে গুলশান আসতে
আছে একটাই মাত্র বাস কোম্পানী,
নাম তার বেঙ্গল শুধু
আছে নামের বাহারী।
জানালার গ্লাস ভাঙ্গা, সিট নাই একটারও
বৃস্টি হলে পানি এসে ভিজিয়ে দেয় সব,
তারপরও অসহায় মানুষগুলো ওঠে পড়ে বাসে
গাদাগাদি করে থাকে একজন আরেকজনের সাথে।
অফিসে যাওয়ার তাড়া আছে সবারই
বাদুড়ঝোলা হয়ে যাবো যেভাবে পারি।
সময় মতো অফিসে উপস্থিত না হলে
পড়বে লালকালি আরো বসের গালাগালি।