মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল আপত্তিতে ভেস্তে গেলো তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ।সার্বিক দিক বিবেচনা করে মমতার এই কার্যকলাপ বাংলাদেশের বিপক্ষে গেলেও আছে মমতা-রাজ্যের পক্ষে।
১৯৭৬ সালে চালু হওয়া তিস্তা প্রকল্পের মাধ্যমে যত কৃষকের উপকৃত হওয়ার কথা, তাঁদের বেশির ভাগের কাছেই যে তিস্তার পানি পৌছায়নি।যেখানে মমতা তার নিজের রাজ্যের চাহিদা৬০ ভাগ পানি দিয়ে মেটাতে পারছিলোনা সেখানে বাংলাদেশ ক ৫০ভাগ পানি দিলে তার রাজ্যে পানির সংকট আরও বারবে।তাই একতরফা মমতাকে দোষ দিলে চলবে না।কারন মমতা নিজেই তিস্তার মাত্র ৪০ভাগ পানি পায়।এর আগেই ভারতের অন্য দুটি রাজ্য বাধ দিয়ে ৫০ভাগ পানি উত্তলোন করে ফেলে।বেচে থাকা ৫০ভাগ পানির মধ্যে ১৫ভাগ পানি তিস্তার সাভাবিক চলাচলের জন্য ছেরে দিয়ে অবশিষ্ট ৩৫ভাগ পানি হাসিনা-মমতার মধ্যে ভাগ করা হবে।এখন আপনারাই বলেন,আমরা কি পেলাম র মমতা ই বা কি পেলো।তাই দোষ মমতার না দিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ দেওয়াটাই উচিত।
এছারা সামনে মমতার রাজ্য-নির্বাচন,হতে পারে ভোট-ব্যাঙ্ক বাঁচানোর জন্য মমতার এই সিদ্ধান্ত।অথবা তিস্তা-চুক্তি কালক্ষেপ করার জন্য মনমোহন-মমতার একটি সাজানো নাটক।
যেহেতু ৩৫০কিলোমিটার দীর্ঘ এই তিস্তার ১/৩ বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থিত সেহেতু আমরা সম্পূর্ন পানির ৩ভাগের-১ভাগ আমরা পেতে পারি।বাকি ২ভাগ পানি ভারত তার কোন কোন রাজ্যেকে দিবে এটা তার অভ্যন্তরীন ব্যাপার।যাইহোক সাধারন ভাবে যদি বলি আমরা আমাদের নেয্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত, আশা করি বাংলাদেশ সরকার এ ব্যপারটি পূর্ণ বিবেচনা করবে।
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তবে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।৭ই সেপ্টম্বর বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারত, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সবশেষে, জনাব মনমহোন এর কাছে আমার আকূল আবেদন একতরফা মমতা কে দোষারোপ না করে,আপনি আপনার নীতিমালা ঠিক করেন এবং বাংলাদেশকে তার নেয্য হিস্যাটাই দিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৮