somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বউ বা প্রেমিকারর অতিরিক্ত ফোন খোজখবর বিরক্তির কারণ (যদি হয় পাকা প্রেমিক)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জগতে সুস্থ্যভাবে বেচে থাকার জন্য প্রিজনের সাথে যোগাযোগ করতেই হয়। না করে উপায় কি একটু ফোনআলাপনে যদি মনে শান্তি অনুভূত হয় তবে ক্ষতি কি? তাই তো আমরা সবাই কথা বলে নিজের আবেগকে বাড়িয়ে নেই আরেক ধাপ। প্রতিদিন খোজ খবর রাখা প্রেমিকার আবদার, প্রতিমূহুর্ত হলেতো আরও ভাল। প্রেমিক-প্রেমিকা চায় একটি মুহুর্ত যেন তাকে ভুলে না থাকে, সব সময় শয়নে স্বপনে ঘুমে জাগরণে সর্বদা যেন একে অপরকে মিস করে। শেয়ার করে আনন্দ পেতে কে না চায়? আমরাও তার ব্যতিক্রম না কিন্তু অতিরিক্ত শেয়ারিং ও কেয়ারিং যে বিরক্তিকর হতে পারে তা তো মানতেই হবে। কি করার দিল যে বেকারার! মনতো মানে না। নিচে এরকমই একটি ঘটনা।

এইতো ০১ মাস আগে আমার বন্ধু সৌদি আরবে থাকাকালে ফোনে এক সুন্দরী রমনীকে বিয়ে করে। বাবা-মা দেখে ঠিক করেছে কি আর করার, তাই বিয়েতে রাজি না হয়ে উপায় ছিলনা । যদিও ছবি দেখেও মেয়েকে পছন্দ হয়েছে তো আর বাধা কোথায়? মেয়ে ছেলে রাজি, সুরা পড়ল কাজি। মেয়ের বাড়িতে বিশাল আয়োজন, বিত্তশালী পরিবার দাওয়াতের আয়োজনে ছেলের বাড়ির সবাই মেয়ের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া শেষে ফোনে ছেলের সাথে যোগাযোগ করে বিয়ে সম্পাদন। নাম্বার ওয়ান ছেলে, দেখতে অনেক সুন্দর, স্বাস্থ্যবান, এক নাম্বারের খাটি ছেলে, এই মাঝে মাঝে নাইট ক্লাবে যায় আরকি! সমস্যা? ও কিছু না দেশে থাকতেও ডজন খানিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল। অপরদিকে মেয়ে ছেলের সমবয়সী, জানাগেছে মেয়েও পটুছিল। ছেলেও বিদেশে তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ওপাশে দোয়াদরুদ পরে কবুল বলে ফেলল। মেয়েতো ফোনেই কাবু, ছেলের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট আছে না, তাছাড়া মেয়ে বাবা মায়ের অবাধ্য নয়, প্রেম করতেই পারে তাই বলে তাকেই বিয়ে করতে হবে?। অন্যদিকে ছেলের ছবি দেখে পছন্দ, কথাও হয়েছে কয়েকদিন। বিয়ের পর দীর্ঘ ০৬ মাস ফোন আলাপন , ফেইসবুক চ্যাটিং, ভিডিও চ্যাটিং, আরও কতো ছবি চালাচালি, তাইতো মেয়ের তারাতে ছেলে ০৯ মাসের মধ্যে দেশে ছুটিতে আসল, তা আবার ৬ মাসের ছুটিতে বউয়ের তো আর খুশিতে ধরে না। ছেলে এয়াপোর্ট এ আসতেই মেয়ে এয়ারপোর্ট এ! মেয়ে ছেলে সাথেই তার গ্রামের বাড়ি চলে আসল। আসবেনা কেন কত দিনের প্রতিক্ষা কত কথা জমা, বুক ভরা জমিয়ে রাখা ভালবাসা স্বামীকে দিতেইতো মন চাইবে.....রাস্তায় দু’জনে গাড়িতে আসতে আসতেই কিছুটা ঘনিষ্টতায় পৌছে গেল। তবে আর দেরী কেন সেই ভোর রাতে রওয়ানা দিয়ে সকালে পৌছাল। পৌছেই আমার সাথে দেখা করল। আর চলে গেল বাড়িতে, স্ত্রীকে সকাল ১০ টায়ই প্রতিক্ষিত ভালবাসার সাগরে ভাসিয়ে দিল। সারাদিন পড়ার কত লোক আসল, কাউকে সময় দিতে পারল না, শুধু ঘরে শুধুই ঘরে। সন্ধা বেলায় বন্ধুদের সাথে দেখা করল। তিন বছর বিদেশ থেকে অনেক বদলে গেছে বন্ধু আমার। বউ যেমন মুটকি , বন্ধুটিও তার ব্যতিক্রম নয়, অনেক মোটা হয়েছে। তবে বিদেশই থেকেছে বটে , এখনও ঋণ ভুড়ি ভুড়ি, বাপে গাজা আর খানাদানায়ই উড়িয়ে দিয়েছে সব। মেয়ের বাড়ির অবস্থা ভাল, তাই প্রথম বার মেয়ে স্বামীর বাড়ি এসে খুশি নয়, নেই বিল্ডিং আছে টিনের ঘর। ছেলের পরিবারে আচারআচরনে অভ্যস্ত নয়। তাই বেশি দিন থাকতেও পারে না , মাঝ মাঝে আসে আবার স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি যায়, আবার আসে আবার যায়। তবে বন্ধুকে বউ খুব ভালবাসে বটে, একটু চোখের আড়াল হলেই ফোন করে, ১০ মিনিট পর পর কোথায় আছে কি করছে খোজ নেয়। ফোনে স্ত্রীর সোহাগ পেতে বন্ধুটিরও খুব আনন্দ লাগছে।লাগবেইতো সেই কবেকার কথা যখন দেশে ছিল, অনেক মেয়ের সাথেইতো সম্পর্ক ছিল, কত ঘুরেছে , কত জায়গায় তাদের নিয়ে!!! ভাবীর কথা বার্তাও দারুন, চমৎকার করে কথা বলে, খুব মিশুক। ভাবীর মতই ভাবী পেয়েছি তবে একটু বিরক্ত লাগে যখন বন্ধুটিকে নিয়ে কোথাও যাই , বারে বারে ফোন , শুধুই ফোন, আমাদের সবার কাছেই বিরক্ত লাগে, শুধু আমার ঐ বন্ধুটির কাছে নয়,

০২ মাস পর সেও হাপিয়ে উঠেছে, বউ একবার ফোন দিলে তাকেও বিনিময়ে ০২ বার দিতে হয়। না দিলেই যত কথা, মান অভিমান, আর অভিমান করলে বন্ধুটি বিপদে পড়ে, বিদেশ ফিরে যেতে মন চায়। বারে বারে রাগ করে , বারে বারেই রাগ ভাঙ্গাতেই হয়। শেষের দিকে বন্ধুটি ফোন করার আগে বউকে গালাগালিও করে নেয়, এভাবে ০৪ মাস পর দেখা গেল, ৪-৫ দিন যায়, তাদের মধ্যে যোগাযোগই থাকে না, ছেলেতো পূর্ব প্রেমিকা হারিয়ে অভ্যস্ত, মেয়েও কম নয়। ০১মাস ছুটি থাকতেই বিদেশ ফিরে গেল। এখন ০১ বছর চলছে গাড়ি এভাবেই হেলেদুলে চলছে...............থামবে কেমনে দেশে এসেই বউকে যে বাচ্চা উপহার দিয়ে গেছে.............এখনও তাদের সম্পর্ক এ রকম জানাগেছে।

*কি এর সমাধান?
*বন্ধুটি বা ভাবী কি করবে?
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×