গত ৬ই সেপ্টম্বর দেশে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সফরের প্রথম দিনেই বাংলাদেশের মানুষকে গভীরভাবে হতাশ হতে হয়েছে। কারন বহুল আলোচিত "তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হবে না", তবে এই হতাশার মূল দায়ভার নিতে হবে বাংলাদেশ সরকার কে-কারন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি দেশবাসীকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আশাবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন।আশা করি আগামীতে কথা বলার আগে বিচার-বিবেচনা করে বলবেন।কারন ভারত গত ৫ই সেপ্টম্বর প্রেস ব্রিফিং এ জানিয়ে দিয়েছিল যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হবে না।পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি আপনি কি মনে করেছিলেন দেশ-বাসী কে বোকা বানানো এতোটাই সহজ!!
বাংলাদেশ ট্রানজিট-সংক্রান্ত সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে অসম্মতি জানায়-এটা আমার মতে শেখ হাসিনা সরকারের সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত।কারন ট্রানজিট দিয়ে দিলে হয়তো ভারত তিস্তা চুক্তি নিয়ে আরো কালক্ষেপ কোরতো।এই সিদ্ধান্ত কঠোর হওয়ায় আমি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই ।
বাংলাদেশ ৪৬টি পণ্যের শুল্ক মুক্ত প্রবেশাধিকার পেলো ভারতের বাজারে, এটা আমাদের অর্থনীতি-তথা তৈরী পোষাক শিল্পে জন্য সুখবর।
অনেক নাটকের পর সই হলো ’৭৪-এর সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের প্রটোকল। এর বাস্তবায়ন খুব শিগগির না হলেও তিনবিঘা করিডর অবারিত থাকবে ২৪ ঘণ্টার জন্য।এটা ছিটমহল বাসীদের দীর্ঘ দিনের দাবী।তারা এখন যে কোনো সময় বাংলাদেশে আসতে পারবে।
এছারা নেপালের পণ্য পরিবহনে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, সুন্দরবন সুরক্ষা, সুন্দরবনের বাঘ সুরক্ষা, মৎস্যসম্পদ খাতে সহযোগিতা, বিটিভি ও দূরদর্শনের সহযোগিতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা এবং বিজিএমইএ ও নয়াদিল্লির ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশনের সহযোগিতা-সবমিলিয়ে আমাদের পাওয়া টা একেবারে নগন্য না।তবে ভারতের মুল উদ্দেশ্য ট্রানজিট-তিস্তার পানিতে ডুবে গেলো ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭