somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এখন আমি যেমন আছি......

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জানো আমি কিছুই হারাই নাই। তোমার দেওয়া সেই নেইল কাটার থেকে শেষ দেওয়া কষ্ট। সব এ আছে এই বুকে।

আমি সব সময় তোমাকে বলতাম আমার ভয় হয় যদি কোন দিন তোমাকে বুঝাতে না পারি যে কতটা ভালবাসি। আজ এর সেটা ভয় না সত্যি। ঠিক ৩৬৫ দিন পড় আজ আবার এসএমএস করলা।


মনে আছে সেই রাত এর কথা। মশার হাত থেকে বাঁচানোর কি চেষ্টাই না করছিলে তুমি, একটু পর পর হাত দিয়ে মশা তাড়ানোর কি যে চেষ্টা। আর এখন আমি কতকাল যে মশারি লাগাই না তার ঠিক নই। মঝে একবার ডেঙ্গু হইসিল তারপরও আক্কল হয় নাই । আমার নখ বড় ছিল বলে দিয়েছিলে সুন্দর হলুদ কালারের একটা নেইল কাটার। তুমি জান আমি খুব যত্ন করে রেখেছি সেটা। সেটা দিয়ে আর নখ কাটি না আমি। আর একটা কিনেছি নিউ মার্কেট থাকে,ঠিক একি রকম দেখতে যাতে মনে হয় তুমি আছ আমার সাথে। “চিরুনি” হ্যাঁ সেটাও আছে।


একবার আমার জ্বর হয়ছিল বলে পাগলিটি ঘণ্টা পার করে দিয়াছিল শাওয়ারের নিচে। পুরাই পাগল সে। আমার মাথা ব্যথা করলে নামাজ পরে দোয়া করতো আমার জন্য। যেদিন খুব বেশি কষ্ট হতো ওইদিন কুরআন শরীফ পরে দোয়া করে দিত। পাখি জানতে ইচ্ছা করে কি এখন কি করি। তুমি যাবার পর প্রথম প্রথম একটা কাজ করতাম নষ্ট কলম আর মাথা দিয়ে মাথার তালুতে চাপ দিতাম। এতে আর মাথার ব্যথাটা অনুভব করতাম না। কলম দিয়ে চাপ দেওয়ার কারণে মাথার তালুতে সুন্দর একটা ফুটা হয়ে যেত ফলে পুরা মাথার ব্যথাটা ওই খানে চলে যেত...... মজার না বিষয়টা। এখন অবশ্য এতে কাজ হয় না এখন মাথার ব্যথাটা শুরু হলে তোমার কথা খুব বেশি মনে হয় তাই নতুন সমাধান দারুন একটা ঘুম এর ঔষধ।


থাক না হয় সে কথা। তুমি অসাধারন ছবি আঁকতে। তোমাকে একবার জিজ্ঞাস করেছিলাম তোমার প্রিয় রং কি? তুমি চোখ ছোট ছোট করে বলেছিলে “মা কে জিজ্ঞাস করছ তার প্রিয় সন্তান কে??” তুমি একবার বলেছিলে ক্যানভাস এর অনেক দাম। তুমি জানো আমি ক্যানভাস কিনে রেখেছি তোমার জন্য। মেডিকেল এর হল এ আছে কোনদিন দিতে পারব কি ?? জানি না ......

এইচএসসি এর আগে একটা সময় ছিল যখন টাকা ছিল না। ফোন খুব কমই কথা হতো কিন্তু ভালবাসার কমতি ছিল না এক ফোঁটাও। মনে আসে কি সই দিন গুলি ফোন লুকিয়ে একটু কথা বলার সে কি আকুলতা। জানি আজ এ সবই তোমার কাছে অর্থহীন, তবু লেখা। আজ টাকা পয়সার অভাব নই, হ্যাঁ সৎ পথে উপার্জিত অর্থ। তবু শান্তি নাই।


আমার প্রথম জন্মদিন এ তোমার দেওয়া প্রতিটি জিনিস আছে আমার কাছে সজতনে। গ্লাসটা রেখেছি যতনে কিন্তু তোমার কথা রাখতে পারি নি। পানি তেমন একটা খাওয়া হয় না। আর রোদে ঘুরাঘুরি করতে বারণ করেছিলে ভুলি নিই কিন্তু কার জন্য এসব মেনে চলব এখন। তুমি কি দেখেছ কয়দিন আগে যে আমি ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছি। এখন আর কোন কিছু নিয়ে পিছুটান নিই। এখন শুধু এগিয়ে যাওয়া সেটা কি ধ্বংস না ভালর দিকে তা জানি না। ব্রাজিল আর জার্সিটা নেই। মা একটা ছেলে কে দিয়ে দিয়াছে আমার ছোট হয় বলে। সাপোর্ট কিন্তু কমে নি তাই বলে। সব সময় তোমার ভাল কাজের সাথে আছি। আমি মানুষ হইতে পারি নাই, পাগলই আছি। এখন ও মাসে একবার হলেও উত্তরা যাই। দেখে আসি সেই যায়গা গুলো যেখান থেকে এত কিছু শুরু। রেলের সেই ওয়েটিং রুম যেখানে ২-৩ ঘণ্টা ওয়েট করতাম। শেষ গিয়াছিলাম ২ মাস হয়ে গেল। আবার যেতে মন চাইছে।


তোমার দাওয়া লাল পেন স্ট্যান্ডটা খুব সুন্দর করে সাজানো আছে আমার টেবিলে। মাঝে মাঝে পড়া থামিয়ে দিয়ে তোমার দেওয়া লাল পেন স্ট্যান্ডটা দাখি। প্রতিটি দিন শুরু হয় ২ আর ৫ এর হিসাব মিলানোর খেলা দিয়ে। তোমার কাছে হাস্যকর লাগতে পারে বিষয়টা কিন্তু আমার কাছে......


মনে আছে কি শেষ যখন তোমার সাথে কথা হয়েছিল আমি বলেছিলাম আমাকে কিছুদিন সময় দাও আমি সত্যি চলে যাব। এখন মনে হয় সেই সময় চলে এসেছে তোমাকে বিদায় বলার। ক্ষমা চাই যদি কষ্ট দিয়ে থাকি। আর যদি একটুও ভালবাসতে পেরে থাকি তাহলে শেষ বারের মত দেখতে চাই। শুধু একটিবার। জানি তুমি বাস্ততার মাঝে নিজের মুক্তি খুজে নিয়েছো। কিন্তু আমি পারিনি। সারা দিনের কাজ শেষে যখন একটু সময় বের করি তখন এর না ভেবে থাকতে পারি না। আবার তোমাকে ভুলেও থাকতে চাই না। তাই এই বিদায়।


সময়টা কিছুদিন আগে স্থান বগুড়া CMH রাত ১০টা । আমি এক বার করে শ্বাস নেই আর মনে হয় এই বুঝি শেষ জীবনের। ওনেক কষ্ট করে চোখ খোলা রেখেছি। চারিদিকে আনেক ডাক্তার। শ্বাস নিতে অসম্ভব কষ্ট। নাকের উপর ওক্সিজেন কিন্তু বাতাস নাই। এক পলকের জন্য মা কে দেখলাম। বাবার মুখটা ফ্যাকাসে। ঠিক তখন আমার মনে হল আমার সেই কবুতরটার কথা। আর মনে পড়লো কবুতরকে নিয়ে তোমার লেখা কবিতাটি। কবিতাটির পাসে একটা ছবিও ছিল। একসময় ব্রাইন কাজ করা থামিয়ে দিল লাস্ট যে কথাটা মনে হল তা কি তুমি জানো “ তুমি ও তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত ”।


জানি যা করতে চলেছি তা পাপ। তারপর ও আমার আর কোন উপায় নাই। আমি মুক্তি চাই এই যন্ত্রণা থেকে...... মুক্তি মুক্তি মুক্তি
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×