somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতের প্রয়োজন মেটানোই হলো এ দেশের যে কোন সরকারের নীতি । আঞ্চলিক মোড়ল ভারতের হাতকে শক্তিশালী করে সাম্রাজ্যবাদ তার প্রয়োজন মেটাচ্ছে-নুসরাত জাহান

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় দুদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে থেকে জানা গেছে, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে বিদ্যুৎ খাতে বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার ডাক দিতে পারে ঢাকা ও দিল্লি। সূত্র: বিডি নিউজ 24.com । চলুন দেখা যাক ভারত-বাংলাদেশ এর মাঝে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার দৃশ্যটি কেমন-



গত বছর জানুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়া দিল্লি সফরের সময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মাারক সই হয়। প্রাথমিকভাবে ভারত কেন্দ্রীয় গ্রিড থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে দিতে সম্মত হয়। তখন জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা ছিল ভারতের।



সমঝোতা স্মারকের আগেই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলে ভারতের জাতীয় বিদ্যুৎ সংস্থা ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি)। এরপরও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারা পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। ধারণা করা হয়েছিল, বহরমপুরের কাছাকাছি কোনো প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এনটিপিসি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় এ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। ভারত তার অন্যান্য রাজ্য সরকারের কাছে বিক্রি করা দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও পরিবহন ব্যয়ের বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। যত দূরের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে, পরিবহন ব্যয় ততই বাড়বে। আবার প্ল্যান্টের জ্বালানি যদি 'তেল' হয়, সেক্ষেত্রে দাম বাংলাদেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের চেয়ে অনেক বেশি হবে, যার চড়া মাসুল গুনতে হবে বাংলাদেশের গ্রাহকদের। অমীমাংসিত এ ধরনের অনেক বিষয়েই বাংলাদেশকে এখনো অন্ধকারে রেখেছে ভারত। চূড়ান্ত চুক্তি সম্পাদনের আগে এ বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।



ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ব ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি) বিপিডিবির সঙ্গে যৌথভাবে খুলনায় কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ করবে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি-রফতানি এবং কয়লা ভিক্তিকবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে যৌথ কোম্পানি গঠন করার কথা বলা হচ্ছ । জয়েন্ট ভেঞ্চার এগ্রিমেন্ট (জেডিএ) এবং পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট সংক্রান্ত দু’টি খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ৪শ কেভি হাইভোল্টেজের সাবস্টেশন ও সঞ্চালন লাইন নির্মিত হবে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে যেসব জটিলতা ছিল তা অনেকাংশেই কেটে গেছে। যৌথ উদ্যোগে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হবে সেখানে বাংলাদেশ-ভারতের সমান অধিকার থাকবে। এতে প্রথমবার বাংলাদেশ এবং পরেরবার ভারতের প্রতিনিধি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন। জেডিএ গঠনের পর এটিকে একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে রেজিস্ট্রেশন করা হবে।



খুলনায় রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৩০ শতাংশ অর্থের যোগান দেবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। আর ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন দেবে ৭০ শতাংশ অর্থের যোগান। কিন্তু এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড একক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। বিরোধ নিত্তির বিষয়টিও বাংলাদেশের হাতে থাকছে না। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিনিময় প্রটোকল চুক্তি নেই যেমনটি বাণিজ্যিক বা অন্যান্য ক্ষেত্রে আছে। এছাড়া এমন কোনো আইনও নেই। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অধ্যাদেশেও কোনো বিনিময় বা অন্য দেশের সাথে যৌথ চুক্তির বিধান নেই। আগেতো নিজের দেশে আইন তৈরি করতে হবে। এ ধরনের চুক্তি হবে আত্মঘাতী। ভারত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতেই এসব করছে। তিনি আরও বলেন, এসব করে সব কিছুর কর্তৃত্ব ভারতের হাতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনবেন, দাম ঠিক করবে ভারত, কখন বিদ্যুৎ দেবে বা না দেবে এসব কর্তৃত্বও থাকবে ভারতের হাতে।





এই হলো দু দেশের মাঝে সম্পরকো । যেখানে একতরফা ভারতের প্রয়োজন মেটানোই হলো এ দেশের যে কোন সরকারের নীতি । আঞ্চলিকভাবে মোড়ল ভারতের হাতকে শক্তশালী করে সাম্রাজ্যবাদ তার প্রয়োজন মেটাচ্ছে ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×