ছোটবেলায় আমরা সবাই পড়েছি, ব্যাঙ উভচর প্রাণী। অর্থাৎ জলে-স্থলে এদের অবাধ বিচরণ। ইচ্ছেমতো এরা যেখানে সেখানে বসবাস করতে পারে। সারা বিশ্বে অসংখ্য প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। আমাদের দেশে ঠিক কত প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে তার কোন সঠিক হিসেব নেই। এখানকার কুনো ব্যাঙ এবং কোলাব্যাঙ কমবেশি সবাই চিনে। ‘বাংলাদেশ জার্নাল অফ জুলজির’ হিসেব মতে এদেশে ছোট বড় মিলিয়ে ১১ প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রজাতির সংখ্যা আরো বেশি, ১৯/২০ প্রজাতির মতো হবে।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে সবকিছু শুকিয়ে খটখটে হয়ে যায়। এরপর মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। বর্ষার প্রথম বৃষ্টিপাতের শুরুতেই বিচিত্র শব্দে শুরু হয় ব্যাঙদের ডাকাডাকি। কিছু কিছু ব্যাঙ এমন অদ্ভুদ শব্দে ডাকে যে যারা এসবের সঙ্গে পরিচিত নয় তারা ভয়ই পাবে। শীতে আমাদের ঘর-দোরে আশ্রয় নেয় এক ধরনের ব্যাঙ। এদের নাম কুনো ব্যাঙ। কোন ব্যাঙই আমাদের কোন ক্ষতি করে না, এরা বরং নানারকম বিষাক্ত পোকামাকড় খেয়ে আমাদের উপকার করে।
সারা বিশ্বের নানা প্রজাতির ব্যাঙদের স্বভাবও বিচিত্র ধরনের। এদের কোন কোন প্রজাতিকে গাছেও বসবাস করতে দেখা যায়। আবার কোন কোন প্রজাতির খোলস বিষাক্ত ধরনের। এদের বিষাক্ত স্পর্শে যে কোন প্রাণীই মারা যেতে পারে। সারা বিশ্বের এসব ব্যাঙ চমৎকার বর্ণবৈচিত্র্যে ভরপুর। একেক ব্যাঙ দেখতে একেক রকম। আমাদের দেশে ব্যাঙ নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত রয়েছে। যেমন ব্যাঙরা মণিমুক্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে ইত্যাদি। ব্যাঙের শরীরের সঙ্গে মানুষের শরীরের রয়েছে অদ্ভূত মিল। তাই বিজ্ঞানের ছাত্ররা ব্যাঙ কেটে কেটে শিখে নেয় অনেক কিছু। বাংলাদেশের কয়েক প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। এদের মধ্যে প্রধান হলো খসখসে ব্যাঙ। এ ব্যাঙয়ের গা খসখসে। এরা শীতের সময় না ঘুমিয়েও থাকতে পারে। সাধারণত ঘরদোর, বনের শুকনো জায়গা, গাছের গুঁড়ি বা নুড়ি পাথরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এদের পছন্দ। রাতে খাবার সন্ধানে বের হয় এরা। চোখের পিছনে এবং কানের উপর একটি করে প্যারটিড গ্রন্থি আছে। এদের দুটো প্রজাতি আমাদের দেশে আছে। একটি কুনো ব্যাঙ অপরটি গেছো খসখসে ব্যাঙ। প্রাণিবিজ্ঞানীদের ধারণা সিলেট জেলায় এদের পাওয়া যেতে পারে।
আমাদের দেশের গবেষণাগারে প্রতিবছর কয়েক লক্ষ কুনো ব্যাঙ আত্মাহুতি দেয়। একটি কুনো ব্যাঙ সর্বাধিক একশ পঞ্চাশ মিলিমিটার অবধি লম্বা হতে পারে।
ইংরেজি নাম-এরমথ বৈজ্ঞানিক নাম-Bufo melanostictus
আলোচিত ব্লগ
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।
আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!
এই... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঁচতে হয় নিজের কাছে!
চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু। লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন
সামুতে আপনার হিট কত?
প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন