আমি জানতাম শহরে এক যাদুকর থাকেন। নগরবাসীর চোখে একধরণের মুগ্ধতা। এই মুগ্ধতার আলাদা কোন ঘ্রাণ নেই—নাম নেই। যাদুকরের সাথে আমার কখনও দেখা হয়নি। দশবছর একই শহরে অবস্থান। ভুল করেও তো মানুষের সাথে মানুষের—পাখির সাথে পাখির—বাক্যের সাথে বাক্যের দেখা হয়ে যায়। সাইকেল চালিয়ে নগরীর পশ্চিমদিকে কিছুটা এগিয়ে গেলে একটা বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। সেই বাড়িতে যাদুকর থাকতেন। কিংবা শহরের বাইরে তার আরো একটা নিবাস। সেখানটাতে পৌঁছানোও কঠিন কিছু ছিলো না। তারপরও তাঁকে দেখতে ইচ্ছে করেনি। যাদুকরের সাথে আমার কখনো দেখা হয়নি। রহস্যময়তার আলাদা কোন সংজ্ঞা আমার জানা নেই। ঘোরের আলাদা কোন দৃশ্যময়তা আমার দেখা নেই। আমি এক মুগ্ধতার ভিতর, ঘোরের ভিতর, রহস্যের ভেতর তাঁকে খুঁজতে চেয়েছি। দেখা হলে কী হতো? আমার ঘোরের মাত্রা, মুগ্ধতার সীমা হয়তো বেড়ে যেতো। কিংবা কমে যেতো। তাতেই বা কী হতো? আমার নির্লিপ্ততা এসবের ধার ধারে না।
ব্যক্তিমানুষের হাঁটা চলা কথাবলায় আসলে কী থাকে। যাদুকরের হাঁটা চলা কিংবা বলনভঙ্গিতে কী ছিলো তা তাঁর কাছের মানুষজন জানেন। আমার কখনো জানতে ইচ্ছে করেনি। অনেককাল আগে ব্ইমেলা গিয়ে শুনেছি আজ তিনি এসেছেন। আমি ভীড় ঠেলে যাইনি স্টলের সামনে। আরো একবার শহরের রাস্তায় বন্ধুর সাথে এলোমেলো হাঁটতে হাঁটতে শুনেছি, বিপনীবিতানে ঘোরাফেরা করছেন যাদুকর। আমার কেন জানি ইচ্ছে করেনি, কাছে গিয়ে তার হাতটা ছুঁয়ে দেখি। কে জানে আমার ভেতর হয়তো ছিলো হাতবিষয়ক কোন ভুল ধারণা। যিনি লেখেন তিনি কী আসলে যাদুকরের হাত—পা—হৃদয় নাকি তার আত্মা?
অন্ধকারের কাছে আমাদের কিছূ জানবার থাক বা না থাক—অন্ধকারের নিজের কিছু প্রশ্ন থাকে নিজের কাছে। যাদুকরকে ঘিরে আমার সমস্ত আগ্রহ—সমস্ত ঘোর—সমস্ত কৌতুহল আসলে এক ধরনের অন্ধকার। সব অন্ধকারকে আলোর মুখ দেখতে দিতে হয় না। আমি তো চেয়েছি আমার মুগ্ধতা অন্ধকারে থাকুক, অজ্ঞানতায় বাঁচুক, নির্জনতায় একা একা ঘুরে বেড়াক। যাদুকরকে ঘিরে আমার সমস্ত মুগ্ধতা এক পাখি। আমি ভীতু। আমি দেখতে চাইনি কোন পাখির স্বাভাবিক মৃত্যু। আমি এও দেখতে চাইনি যে পাখিটি উড়ুক—আকাশের সুতীব্র উচ্চতায়...
যাদুকরের অস্তিত্ব মানে আমার অন্ধকার, আমার ঘোর। একটা রহস্যময়তা। শুনেছি যাদুকরের মৃত্যু হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি না। যার অস্তিত্বই একটা অন্ধকার ঘোর তার মৃত্যু হবে কিভাবে? কেউ কখনো শুনেছেন কোন ঘোরের মৃত্যু হয়েছে—কোন কৌতুহলের মৃত্যু হয়েছে—কোন যাদুর মৃত্যু হয়েছে?
আলোচিত ব্লগ
=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফিরে দেখা - ১৩ মে
১৩ মে ২০০৬
দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
কাঁচা আম পাড়ার অভিযান
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন