somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাকিব শাহরিয়ার
বিবর্ন স্বপ্নাবলী নিয়ে অর্ধ জীবন্ত এক অস্তিত্ব আমি। খুব সতর্ক পায়ে হেটে চলি এই ভূমন্ডলে ও স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি শূন্য পানে নিজের অস্তিত্বের ব্যাখ্যা খুঁজতে।

অস্তিত্বের অন্তরালে: ১০

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অদ্ভুত এ আলো আধারীর পৃথিবীতে হাটতে হাটতে ক্লান্ত অনিমেষ। ধূসর বালির এ মরুর বুকে মনের অজান্তে তাকে ডেকে বেড়ায় একটা সমুদ্র সৈকত, কিছু প্রবাল আর একটা জল রঙ এর কাপড় পরা অদ্ভুত রকম ফ্যাকাশে চেহারার একটা মেয়ে। পথের সঙ্গী প্রানময়ী সারাদিন বকবক করে তার উষর মরুর জীবনে একটু বিনোদন দেয়।
- এভাবে আমাদের আর কত পথ হাটতে হবে?
- আর বেশি না।
- মানে আমরা চলে এসেছি?
- হুম আমরা সাগরের খুব কছাকাছি এসে গেছি।
- তাই?
- হুম।
- আমার কিন্তু যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
- কেন?
- আমার তো্মার কাছেই থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে প্রানময়ী।
- তাই?
- হুম। তোমার মধ্যে যেন কেমন একটা প্রান প্রান ব্যাপার আছে।
- আরে বাহ।
- হুম। তুমি কথা বললে একটা প্রানের ছোয়া পাই। যেন আমার বুকের ভিতরে ছুয়ে যাচ্ছে একটা নরম হাত।
- তুমি আমার হাতটা একটু ধরবে?
- না
- কেন?
- কেন জানি না। তবে আমার ভিতরে যেন কি একটা বাধা দেয় তোমাকে স্পর্শ করতে।
- রাতে না আমার কুলে শুয়ে ঘুমালে?
- হুম তাতে কি? আমি কি তোমায় স্পর্শ করেছিলাম?
- না
- তাইলে?
- না এমনিতেই তোমাকে একটু ছুতে ইচ্ছে করছিলো সোনা বাবু তাই বললাম।
- দুঃখিত প্রানময়ী। আমি যখনই তোমাকে ছুতে যাই তখনই যেন কেমন একটা বাধা আসে ভিতর থেকে। একটা টোল পরা গজ দাঁতের হাসি ভেসে উঠে আমার মনের পর্দায়। আমি সে আবছা ছবিটা স্পর্শ করতে চাই কিন্তু পারিনা তা শুধু ঢেউ খেলতে থাকে নদীর জলে।
- সে তোমাকে কিছু বলে?
- উফ আমি কিছুই বুঝতে পারি না শুধু মাথা যন্ত্রনা করে। তুমি বড্ড বেশি কথা বলো।
- আচ্ছা বাদ দাও।
- না কেন বাদ দিব? বলোতো সে কে?
- আমি কিভাবে জানি?
- না, তুমি জানো। পাশ কাটাচ্ছো কেন? তুমি যদি আমার প্রৃথিবীর জীবন দেখে থাকো তাইলে তো তুমি অবশ্যই জানো মেয়েটি কে।
- হ্যা জানি।
- তাহলে বলছো না কেন?
- জেনে লাভ কি?
- সব কিছুতে লাভ খুজে কাজ নাই। আমি জান্তে চাই আমাকে বলো।
- শুনলে তুমি কষ্ট পাবে।
- তবুও আমি শুনতে চাই।
- শুনতে পারবে যখন তুমি প্রবাল পাবে।
- উফ প্রবাল! হ্যা আমি কখন পাব সেটা?
- আর বেশি দেরি নেই।
- তোমরা সবাই এমন রহস্য করছো কেন আমার সাথে?
- কারন তুমি সব কিছু খুব আগে থেকে জানতে চাইছো তাই।
- আমার জানতে ইচ্ছে হয়।
- আচ্ছা প্রৃথিবীতে থাকতে যে তুমি একই স্বপ্ন বারবার দেখতে সেটা কি কখনো জানতে চেয়েছিলে কেন তুমি এ স্বপ্ন বার বার দেখ?
- কোন স্বপ্ন?
- একটা মরুভূমি, একটা সমুদ্র সৈকত, কিছু প্রবাল, একটা জল রঙ এর কাপড় পরা অদ্ভুত রকম ফ্যাকাশে চেহারার একটা মেয়ে যে তোমাকে ডাকছে। এই বলে, “এসো আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি”।
- কি জানি আমার মনে নেই। কিন্তু এখন আমার মাথার ভিতর শুধু এই মহেন্দ্রক্ষণটাই খেলা করে। একটা মরুভূমি, একটা সমুদ্র সৈকত, কিছু প্রবাল আর একটা জল রঙ এর কাপড় পরা অদ্ভুত রকম ফ্যাকাশে চেহারার একটা মেয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে অতৃপ্ত আখি মেলে।
- কিন্তু আমার মনে আছে। তুমি পৃথিবীতে তেমন পাত্তাই দাও নি ব্যাপারটা।
- আচ্ছা আমাকে কে ডাকত?
- কেন আমি।
- তারমানে জল রঙের কাপড় পরা মেয়েটা তুমি?
- হুম। কেন তুমি চিনতে পারছো না?
- না, আমি তো আবছা অবছা দেখতে পাই সে ছবিটা। কিন্তু এক স্বর্গীয় অনুভূতি কাজ করে ভিতরে। মনে হয় যেন মনের শত সহস্র বছরের কোনো অনুভূতি পূর্ণতা পাচ্ছে সে মহেন্দ্রক্ষণে।
- হ্যা, সেটা আমার অনুভূতি তোমার মনে ও তা ভেসে উঠছে।
- আচ্ছা, এত মানুষ থাকতে তুমি আমাকে কেন ডাকতে?
- আরে মা আমি তো অনেক আগে থেকেই বলেছি যে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি শত সহস্র বছর ধরে তাইলে আমি তোমাকে কেন ডাকবো না?
- আচ্ছা, এত মানুষ থাকতে তুমি কেনো আমার জন্যই অপেক্ষা করছো? তুমি কি সব কথা সত্যি বলছো?
- তোমার সাথে মিথ্যা বলে আমার কি লাভ ম্রৃন্ময়?
- ম্ৃন্ময়, সে আবার কে?
- কেন তুমি।
- আমি আবার মৃন্ময় হলাম কবে?
- কেন তুমি এখানে আসার আগে আমি তো তোমাকে ম্রৃন্ময় বলেই ডাকতাম।
- ধুর পচা নাম। কেমন যেন ললিপপ ললিপপ মনে হয়।
- হা হা। তাইলে কোনটা ভালো লাগে তোমার?
- এই যে সোনাবাবু।
- কিছুদিন আগে তো সেটা বলে ডাকার জন্যই তুমি আমার উপর কত রাগ করেছিলে বাপ রে বাপ।
- রাগ করেছিলাম বুঝি?
- হুম
- আচ্ছা তখন ভালো লাগত না। এখন অনেক ভালো লাগে।
- এখন ভালো লাগে কেনো?
- কেমন যেন একটা আদুরে আদুরে ব্যাপার আছে তাই।
- তখন কেন ভালো লাগত না?
- আচ্ছা তুমি পুলিশের মত এত জেরা কর কেন? আমি কি তোমার আসামি?
- ছিঃ আমি কি তাই বলেছি?

(চলবে)
আগের অংশ পড়ুন
অস্তিত্বের অন্তরালে: ১ - ৩
অস্তিত্বের অন্তরালে: ১ - ৩ (বাকি অংশ)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬



যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।

সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি বললে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৭

তুমি বললে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

খুব তৃষ্ণার্ত, তুমি তৃষ্ণা মিটালে
খুব ক্ষুধার্ত, তুমি খাইয়ে দিলে।
শ্রমে ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত দেহে তুমি
ঠান্ডা জলে মুছে দিলে, ঊর্মি
বাতাস বইবে, শীতল হবে হৃদয়
ঘুম ঘুম চোখে পাবে অভয়।
তোমার আলপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×