"ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ...."
অবশেষে খুশির ঈদ চলেই এলো।একমাস ঘুমিয়ে থাকার পর হঠাৎ যেনো পাড়াগুলো জেগে উঠেছে। বাইরে গানের শব্দে কান পাতা দায়, পাড়ায় পাড়ায় লাইটিং ( লাইটিং আবার আমার খুব ভাল লাগে), মায়েরা ব্যস্ত হয়ে পরেছে রান্নাঘরে অর্থাৎ সব জায়গাতেই ঈদের আমেজ ষোলআনা।
ঈদ উপলক্ষে স্বপ্নরা সব বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। টিভির বাংলা চ্যানেলগুলো খুললেই দেখা যাচ্ছে স্বপ্নবাজ বাঙালির বাড়ি ফেরার যুদ্ধ।বাসে, লন্ঞে,এমন কি ট্রেনের ছাদেও মানুষের কমতি নেই।এত্তো অভিযোগ,রাগ,বিরক্তি - তবুও চোখের কোণে ভেসে থাকে ঘরে ফেরার আনন্দ। আমাদের বাসায়ও খুশির ঢল নেমেছে, আমার ভাইয়া-ভাবী চলে এসেছে ঈদ করতে। তারমানে আমাদের ঈদের কার্যক্রম শুরু।
আম্মা আর ভাবী মিলে ঈদের মেন্যু ঠিক করে, ভাইয়া যায় বাজার করতে আর আমি সব ঘর সুন্দর করে গুছাই।আর রাতে ভাইয়া আর ভাবী একফাঁকে বাইরে ইঁকটু ঢু মেরে আসে আর ফেরার সময় আমার জন্য নিয়ে আসে একগুচ্ছ কাঁচাফুল( ঘরে কাঁচাফুল ছাড়া আমার আবার ঈদঈদ লাগে না)।রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় ঈদের রান্না।আম্মা main cook আর ভাবী assistant।সবার আগে রান্না হয় পায়েস আর সেটার মিষ্টি চাখতে হয় এই আমাকেই। আমি অবশ্য খুশিই হই কারন আম্মার হাতের পায়েস, কি আর বলবো ..... অস্বাধারন! কিন্তু সব খুশির মাঝেও আব্বার কথা ভেবে মনটা ভারী হয়ে যায়, কারন আব্বা দেশের বাইরে থাকেন।যদিও তিনি ঈদের দিন ইকটু পরপরেই ফোন করেন, তবুও.......। (ইনশাআল্লাহ এইবার কুরবানির ঈদ আব্বা আমাদের সাথে করবেন, ইয়াহ্হু.....)
হায় হায়! কত কথা লিখে ফেলেছি!আশা করি ব্লগার বন্ধুদের ধৈর্য্যসীমার মধ্যেই আছি। হিঃহিঃ.......
অবশেষে আমার ব্লগার বন্ধুদের সবাইকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সবারই ঈদ খুব আনন্দে কাটুক। আর সবার কাছে আমার অনুরোধ, সবাই ঈদেরদিন আমার নামে এক চামচ পায়েস বেশি খাবেন..... । "ঈদ মোবারক" সবাইকে।।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১৬