চারদিকে তেঁতুল নিয়ে হৈচৈ।এক প্রতিবাদি তেঁতুল আত্মহত্যা করেছে। একটি তেঁতুলের কষ্ট মাখা হৃদয় বিদারক সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করেছে এক জৈনক ব্যক্তি।
আমার ছাপোষা সংসার।৮/১০ টা তেঁতুলের মত বেঁচে ছিলাম কষ্ট অবহেলা অপমান নিয়ে।মাটিতে জন্ম হলেও আমারা বানভাসি।কেও শিকড় উপড়ে নেয় ।ডালপালা ভেঙ্গে দেয় ছাগলে খায়।মরিতে চাই না এই সুন্দর ভুবনে অবলম্বন করে বেঁচে ছিলাম। মানুষ আমায় খেয়ে তৃপ্তি পায়।ভোগে সুখ নয় ত্যাগেই সুখ নিজে গর্বিত মনে হয়। কিন্তু হঠৎ নেমে এলো গভীর অন্ধকার।
আমি নাকি নোংরা অশ্লীল।প্রএিকায় টিভিতে ব্লগে আমায় নিয়ে আজেবাজে কথা সম্ভম নিয়ে জ্ঞানীগুণীরা টানাটানি করে।যেখেনে যাই আমায় ধুরধুর করে তাড়িয়ে দেয়।কথায় আছে অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকিয়ে যায়।আমায় নিয়ে মুখরোচক রগরগে কাহিনী শিশু কিশোর যুবক বৃদ্ধ সবার মুখে মুখে।দেয়ালে দেয়ালে কুকুর হইতে সাবধান স্টাইলে তেঁতুল হইতে সাবধানলেখা থাকে।অলিগলি পথের মোরে ইভটিজিং এর শিকার হই।আমায় দেখলেই বলে লুল তেঁতুল রাজনৈতিক তেঁতুল কাতুকুতু তেঁতুল জাকানাকা তেঁতুল হট তেঁতুল ।আমার সবাই ভাই ভাই তেঁতুল তোর রক্ষা নাই। আরও অনেক ১৮+ টুট টুট কথা ।অতিকায় হস্তি লোপ পেয়েছে কিন্তু ক্ষুদ্র তেলাপোকা এখন টিকিয়া আছে।আমি তেলাপোকা নই গর্বিত তেতুল।আমার শরীরে কলঙ্ক এঁকে দিয়েছে।আর সই তে পারলাম না। আমার ফাঁসির মঞ্চে সবাই নিষ্ক্রিয় দরসক।হে পৃথিবী বিদায়.. বিদায় বন্ধু বিদায়...
ইতি
প্রতিবাদি তেঁতুল
সূএঃফেসবুক