somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপির মেরুদন্ডহীন উপদেষ্টাদের জন্য শেখ হাসিনা এখনো ক্ষমতায় আছে।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহ সুধী সমাজ লুঙ্গী আর প্যান্ট টাইট কইরা বহেন। কেন কইলাম এই কথা জানেন কারন অহন যা কইতাম হেতে অনেকের ই প্যান্ট লুঙ্গি খুইল্লা যাইব। কি আমারে গাইল পাড়েন? জানেন মিয়া আমি আপানার কি করতে পারি এই দেখেন।

এই ফডু খান কিসের? আর ধুর পুলাপান কিছুই জানে না এইডা হইল ১৯৯৫ সালের ঘটনা। এক ব্যাডা হাইটা অপিসে যাইতেছিল হেই সময় আমাগো প্রধানমন্ত্রী আর তার দোসর জামাতের ডাকে হরতাল চলতাছিল। এই ব্যাডা বিরাট অন্যায় কইরা নিজের দেশের প্রতি সৎ থাইক্কা দায়িত্ব পালনে সেক্রেটারী যাইবার লাগছিল। মাশাল্লাহ আমাগো সোনার পোলারা এই অযৌক্তিক দাবী থাইক্কা হেরে বিরত রাকতে যাইয়া হেরে দিগম্বর ঘোষ বানাইয়া দেয়। আইচ্ছা যান বহুত ফাইযলামি করছি এই বার এট্টু সিরিয়াস অমু।

দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের এখন বেহাল অবস্থা। খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। বেড়ে গেছে মূলধন ঘাটতি। লোকসানের পরিমাণও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋন এখন ১৩ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ৪০ ভাগ। মূলধন ঘাটতি প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। আর ব্যাংকটির লোকসান এখন দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি।

হল-মার্কসহ কয়েকটি ঋণ কেলেঙ্কারি ব্যাংকটিকে এ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। ঋণ জালিয়াতি ছাড়াও প্রভাব বিস্তারে ঋণ বিতরণ, অবাস্তব সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা দিয়ে পুনঃ তফসিলসুবিধা প্রদান, সব ধরনের নিয়মনীতি উপেক্ষা এবং পুনঃ তফসিলের কিস্তি সঠিকভাবে পরিশোধ না করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সোনালী ব্যাংকে এসব অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

ব্যাংক পরিচালনায় ভয়াবহ ব্যর্থতার কারণেই সোনালি ব্যাংকের এই পরিণতি। বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়ে গেছে বৃহত্তম এই ব্যাংকটি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সরকার মূলধন না জোগালে সোনালী ব্যাংকের চলাই এখন কষ্টকর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সোনালী ব্যাংকের এই পরিস্থিতির জন্য মালিক হিসেবে সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) নিয়োগ দেয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই নিয়োগের ক্ষেত্রে সততা ও দক্ষতার প্রমাণ রাখতে পারেনি। অস্বচ্ছতাও আছে। তাই প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। সরকারের পরে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সোনালী ব্যাংকের এ অবস্থার জন্য দায়ী বলে আমি মনে করি।’

ইব্রাহিম খালেদ আরও পরিষ্কার করে বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকে হল-মার্ক কেলেঙ্কারির দায়ে বরখাস্তকৃত ডিএমডি মাইনুল হক রূপালী ব্যাংকের জিএম ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে এনে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি করা হয়। মাইনুল হক ট্রুথ কমিশনে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কীভাবে একজন আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজকে সোনালী ব্যাংকে ডিএমডি নিয়োগ দেয়? তাদের ব্যর্থতার কারণেই ব্যাংকটির এ অবস্থা হয়েছে।’

নতুন করে খেলাপি ঋণ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, গুণমান ভালো না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে সোনালী ব্যাংকের এক হাজার ৩১৩ টাকার ঋণকে খেলাপি চিহ্নিত করেছে। সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের ১২টি শাখা পরিদর্শনে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল বেশ কিছু পুনঃ তফসিল করা ঋণে অবাস্তব সময় প্রদান, কিস্তি পরিশোধ না করা বা কিস্তির আংশিক অর্থ পরিশোধ করার কারণে এসব ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করে।

এ নিয়ে ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণ (২০১২ সালের ভিত্তিতে) বেড়ে হয়েছে ৩৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে তা ১৩ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১২ সালভিত্তিক ‘শ্রেণীকৃত ঋণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি’ প্রতিবেদনে সোনালী ব্যাংকেরই পাঠানো তথ্য-উপাত্ত ধরে এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১২ হাজার ৪৫ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ উল্লেখ করেছিল। নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঋণ বাদ দিয়ে গত ডিসেম্বরের ভিত্তিতে ব্যাংকটিতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৩৩ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।

সামগ্রিকভাবে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাত হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। ২০১১ সাল শেষে খেলাপি ঋণ ছিল পাঁচ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা।

বিপুল অঙ্কের এই খেলাপি ঋণের বিপরীতে আগের হিসাবে ধরলে প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির দরকার সাত হাজার ১৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ব্যাংক সংরক্ষণ করেছিল চার হাজার ৪২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ঘাটতি ছিল তিন হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক নতুনভাবে ঋণখেলাপি চিহ্নিত করায় এখন ঘাটতি বেড়ে হচ্ছে চার হাজার ২৭৮ কোটি টাকা।

সোনালী ব্যাংকের এই বেহাল অবস্থা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকে ব্যাংকটির পরিস্থিতি গুরুতর বলে উল্লেখ করেন। গত বুধবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ব্যাংকের হিসাব এখনই চূড়ান্ত না করতে পরামর্শ দিয়েছে। তিনি জানান, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুণমান বিবেচনায় ৮০০ থেকে হাজার কোটি টাকার ঋণকে খেলাপি চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে এখনো আমরা প্রতিবেদন পাইনি। পুরোপুরি তথ্য ৩০ মার্চের মধ্যে আমাদের কাছে আসবে। সে পর্যন্ত আমরা হিসাব চূড়ান্ত করতে পারছি না।’

এই কথাগুলো আজকের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় আসছে। ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগ ওই ভদ্রলোককে দিগম্বর করে দিয়েছিল আজকে পুরা জাতিকে দিগম্বর করে দিচ্ছে।

বিএনপির মেরুদন্ডহীন উপদেষ্টাদের জন্য শেখ হাসিনা এখনো ক্ষমতায় আছে। আওয়ামীলীগ আজকে যা করছে বিএনপি তার ১০ ভাগের এক ভাগ করলেও অনেক আগেই ক্ষমতা থেকে চলে যেত।

এখনো সময় আছে বিএনপির পিছনে না লাইজ্ঞা কি ভাবে দেশের পিছনে থাকা যায় সেটা এই সরকারে যারা আছে তাদের একটু ভাবতে হবে। এক দিন হরতালে ১২৫ কোটি টাকা লস হয় আর এক হলমার্কে ৪০০০ কোটি গায়েব হয়। বিএনপি যেন কয়দিন হরতাল দিছে এই সরকারের আমলে?
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

‘নির্ঝর ও একটি হলুদ গোলাপ’ এর রিভিউ বা পাঠ প্রতিক্রিয়া

লিখেছেন নীল আকাশ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭



বেশ কিছুদিন ধরে একটানা থ্রিলার, হরর এবং নন ফিকশন জনরার বেশ কিছু বই পড়ার পরে হুট করেই এই বইটা পড়তে বসলাম। আব্দুস সাত্তার সজীব ভাইয়ের 'BOOKAHOLICS TIMES' থেকে এই বইটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিতর্ক করার চেয়ে আড্ডা দেয়া উত্তম

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬

আসলে ব্লগে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি বিতর্কের চেয়ে স্রেফ আড্ডা দেয়া উত্তম। আড্ডার কারণে ব্লগারদের সাথে ব্লগারদের সৌহার্দ তৈরি হয়। সম্পর্ক সহজ না হলে আপনি আপনার মতবাদ কাউকে গেলাতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে প্রাণ ফিরে এসেছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪



ভেবেছিলাম রাজিবের অনুপস্হিতিতে সামু রক্তহীনতায় ভুগবে; যাক, ব্লগে অনেকের লেখা আসছে, ভালো ও ইন্টারেষ্টিং বিষয়ের উপর লেখা আসছে; পড়ে আনন্দ পাচ্ছি!

সবার আগে ব্লগার নীল আকাশকে ধন্যবাদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালি নারীর কাছে

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

পরনে আজানুলম্বিত চিকন সুতোর শাড়ি, সবুজ জমিনের পরতে পরতে কবিতারা জড়িয়ে আছে বিশুদ্ধ মাদকতা নিয়ে, গোধূলির আলোয় হেঁটে যায় নিজ্‌ঝুম শস্যক্ষেতের ঘাসপাঁপড়ির আল ধরে, অতিধীর সুরের লয়ে, সুনিপুণ ছন্দে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসেন ইক্টু ঘুরাঘুরি করি.... :-B

লিখেছেন সোহানী, ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:২৩

এক কসাইয়ের লাশ আরেক কসাই কিভাবে কিমা বানাইলো কিংবা কত বিলিয়ন ট্যাকা টুকা লইয়া সাবেক আইজি সাব ভাগছে ওইগুলা নিয়া মাথা গরম কইরা কুনু লাভ নাইরে... আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×