পৃথিবীটা খুব সুন্দর। এখন বুঝতে পারি। তাই চলে যেতে মন কিছুতেই সায় দেয় না। আরো ষাট বছর বাঁচতে ইচ্ছে করে। আমি যাদের ভালবাসী, যারা আমাকেও ভালবাসে সেই সব নিষ্পাপ ফুলের ভেতর যে শুয়োপোকা ঘুরে বেড়ায় না তা তো নয়। কিন্তু তাতে ফুলের কি দোষ? এই যে আমি বেঁচে থাকছি, লিখছি আমার ভেতরেও তো রয়েছে ঘুনপোকা। ধীরে ধীরে তারা তাদের কাজ করে চলেছে। আমি কি করতে পারি? আমার কি দোষ ছিল কোনো!
শুয়োপোকা গুলো মাঝে মাঝে ঘুনপোকাদের উৎসাহ দেয়। আবার ঘুনপোকারা শুয়োপোকাদের সুযোগ করে দেয়। এটা তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তাই না? পৃথিবীর সকল প্রানীই একছত্র দখল চায় তার প্রয়োজনীয় সবকিছুর। এ এক অদ্ভুদ রসায়ন।
কিন্তু আমি কোনদিন শুয়োপোকাদের চিনতে পারিনি। ঘুনপোকাদেরও নয়। কিন্তু আমি টের পাই তারা কাজ করে চলেছে.... চুপিসারে।
আমি শুধু জানি পৃথিবীতে সাতটা নরক এবং নারকীয় সব কিছু। সবকিছু জেনে বুঝে এখন আমার বাচতে ইচ্ছে করে আরো ষাট বছর। ছোটবেলায় মায়ের কাছে শুনতাম বাচ্চারা মরে গেলে নাকি তাদের পাপ লেখা হয় না। তারা বেহেশতে চলে যায়। শুনে শুনে ভাবতাম তাহলে তো ছোটবেলাই মরে যাওয়াই ভালো। মা বলতেন "না। মরে যাওয়ার কথা বলতে নেই"। ছোটবেলায় আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে আমার মা যেনো কার গল্প শুনিয়ে বলতেন "বড় হলে জানতে পারবে।" বড় হয়ে জেনেছি পৃথিবীর বাইরে কোন নরক নেই। তবু অষ্টম স্বর্গ মানুষকেই বানাতে হয়।
শুয়োপোকাদের মৃত্যু নেই ঘুনপোকারাও চিরজীবি প্রানী। মানুষেরাই শুধু অষ্টম স্বর্গের দোরগোড়ায় পৌছতে পৌছতে হারিয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:১৯