নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে নির্মাণাধীন বেড়াকুটি বড়ুয়া দাখিল মাদ্রাসাটি গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর পরিদর্শন করেছেন। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত মাদ্রাসার কাজের অগ্রগতি দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সাংসদ মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, এবার নীলফামারীতে যদি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়, তাহলে সেটি হবে বেড়াকুটি বড়ুয়া দাখিল মাদ্রাসা। এ সময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, আলিম উদ্দিন বসুনিয়া, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, আলোচিত শিক্ষক রঞ্জিত কুমার রায়, মাহবুব হোসেন, আবুজার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক রঞ্জিত কুমার রায়ের মাদ্রাসা ও তাঁর পরিবারের জন্য একটি ঘর নির্মাণকাজের প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ১১ আগস্ট নির্মাণকাজ শুরু হয়।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জালালউদ্দিন বলেন, ‘প্রথম আলোর কারণেই আমরা মাদ্রাসার একটি ঘর পেলাম। সাংসদ নূরের প্রতিশ্রুতিতে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।’
১৯৯৯ সালে ৮১ শতাংশ জমির ওপর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১০ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনো মাদ্রাসা নেই। ৩৫০ ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে এখানে। মাদ্রাসায় এবতেদায়ি শাখায় চারজন ও দাখিল শাখায় নয়জন শিক্ষক এবং তিনজন কর্মচারী আছেন। দীর্ঘ সময়েও মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আরও অনুদান: মাদ্রাসা ও শিক্ষক রঞ্জিতের থাকার ঘর নির্মাণের জন্য ২২ আগস্ট পর্যন্ত ওই তহবিলে তিন লাখ ৩২ হাজার টাকা জমা পড়েছে। যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ তহবিলে আর্থিক সহায়তা দিতে পারেন। যোগাযোগ করতে পারেন ০১৯১৪-৬০০৭৭০ নম্বরে।
‘এক বেলা শিক্ষকতা, অন্য বেলা দিনমজুরি’ শিরোনামে গত ৯ মার্চ প্রথম আলোর শেষের পাতায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর দেশ-বিদেশের অসংখ্য পাঠকের অনুরোধে প্রথম আলো মাদ্রাসা ও শিক্ষক রঞ্জিতের থাকার জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ কাজে অংশ নিতে অনেকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৪৬