somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক মিনিট ত্রিশ সেকেন্ড

২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক মিনিট ত্রিশ সেকেন্ড
সাগর কান্তি দেব……



এটা এক মিনিট ত্রিশ সেকেন্ড সময়কালের একটা গল্প এবং এই সময় টুকু দিয়েই কাটিয়ে দেয়া যায় এক মহাকাল। আর সাথে যদি জুড়ে দেয়া যায় হয়তোবা শব্দটি তাহলে এই এক মহাকালেই এক মহাভারত। ঘটনা সাদাকালো আর আমার স্বপ্ন গুলো বেহায়া রখমের রঙ্গিন আর তাই আমি রঙ ছড়ানো ছাড়া গল্প বলতে পারি না। এক চিমটি লবণ ছাড়া যেমন তরকারী হয়ে উঠে বিশ্বাদ তেমনি একটু আদটু কল্পনা ছাড়া কি আজকাল গপ্ল বলা যায় নাকি কেউ বলে?
ঘটনার আদোপান্ত বিস্তারিত বলতে গেলে রঙ্গিন গল্পটা আবার হুমকির মুখেই পড়বে তাই বিনীত ভাবে আপনাদের হাতে পায়ে ধরে আমি আমার গল্প টাতে কয়েক ছিমটি কল্পনা জুড়ে দিচ্ছি। আমার বিচিত্র রখমের একটা অভ্যাস আছে আমি গন্ধ শুখে শুখে সময় কল্পনা করি এই যেমন কারো বাড়ীতে বেড়াতে গেলেই আমি বিশেষ রখমের একটা গন্দ পাই যা আমার নিজের বাড়ীতে নাই।দুরগা পুজার সময় কাল এলেই আমি অন্য আরেক রখমের গন্ধ পাই যা অন্য কোনো সময়ে পাই না। আমার এহেনো বদভ্যসের কারনে মাঝে মাঝেই আমি আমার পথ হারিয়ে ফেলি কারণ আমার মস্তিক সব সময় আমাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারে না সে মাঝে মাঝেই গন্ধ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই যেমন কিছু দিন আগে ট্রেনে করে কাজে যাচ্ছি কিন্তু আমার গন্ত্যবের ষ্টেশন আসার পড়েঅ আমার খেয়াল ছিলো না। অনেক ষ্টেশন পাড়ী দেবার পর হটাত করে মনে হলো এই যা আমি এ কোথায়। ধান বানতে গিয়ে মানুষ শিবের গীত গাইবেই আর তাই এই বাঘধারাটার প্রবতন আমিও আসলে এক মিনিট ত্রিশ সেকেন্ড সময় কালের গল্প বলতে গিয়ে আপনাদের কতো কথাই না বলে গেলাম । নিত্যদিনের মতি আজঅ আমি কাজেই যাচ্ছিলাম আর এহেনো কিছুই না ঘটা স্বাভাবিক জেনে শিনেই আমি আমার মতো করে হাটছি। ঠিক তখনি আমার পিছন হতে সে সামনে এলো। লাল জামা, ঘি রঙের এক পাশে আলতো করে ফেলে রাখা উড়না, সেই রঙের পায়জামা, একটা ছোট্টো ব্যগ কাধে জুলানো, মাথায় কালো চুল। বড় বড় অনেক সন্ন্যাসি যেখানে ধপাস করে হাজার বছরের ধ্যান ভেঙ্গে তাকিয়েছেন সেখানে আমার মতো পাপীর চোখ। হা করে করে আমি তার পিছনে সে আমাকে দেখলো কিনা হিসাব মেলাতে ভিষন হিম শিম খাবার অবস্তা। আমি তার পিছনেই ছিলাম কিন্তু নষ্ট ইন্দ্রিও আমার বললো অরে হাদারাম সামনে যা, আমি সামনে গেলাম গিয়ে দেখি আমার বেকায়াদা অবস্তা আমি তাকাতে পারি না আমার চোখ বেশি সুন্দর ইদানিং সজ্য করতে পারে না। অগ্যতা অগতির গতি পরমেশ্বর কে ঢেকে আবার পিছু নিলাম। এই মেয়ে যেখানে বসবে সেই খানেই বসবো মনস্ত করে তাহারো পরানো মাঝে আমারো পরানো ঢেলে কতো যে যতনে তাহারো পিছু পিছু আমি। কিন্তু অইযে বিধিবাম হতাত করে সে বামে মোড় নিলো আর বাম দিকে DLR ট্রেন চলে আমার যাওয়া নিসিদ্দ অই সময়ে অই দিকে। কিন্তু “সে চলে গেছে বলে কিগো তার স্ম্রিতি উ হায় যায় ভুলা” তাই আমি তাকে ভুলতে পারলাম না। ভাবতে লাগলাম আর কি করা যেতো---- হায় একবার যদি হাই বলতাম, যদি বলে দিতাম চেনা চেনা লাগে তুমি কি আমাই চেনো নিশ্চই কিছু একটা শোনা হতো। কিংবা একটু আলতো ছুয়া সরি বলে আবার দেখা, রিয়েলি সরি, এক্সট্রিমলি সরি (হায় সরির আশে পাশে এতোকম শব্দ কেনো)বার বার করে বলা আর আবারো খনিক দেখা……………………
যাক আপনাদের বিরক্তির চরমে তুলে এইবার দুইটা খাটি কথা বলি আমি শুধু অর পিছনেই হেটে গেছি আর ভেবে গেছি সে নিশ্চই দারুন সুন্দরী আর আমারি মতো বাঙ্গাল বাঙ্গালী মেয়েদের সুন্দরি হিসাবে অনেক দিন হয় দেখি নাতো তাই ভীমরতি আরকি……………………………………………।

তবে দুইখান কবিতা মনে মনে ঠিক করে ফেলছি বাসর রাতে বউ পচন্দ হলে তাকে বলার জন্য------------------

আমার এই এক জীবনে যা কিছু সঞ্চয় সবই আমার এই মন
আমার এই মন নাও আর কয়েক যুগ বাচার সাহস দাও
আমার হৃদয় খাচা খুলে যদি তোমায় বলি দেখ খাচা একদম খালি
পাখি হয়ে এক্ষুনি ঢুখে যাও
তুমি না বলার আগে প্লিজ অই যে বিষের পেয়ালাটা আমার হাতে দাও…………
{আমার বউ নিশ্চই দারুন খুশী হবে, এরখম পিউর ভালোবাসা
এক মিনিট ত্রিশ সেকেন্ড কাল সময়ের গল্প শেষ এক খানা কমেন্টস লিখে আপনি চলে যান }
লন্ডন – ০২-০৯-১০, রাত ১.০০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×