জন্মদিনে শুভকামনা পেতে কার না ভালো লাগে। আমিতো আমার বন্ধুদের বলেছি আমাকে উইশ করার জন্য। কারণ উইশ মানে দুয়া। আর আমি যে কারো কাছে দুয়া চাইতেই পারি। কিন্তু এবারই প্রথম ১৩১! টা শুভকামনায় জর্জরিত হয়েছি। দিনের বাকি এখনও ৫ ঘণ্টা। শুভকামনার সংখ্যা কততে দাঁড়াবে সেটা ক্যালক্যুলেটার দিয়ে হিসাব করতে হবে। ক্যালক্যুলেটার ছাড়া হিসাব করলে রোযা বাবাজীর চোখ রাঙ্গানি দেখতে হবে। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার বিশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেইসবুকের বদৌলতে। এতো এতো শুভকামনায় জর্জরিত করার জন্য আমি মার্ক ইলিয়ট(ইডিয়ট) জুকারবার্গকে ধন্যবাদ নাকি গালাগালিতে জর্জরিত করব সেটা আমার মস্তিষ্কের নিউরনে অনুরনিত হচ্ছে না।
এদিকে আবার সকালে বাবাকে বললাম, বাবা আমার মাত্র ২০০ টা টাকার প্রয়োজন। বাবা বললেন, বয়স ২০ হয়ে গেছে, আমাকে কি এখনও ২০ টাকা উপার্জন করে দিতে পেরেছিস? প্রতিদিন সকালে আমার ঘুম নষ্ট করে টাকা নিয়ে যাশ। কি আর করা? মুহুর্তের মধ্যে কাউকে খুশি করায় আমি ওস্তাদ। বাবাকে আশ্বস্ত করে বললাম - বাবা, চিন্তা কর না। যেদিন চাকরি শুরু করব সেদিন আপনাকে ব্ল্যাংক চেক দিয়ে বলব ইচ্ছে মত টাকার অঙ্কটা লিখে নিয়ে যান। বাবা খুশি হয়ে আমাকে ৩০০ টাকা দিলেন। বাবাও খুশ আমিও খুশ।
আমাকে যারা উইশ করেছেন কিংবা করবেন কিংবা করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে পারেননি, আমাকে উইশ করার জন্য আমি যে কতটা খুশি হয়েছি তাদের সবাইকে সে কথা কিভাবে বলব সেই কঠিন ভাষা আমার জানা নেই। তাই অতি সাধারণভাবেই জানাচ্ছি “অসংখ্য ধন্যবাদ”। দুয়া করবেন যাতে বাবাকে দেয়া কথা রাখতে পারি। আর জীবনে একজন খাঁটি বাংলাদেশই মুসলিম হতে পারি।
আর দুটো কথা -
সাবধান! ২০ বছর হয় দুনিয়াতে এসেছি, মেপে কথা বলবেন।
আর আমার বয়স যখন ২০ বছর ১ ঘণ্টা, টিক তখনই একটা ছবি তুলেছি। ভাল না লাগলেও দেখে নেবেন। আল্লাহ হাফিজ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৩৯