:#>
ঈদের মার্কেটে নতুন ড্রেস এসেছে। নাম "ঢিঙ্কা চিকা"। পোষাকটা কি ছেলেদের না মেয়েদের এই নিয়ে সংশয় বিদ্যমান ছিল। কারন পেপারে পড়লাম ড্রেসের নাম ঢিঙ্কা চিকা। ড্রেস বলতে ছেলে না মেয়ে বুঝায় বোঝা কঠিন। যেহেতু সালমান খানের সাথে ঢিঙ্কা চিকা নামটির মিল আছে তাই ধরে নিলাম ছেলেদের পোষাক। সন্দেহ সত্যি হয়েছে। এটা ছেলেদের পোষাক। ঢিঙ্কা চিকা নাকি একটি পাঞ্জাবীর নাম। সালমান খানের ঢিঙ্কা চিকা গানটাতে সালমান খান প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকায় অনেক কসরত করে কিন্তু না তো পকেট ছিড়ে না তো প্যান্ট খুলে এই ঢিঙ্কা চিকা পাঞ্জাবীতেও হয়ত সেরকম কোন রহস্য বিদ্যমান। হাত মনে হয় সারাক্ষন পকেটেই রাখতে হবে আর বলতে হবে ঢিঙ্কা চিকা ঢিঙ্কা চিকা হে হে হে হে। অথবা হতে পারে এই পাঞ্জাবী পড়ার মর মুখ দিয়ে আওয়াজ করতে হবে ঢিঙ্কা ঢিঙ্কা ঢিঙ্কা তারপর মারতে হবে চিকা। এই পাঞ্জাবীর অন্য ডিজাইনও থাকতে পারে। সেগুলার নাম কি? ঢিঙ্কা ইদুর? হইতে পারে সেটা পায়জামা। ঢিঙ্কা চিকা পাঞ্জাবীতে পকেট ধরে ঝাকি দিতে হয় আর ঢিঙ্কা ইদুর পায়জামা তে ফিতা ধরে- ঢিঙ্কা ইদুর ঢিঙ্কা ইদুর ঢিঙ্কা ইদুর ঢিঙ্কা ইদুর হে হে হে হে।
:!>
বলিউডের নামানুসারে ঈদ ফ্যাশন অবশ্য নতুন কিছুনা। এর আগে দেবদাস শাড়ি আর পার্বতী শাড়ির নাম শুনেছিলাম। পার্বতীর শাড়ি থাকতে পারে কিন্তু দেবদাস তো কোন কালে শাড়ি পড়ত না। তাহলে দেবদাস শাড়ি যে কোনটা!!
"মুন্নি বদনাম" নামে সালোয়ার কামিজ বের হইছে। আমাদের জাতীয় জীবনে সরকারী-আধা সরকারী কাজে যে সততা আর স্বচ্ছতার অভাব সেটা নাকি ঐ ড্রেসে পোষায় দেওয়া হয়েছে। কামিজ সততার সাথে ছোট এবং খুবই স্বচ্ছ। এই পোষাক পরিধান করলে মুন্নি না, যে পড়বে তারই নাকি বদনাম হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এর থেকে মজার একটা ঈদ ড্রেসে নাম শুনলাম- "এঞ্জেলিনা জোলী দ্যা সল্ট"। এটা নাকি সালোয়ার কামিজের নাম। সালোয়ার কামিজের নাম আঞ্জুমান আরা জলি হতে পারে এঞ্জিলোনা জোলী হবেনা, সে মনে হয়না কোন কালে ঐ জিনিষ পড়েছে। যাই হোক তাও মার্ডার সিনেমার কোন ড্রেস ঈদের মার্কেটে আসেনায় তাতেই রক্ষা। তবে শীলা কি জাওয়ানী আসছে।
:-<
ঈদের ড্রেস শখের একটা ব্যাপার। আশা আকাঙ্ক্ষারও ব্যাপার। মেয়েদের কাছে গুরুত্ব বেশি, ছেলেদেরো কম নয়। ১৯৯৪ সালে জাম্প কেডস প্রথম লাইট ওয়ালা জুতা বের করে। আমাদের বাসার সিস্টেম হল ঝামেলা আর ভীড় শুরু হওয়ার আগেই ঈদের শপিং শেষ করে ফেলা। তাই সেবার সমস্যা হল। আমি জুতা কিনার পর জাম্প কেডস তাদের লাইট ওয়ালা জুতা বের করল। ঈদের দিন সব ছেলেপেলের জুতায় লাইট জ্বলে আমারটা জ্বলেনা সেই তীব্র বেদনা নিয়ে আমাকে থাকতে হল। সেখান থেকে একটা ব্যাপার বুঝলাম। ঈদ যতই সকলের জন্য আনন্দের বার্তা বয়ে আনার কথা থাকুক তারপরেও ভেদাভেদ থাকে। এক ধরনের প্রতিযোগিতার ব্যাপার চলে আসে। কার পোষাকটা সবার থেকে ভাল হবে এই সূক্ষ প্রতিযোগিতা থাকে। এটা কাম্য নয় কিন্তু এটা ঘটমান বর্তমান।
ঈদের পাঞ্জাবী কিনেছি তবে সেটা ঢিঙ্কা চিকা কিনা জানিনা। পাঞ্জাবীর কোন বিশেষত্বের কারনে সেটাকে ঢিঙ্কা চিকা বলে তা না জানার কারনে এই সংশয়। তবে না হইলে ক্ষতি নাই। নিজেই নিজের পাঞ্জাবীকে একটা নাম দিয়া নিবনে।