আমাদের ফসল,ফল আসবাব পত্র ইত্যাদি যেসব পোকা নষ্ট করে তাকে আমরা অপকারি পোকা বলি।তেলাপোকা আমাদের আসবাব পত্র নষ্ট করে,মশা আমাদের কামড়ায় ও বিভিন্ন রোগ ছড়ায়,মাছি রোগ ছড়ায় ইত্যাদি ।এগুলো দমনের জন্য আমরা কীটনাশক এবং আরও অন্যান্য জিনিস দেই।কিন্তু একবারও কী ভেবে দেখি যে,এসব পোকা দমনের জন্য প্রাকৃতিক ভাবেই কোন প্রাণী আছে কী ? প্রথমত, লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে,অপকারি পোকার চেয়ে উপকারি পোকাই বেশী।১০০ প্রজাতি পোকার মধ্যে ৮০টি দেখা যাবে উপকারি ,আর বাকি ২০ টির মধ্যে ১০টি কিছুই নয়।উপকারিও নয় আবার অপকারিও নয়।তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ১০০ প্রজাতি পোকার মধ্যে মাত্র ১০টি প্রজাতি পোকা অপকারি।আর আরেকটি বিষয় যে আমাদের যে পোকা উপকার করে না সে পোকা কী এ জগতের জন্য অপকারি ? মশা আমাদের কে কামড়ায় কিন্তু ব্যাঙ এর কাছে মশা তো অনেক প্রিয়।আমি বলছি না যে মশার কামড় খেতে হবে কিন্তু এটা বলছি যে মশা ক্ষতিকর হলেও মশার ওপর তো নির্ভরশীল ব্যাঙ।আজকাল মশার কয়েল দেওয়াতে আমাদের নিজেদেরও ক্ষতি হচ্ছে কিন্তু যদি কিছু না দেওয়া হত তাহলে ব্যাঙও বিলুপ্ত হতো না আবার মশারও উপদ্রব হতো না আমাদরেও ক্ষতি হতো না।কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে কয়েল দিতে হয়।কয়েল না দিতে চাইলে সন্ধ্যার পর পরই দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। কিন্তু আগে তো দরজা জানালা ছিলোই না।আগে মানুষ কেমন ভাবে জীবন জাপন করতো ? হ্যা এটা মানি যে, আগে ম্যালেরিয়া জ্বরে প্রচুর মানুষ মারা যেত।গ্রাম ফাঁকা হয়ে যেত।কিন্তু এখন চিকিৎসার কারণে ম্যালেরিয়া জ্বর সাধারণ জ্বরের মতো।কিন্তু এখনও তো ম্যালেরিয়া মশা রয়েছে।মশা দমনের জন্য প্রাকৃতিক ভাবে রয়েছে ফড়িং,ব্যাঙ,বিভিন্ন প্রকার মাছ এবং আরও কত কী।কিন্তু এগুলোর বাসস্থান কমে যাওয়াতে উপকারি প্রাণী কমে যাচ্ছে।একটি পূর্ণাঙ্গ পাঁচচোখা মাছ(বেচি মাছ) কমপক্ষে ২০ টির ওপরে মশার লার্ভা খেতে পারে।কিন্তু পাঁচচোখা মাছের বাসস্থান ধ্বংস করছে মানুষ।মশা থাকে ময়লা বদ্ধ পানিতে।কিন্তু পাঁচচোখা মাছ থাকে পরিষ্কার-স্বচ্ছ পানিতে।ময়লা পানির মশা রোগ বেশী ছড়ায়।কারণ ময়লা পানিতে জীবানু বেশী থাকে।মশার বাসস্থান মানুষ আরও বাড়াচ্ছে।কিন্তু উপকারি পোকা ফড়িং,উপকারি মাছ পাঁচচোখার বাসস্থানে মানুষ আজকে নির্বিচারে বসতবাড়ি তৈরী করছে।এই বসত বাড়ির পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যাবস্থা থাকে না।এই পচা পানিতে মশা ডিম পাড়ে সেই মশার থেকে ছড়ায় ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গু এবং আরও ভয়ংকর জ্বর।সেই মশাকে দমন করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার বিষ দিয়ে।যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর।আমরা কীটনাশক,কয়েল,রাসায়নিক সার ইত্যাদি দেই কিন্তু একবারও ভেবে দেখি না যে এগুলো আমাদের দেহের জন্যই ক্ষতিকর।কয়েল,অ্যারোসল এগুলো বাধ্য হয়ে এখন দিতে হয় কিন্তু রাসায়নকি সার, কীটনাশক এগুলো অনেক সময় অকারণেও দেওয়া হয়।আসলে অপকারি পোকার জন্য যে সব বিষ দেওয়া হয় সেগুলো আসলে অপকারি পোকা দমন হয় নাকি উপকারি পোকা ধ্বংস হয় সেটিও দেখা দরকার আছে।ইতোমধ্যে সেটার প্রমাণও পাওয়া গেছে।যেমনঃআগে প্রচুর ব্যাঙ পাওয়া যেত কিন্তু এখন কোন ব্যাঙ পাওয়া যায় না কারণ ব্যাঙের জন্য দরকার পানি সে পানি তো নাই আর থাকলেও সেটা বিষাক্ত।সেই পানি মশার উপযোগি।মশার বাসস্থান হলো ময়লা বদ্ধ পানি।আর এটা মানুষেরই তৈরী।কয়েল,কীটনাশক,রাসায়নিক সার এগুলো অবশেষে আমাদেরই ক্ষতি করে।আর কিছু কিছু অপকারি পোকা আছে যেগুলো পরিষ্কার পরচ্ছন্ন ঘরবাড়ি থাকলে এমনি হয় না।সেগুলোর জন্য আলাদা করে এসব বিষ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।যেমনঃছারপোকা,তেলাপোকা,ফ্লি ইত্যাদি।শেষ কথা হলো এসব রাসায়নিক সার কীটনাশক আমাদরেই ক্ষতি করে।কয়েল বাধ্য হয়ে দিতে হয় । এগুলো জিনিস বাধ্য হয় না দেওয়া ছাড়া অন্য সময় অকারণে দেওয়া ঠিক নয়।কীটনাশক ও রাসায়নকি সার একদম অকারণে দেওয়া হয়।যে জন্য দেওয়া হয় সে সংকট প্রাকৃতিক ভাবে এখনও মটোনো সম্ভব।মশার সমস্যা প্রাকৃতিক ভাবে মেটানো সম্ভব ছিল।কিন্তু সে পরিস্থিতি মানুষ আর রাখে নাই।তো এখন একটাই উপায় হলো ফড়িং,ব্যাঙ ও আরও প্রাণীকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো,পরিষ্কার জলভুমি রাখা ও বদ্ধ ময়লা পানিকে পরিষ্কার করা।তাহলে এক সময় যেয়ে আর কয়েল এরও প্রয়োজন হবে না।আমরা আমাদের নিজেদের প্রয়োজনের জন্য রাসায়নিক সার,কীটনাশক ইত্যাদি ব্যবহার করবো না ও কয়েল জাতীয় জিনিস বাধ্য হওয়া ছাড়া ব্যবহার করবো না।অন্য উপায় থাকলে সে উপায়ই ব্যবহার করবো।কারণ অবশেষে এগুলো আমাদেরই ক্ষতি করে ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে।
আলোচিত ব্লগ
রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।
আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!
এই... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঁচতে হয় নিজের কাছে!
চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু। লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিউ ইয়র্কের পথে.... ২
Almost at half distance, on flight CX830.
পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন
সামুতে আপনার হিট কত?
প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন