somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রীকৃষ্ঞের শ্বাশ্বত ভাষা

২২ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গীতা কুরৰেত্র যুদ্ধের অমর সৃষ্টি! শ্রম্নতি, বেদের নির্যাস শ্রীকৃষ্ণ মুখ কমল নিঃসৃত পবিত্র গীতা। কুরৰেত্র যুদ্ধে বিষাদগ্রস্ত মোহাবিষ্ট সেনাপতি অজর্ন ও সারথি শ্রীকৃষ্ণের কথোপকথনই গীতা।
পণ্ডিত প্রবর মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর ভাষায়-মহাভারত একটি নির্মল পদ্মফুল; গীতা সেই পদ্মের সুতীব্র সৌরভ। সত্যিই তাই, গীতা মানব-জীবনের এক মহাকাব্য। এক সামগ্রিক জীবন-দর্শন। তত্ত্বময়ী গীতার আবির্ভাব সংগ্রামমুখর জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে। অর্জনের বিষাদ, মোহ, সুখ-দুঃখ শাশ্বত মানুষেরই মোহ, সুখ-দুঃখের প্রতিচ্ছবি।
কুরুৰেত্র সমরে আত্মীয়স্বজন, গুরুজন, বন্ধু-বান্ধবকে দেখে অজর্ুন যুদ্ধে অপারগতা প্রকাশ করলে রথের সারথি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অজর্ুনকে বলেছিলেন দুর্বলতা ত্যাগ করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে। এগিয়ে চলাই জীবনের লৰণ। স্থবিরতা মৃতু্যর শামিল। বীর সাহসীরাই অভীষ্ট লৰ্যে উপনীত হতে পারে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, মানুষ কর্ম না করে ৰণকালও থাকতে পারে না। কারণ, প্রকৃতির প্রভাবেই মানুষ কাজে প্রবৃত্ত হয়। মন, বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয়াদিই প্রকৃতির গুণসমূহ। এরাই কর্ম করে। সাংখ্য মতে জগতের অপরিচ্ছিন্ন নির্বিশেষ মূল উপাদানই প্রকৃতি অর্থাৎ পঞ্চ মহত্তত্ত্ব। আর বেদানত্ম অনুসারে পরম পুরম্নষের মায়াশক্তি বা সৃৃষ্টিশক্তিই প্রকৃতি। এই প্রকৃতি আবার সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃরূপে ত্রিগুণময়ী বিষয়ের সঙ্গে মন, বুদ্ধি, ইন্দ্রিয়াদির সংযোগেই কর্মের উৎপত্তি।
আমাদের দেহমধ্যস্থিত এই ষড়রিপুসমূহই যেমন কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ প্রভৃতি আমাদের কর্মের প্রেরণাদায়ী। কর্ম আমাদের দেহকে কর্মৰম সচল রাখে। জগতের বিষয়ের প্রতি অনুরাগ জন্মায়। তবে এর আধিক্য আমাদের ইপ্সিত লৰ্যের বাধাস্বরূপ। তা নিত্যবস্তু বা সত্যবস্তুকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এটাই মোহ, অজ্ঞানতা বা মায়া, যা অজর্ুনের বেলায় ঘটেছিল। তাই তিনি 'আমি যুদ্ধ করব না' বলে সিদ্ধানত্ম নিয়েছিলেন। তখন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে আত্মতত্ত্বের উপদেশ দিলেন। প্রকৃত গীতার শুরম্ন এখানেই। শ্রী ভগবান বললেন_ যাদের জন্য শোক করার কোন কারণ নেই, তুমি তাদের জন্য বৃথাই শোক করছ। প্রকৃত জ্ঞানীরা মৃত বা জীবিত কারও জন্য শোক করেন না। জীবের এই দেহে বাল্য, যৌবন ও বার্ধক্যকালের গতিতে উপস্থিত হয়। তেমনি কালের গতিতে দেহাসত্মর প্রাপ্তিও হয়। জ্ঞানীগণ তাতে মোহগ্রসত্ম হন না। আত্মা, নিত্য, অবিনাশী, এই আত্মা কখনও জন্মেন না বা মরেন না। ইনি জন্ম রহিত, নিত্য ও শাশ্বত। মানুষ যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নূতন বস্ত্র পরিধান করে আত্মাও অনুরূপ জীর্ণ শরীর পরিত্যাগ করে অন্য নূতন শরীর পরিগ্রহ করে। এই আত্মা অচ্ছেদ্য, অদাহ্য, অক্লেদ্য, অশোষ্য। এই ধর্মযুদ্ধ হলো তোমার স্বধর্ম পালন। তুমি যদি যুদ্ধ না কর তবে মহারথীগণ ও তোমার শত্রম্নরা মনে করবেন যে তুমি ভয়ে যুদ্ধে বিরত হয়েছে। তোমার সম্মানহানি হবে। সুতরাং সুখ-দুঃখ, লাভ-অলাভ, জয়-পরাজয় সমান জ্ঞান করে তুমি যুদ্ধে প্রবৃত্ত হও। তুমি তাহলে পাপভাগী হবে না। শ্রীভগবান কর্মযোগের ব্যাখ্যায় বললেন_ তুমি যদি রাজ্যলাভ কামনার বশবতর্ী হয়ে যুদ্ধ কর তবে তোমাকে কর্মফল অবশ্যই ভোগ করতে হবে। কিন্তু ফলকামনা ত্যাগ করে লাভালাভ, সিদ্ধি-অসিদ্ধি তুল্য জ্ঞান করে কর্তব্যবোধে যুদ্ধ করলে পাপভাগী হবে না। এই সমত্বই যোগ। এরূপ সমত্ব বুদ্ধিরূপ কর্মই নিষ্কাম কর্মযোগ।
দ্বাপর যুগের শেষভাগে হিন্দু সমাজে জ্ঞান ও কর্ম নিয়ে জ্ঞানবাদী ও কর্মবাদীদের মধ্যে দারম্নণ-বিরোধ বেধেছিল। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর গীতায় এই দুই দার্শনিক ভাবের মধ্যে এক অপরূপ সমন্বয় সাধন করলেন। ফলে জ্ঞানমার্গ ও কর্মমার্গের মহামিলনে ভারতীয় দর্শনে এক যুগানত্মকারী দার্শনিক তত্ত্বের উদয় হলো। এই সমন্বয়ী দার্শনিক তত্ত্বই গীতার কর্মযোগ। শ্রীকৃষ্ণের মতে ফলতৃষ্ণাবিহীন কর্মই কর্মযোগ। কর্মযোগ বলতে আমরা বুঝি কর্মফল ত্যাগ, কর্তৃত্বাভিমান ত্যাগ এবং ঈশ্বরে কর্ম সমর্পণ। গীতার প্রথম ছয় অধ্যায়ই কর্মকা-। তবে তৃতীয় অধ্যায়ের নাম কর্মযোগ। অন্যান্য পাঁচ অধ্যায়েও কর্মযোগের তত্ত্বের দেখা মেলে। প্রথম অধ্যায়ে অজর্ুন মোহবশত যুদ্ধ করতে অস্বীকার করলে শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে কর্মযোগে উৎসাহিত করেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ে সাংখ্যা দর্শন বলতে আমরা তত্ত্বজ্ঞান বুঝি। এটাই জ্ঞানমার্গ। এটাকেই সন্ন্যাস বা নিবৃত্তি মার্গও বলা হয়। শ্রীকৃষ্ণ যে কর্মযোগের কথা বলেছেন তা হলো নিষ্কাম কর্মযোগ। তৃতীয় অধ্যায়ই হলো কর্মযোগ। আমরা সর্বদাই কর্ম করে থাকি। কোন অবস্থায়ই কর্মহীন থাকতে পারি না। তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন_ মানুষ কর্ম না করে ৰণকালও থাকতে পারে না কারণ প্রকৃতির প্রভাবেই মানুষ কাজে প্রবৃত্ত হয়। আমাদের দেহমধ্যে চেতন ও অবচেতন মনের অধিষ্ঠান। দেহকে ঘিরে দুটো মন সর্বদাই ক্রিয়া করে। ঘুমের মধ্যেও আমাদের দেহ ঘড়ি সক্রিয় থাকে। আমাদের মন, বৃদ্ধি ও অহংকার দেহকে কেন্দ্র করেই দেহের মধ্যে ও বাইরে ক্রিয়াশীল।
গীতার কর্ম কর্মবিমুখ বৈরাগ্য নয়, জ্ঞান- কর্মের মধুর মিলন তা রবীন্দ্রনাথের কবিতায় সুন্দর মূর্ত হয়ে উঠেছে।
'বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়,
অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময়
লভিব মুক্তির স্বাদ।'
লোকে নানা কামনার বশবতর্ী হয়েই কর্ম করে থাকে। কামনা সকল অনিষ্টের মূল কারণ। তবে নিষ্কামভাবে কর্ম সাধনে ঈপ্সিত লৰ্যে উপনীত হওয়া যায়। নিষ্কাম কর্মের তিনটি ভাগ
(১) সর্বকর্ম ঈশ্বরে সমর্পণ
(২) ফলতৃষ্ণা বর্জন
(৩) কর্তৃত্বাভিমান ত্যাগ।
এই নিষ্কাম কর্মযোগই গীতার শ্রেষ্ঠ বাণী। কর্মত্যাগ গীতার উপদেশ নয়_ কর্মে অনাসক্তি অর্থাৎ কর্মফল ত্যাগই গীতার অমর বাণী।
জ্ঞানযোগে দেখতে পাই শ্রী ভগবান অজর্ুনকে অবতার তত্ত্বের ব্যাখ্যা করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ অনিবশ্বর, জন্মরহিত এবং সর্বভূতের ঈশ্বর হয়েও স্বীয় প্রকৃতিতে অধিষ্ঠান করে আত্মমায়ায় আবির্ভূত হন। যখনই ধর্মের গস্নানি ও অধর্মের প্রাদুর্ভাব ঘটে তখনই ঈশ্বর আবিভর্ূত হন। তাঁর এই দিব্য জন্ম ও কর্ম সম্বন্ধে যিনি অবগত আছেন তার আর জন্ম হয় না। তিনি মুক্তি লাভ করেন।
সর্বজীব এবং আমার আত্মা এক_ এই বোধই জ্ঞান। জ্ঞানের আলোতে শোক, মোহ, পাপ সব দূর হয়। কর্মবন্ধন নাশ হয়। গুরম্নর উপদেশে এই জ্ঞান লাভ করা যায়। তারপর সাধনা অর্থাৎ নিষ্কাম কর্মদ্বারা তা লাভ করা যায়। বিশ্বাস ধর্মের মূল। বিশ্বাস জ্ঞানেরও ভিত্তি। বিশ্বাস ছাড়া জ্ঞান লাভ হয় না। শ্রদ্ধাবান, জিতেন্দ্রিয় ব্যক্তিই জ্ঞান লাভের অধিকারী। জ্ঞানযোগী ঈশ্বরে একাগ্রচিত্ত হয়ে নিষ্কাম কর্মের দ্বারা সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেন।
কামনার নিবৃত্তি না হওয়া পর্যনত্ম মানুষ জন্মলাভ করতেই থাকে। কর্মফল ত্যাগ করলে মানুষ ব্রহ্মভাবপ্রাপ্ত হয়। তখন তার সর্বভূতে সমদর্শন ও বিত্তের প্রসন্নতা লাভ হয়। শরণাগতি মোৰলাভের সর্বশ্রেষ্ঠ পথ। কায়মনোবাক্যে ভগবানের শরণ নিতে পারলেই মোৰলাভ বা ভগবৎপ্রাপ্তি হয়ে থাকে। গীতার শেষ অধ্যায়ে বা মোৰযোগে শ্রীকৃষ্ণ শেষ উপদেশে বলেছেন_ "শাস্ত্রে মুক্তি লাভের নানা পথ রয়েছে। নানা পথ ও মতের বিতর্কে মোহিত না হয়ে তুমি আমার শরণ নাও, আমি তোমাকে সকল পাপ থেকে মুক্ত করব।"
ভারতীয় দর্শন অনুসারে জীবনকে সংযত, সুসংহত ও ভগবদমুখী করতেই জীবনের সার্থকতা। এই ৰণস্থায়ী সীমিত নশ্বর জীবনকে অতিক্রম করে মহান, শাশ্বত এবং অসীম, অননত্ম জীবনকে লাভ করা যায়। গীতা আমাদের সে পথ প্রদর্শক।
আজ বিশ্বজগতে যুদ্ধ, অশানত্মি ও অসাম্যের বিভীষিকা। তাই আজ শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথিতে আমাদের প্রার্থনা জগতের সব অন্যায় অধর্মের বিরম্নদ্ধে তাঁর পাঞ্চজন্য আবার বেজে উঠুক।
লেখক : সুব্রতা রায় ত্রিবেদী। সূত্র # দৈনিক জনকণ্ঠ।

৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×