somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিদ্রাহীনতা: বাঁচার উপায় কি?

২২ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যে কখনো নিদ্রাহীনতায় ভোগে নাই। এটি নিঃসন্দেহে একটি যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা যা ভুক্তভোগীরাই ভালো বলতে পারবেন।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন সুস্বাস্থের জন্য কমপক্ষে ৫-৬ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কেউ কেউ কম ঘুমিয়েও ভালো থাকতে পারেন আবার কারো ঘুম আবার খুব বেশি। এই বেশি ঘুমানো কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকার।
এবার দেখে নেয়া যাক এর ক্ষতিকর দিকগুলো :
>> বিষন্নতা বা উদ্বেগ গ্রাস করে।
>> অলসতা কোনো কাজ করতে দিতে চায় না।
>> মেজাজ খিটখিটে হয়
>> ধৈর্য্যর অভাব দেখা দেয়।
>> কাজে মন বসে না।
উল্লেখিত কারণগুলো কিন্তু একটি মানুষের কর্মক্ষমতা অনেকাংশই হ্রাস করে যা আমরা ঠিক অনুধাবন করতে পারি না। অন্যদিকে যারা সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘুমিয়ে অভ্যস্ত তাদের জীবন যাত্রায়ও অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন-
>> স্বাভাবিকভাবেই তারা হোন কর্মঠ।
>> উচ্চাকাঙ্খা থাকে যা তাকে উপরে তুলতে সহায়তা করে।
>> আত্মতৃপ্তি তার জীবনকে সুখী ও সমৃদ্দ করতে সহায়তা করে।
>> এরা অধিক মাত্রায় বন্ধুবৎসল হয়ে থাকেন।
>> কাজে কর্মে স্বতষ্ফূর্ততা থাকে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো অনিদ্রা কেন হয় ? অনিদ্রার নানা রকম কারণ রয়েছে।
>> সংসারিক ঝামেলা
>> শারীরিক ব্যথা
>> হাঁপানি
>> শ্বাসকষ্ট
>> পুরনো কাশি
>> আবহওয়ার পরিবর্তন
>> অধিক মাত্রায় চা কফি পান
>> দিনে বেশি ঘুম
>> সিগারেট সেবন
>> যে-কোনো বেভারেজ সেবন
>> ব্যথা নাশক টেবলেট
>> উচ্চ রক্তচাপ।
অনেকে আমরা ঘুমের ঔষধ খেয়ে এ সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে চাই যা এক অর্থে আমাদের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে। ঔষধ খেলে শরীরের রক্ত কণিকা তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। একটা পর্যায়ে তা আরো আপগ্রেড করতে হবে। যেমন ধরুন : আপনি ঘুমের জন্য রাতে ১টা করে হিসটাসিন টেবলেট খেতে শুরু করলেন। একটা পর্যায়ে আপনার শরীর কিন্তু আর ১টা হিসটাসিনে সন্তুষ্ট থাকবে না। সে চাইবে আরো আপনিও আপনার দেহের দাস হয়ে আরো বেশি করে হিস্টাসিন খেতে শুরু করলেন যার ফলাফল আর যাই হোক পজিটিভ কিছু হবে না। অথচ একটু চেষ্টা করলে আপনি নিজেই কিন্তু পারেন নিদ্রার সাগরে ডুব দিতে। কিছু অসুখ আছে যেমন উচ্চ রক্তচাপ, খুশখুশে কাশি, শারীরিক ব্যথা কিংবা হাঁপানি যেগুলো হলে অতি অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া মনোস্তাত্বিক কারণেই কিন্তু অনিদ্রা বেশি হয়। এসব থেকে মুক্ত থাকতে হলে আপনি নিুলিখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
>> ঘুমতে যাবার আগে মুক্ত বাতাসে ২০-৩০ মিনিট হাটুন।
>> সম্ভব হলে হালকা গরম পানিতে শরীর মুছতে পারেন।
>> যোগ ব্যায়াম করে দেখুন। এতে মন ও শরীরের মাঝে এক অদ্ভুত সামঞ্জস্য তৈরি হবে।
>> জোরে জোরে শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এ প্রক্রিয়া ৫-১০ মিনিট করতে পারেন।
>> মেডিটেশন করুন
>> একটি বই নিয়ে বিছানায় যেতে পারেন
>> ক্যাসেট প্লেয়ার লো ভলিউমে ছেড়ে দিন। তবে ভুলেও ওয়াকম্যান কানে লাগাবেন না।
>> ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খান। এটা কমপক্ষে আধঘণ্টা আগে করুন।
>> সন্ধ্যার পর চা কফি পান করা বাদ দিন।
>> অতিরিক্ত ধূমপান বা এলকোহল অনিদ্রার কারণ হলে তা ছাড়–ন। একবারে নয়, আস্তে আস্তে।
>> ঘুমুতে যেয়ে আগামীকালের কাজের লিস্ট করতে থাকুন।
>> ঘুমাবার কক্ষে নীল রঙের ডিমলাইট জ্বালান। এটা আরামপ্রদ পরিবেশ তৈরি করবে।
>> রাতে দয়া করে লোভে পড়ে ভুড়িভোজ করবেন না।
>> ক্যলসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ শাক সবজি খান।
>> সর্বোপরি কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ বা মনোমালিন্য এড়িয়ে চলুন।
ভাবছেন এতসব কিভাবে মেনে চলবেন ? উপরের অংশগুলো আবার পড়ে দেখুন। এক নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কোন কাজটি আপনি করতে অক্ষম। স্বাভাবিক সব অভ্যাস একদিনে হবে না। আস্তে আস্তে যখন দেখবেন ভালো ঘুম হচ্ছে তখন আপনি নিজেই দেখবেন জীবনটা কত অর্থবহ। প্রতিটি সকাল আপনার জন্য বয়ে আনবে নতুন দিনের সুবাস। প্রিয় পাঠক, একবারও কি ইচ্ছে হয় না সে স্বাদ আস্বাদনের ?

সূত্রঃনিদ্রাহীনতা: বাঁচার উপায় কি? নিদ্রাহীনতা: বাঁচার উপায় কি?
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×