somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নাওেয়দ
মার্কেটিং মানে বিক্রয় করার পায়তারা না, মার্কেটিং মানে মানুষকে বোকা বানিয়ে পণ্য ধরিয়ে দেয়া না, মার্কেটিং মানে মডেলদের সাথে একাকী সময় কাটানো না, মার্কেটিং স্রেফ একটা সত্য গল্পের ব্যাসার্ধ নিয়ে প্রয়োজনীয়তার মাপে ভোক্তাকে কেন্দ্র করে একটি বৃত্ত তৈরী করা।

আবোল তাবোল!

২১ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুকুমার রায়ের ছড়া থেকে কিছুটা ইন্সপিরেশন পেয়েছি বটে তবে এই "আবোল তাবোল" কয়েকজন যুবকের শিল্পের নন-কমার্শিয়াল জায়গাকে বাঁচিয়ে রাখার একটি ছোট্ট প্রয়াস।

গত বছর এমন সময় আমি আর নিপুন চিন্তা করছিলাম একটা খোলা যায়গায় ছবির এক্সিবিশন করা যায় কিনা। বুয়েটের আর্কি অন্জনও এক কথায় রাজি হয়ে যায়। সেই থেকেই প্ল্যানিং শুরু।

সবাই গ্যালারীতে যেভাবে ক্যানভাসগুলোকে আলো আধারীর খেলায় সাজিয়ে রাখে, তাতে অনেক সাধারণ ছবিও কিনতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সবাই তো আর অত টাকা খরচ করে এক্সিবিশন করতে পারে না। খরচের খাতগুলোই দেখুন না:

১। ছবি প্রিন্ট
২। ফ্রেম বাঁধাই
৩। ব্যানার
৪। পোস্টার
৫। গ্যালারীর ভাড়া
৬। ইনভিটেশন কার্ড প্রিন্ট করা
৭। ছবি টাঙানো
৮। লাইট সেটাপ
৯। প্রেস রিলিজের জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ এবং নাস্তা

এছাড়াও একগাদা প্রিপারেশন তো আছেই...! এত ঝক্কি ঝামেলার পর যদি আপনার পর্তাটাও না ওঠে, তবে তো সর্বনাশ!!

"আবোল-তাবোল" বিশ্বাস করে, "দশে মিলে করি কাজ..."। এই তত্ত্বে থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু করি গত বছর ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখে। ঢাকা ভার্সিটির মল চত্বরে আমাদের প্রথম আবোল তাবোলে অংশ নেয় প্রায় ৫০ জন - কেউ স্কেচ, কেউ পেইন্টিং, কেউ কবিতা, কেউ ফটোগ্রাফ - শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যমকে খোলা আকাশর নিচে সবার জন্য উন্মুক্ত প্রদর্শনীই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। এখানে ছবি ঝুলানো হয় গাছের সারিতে নাইলন স্ট্রিং ঝুলিয়ে দিয়ে।

একটা ভাল কাজ শুরু করলে কিভাবে যে এত সাপোর্ট চলে আসে, আজ পর্যন্ত আমি তা কোনও হিসাবে মিলাতে পারি নাই। তা না হলে, হুট করেই সুবর্না আর তাসরিনের মত ট্যালেন্টদের সাথে কেনই বা ঠিক সেই সময়েই পরিচয় হবে! অন্জনের ডাকে বুয়েটের এতজন চলে আসল, আমি টেরই পেলাম না কিভাবে সব ম্যানেজ হচ্ছে। শীতার্তদের জন্য যত টাকা মানুষ দান করেছিল তার পুরোটাই দিয়ে দেয়া হয় শীতবস্ত্র বিতরণে।

এক্সিবিশনের পর আরও অনেকেই "আবোল তাবোল-এ যোগ দেয়। মানুষের মাঝে এই বিপূল উৎসাহ দেখেই আমরা দ্বিতীয়বার করার উদ্যোগ নেই। সেবার কলাবাগান মাঠে যখন নানী-নাতি একসঙ্গেই ছবি আঁকতে বসল, তখন মনে হ'ল এর চেয়ে আর কি বেশী আমরা পেতে পারি। শিল্প দুই জেনারেশনকে এক টেবিলে বসাতে পেরেছে, এই তো প্রাপ্তি। কোটি টাকা দিয়েও কিনতে পারবে না কেউ এই আনন্দ।

এর পর আমরা গুলশান লেডিস পার্কে (কেউ কেউ বলে ট্যান্ক পার্ক) তৃতীয়বারের মত প্রদর্শনী করি। এবার কিছু ছবি বিক্রিও হলো। আমাদের মত আরও নতুন কিছু পাগলও পেলাম। এখন হাতে আমাদের প্রায় ২০০ ছবি চলে আসছে। এই শীতকাল আসলেই আবার নামব মাঠে। চাইলে আপনিও আসতে পারেন। যে কোনও রকম ছবি দিলেই চলবে।

আমরা ভাবছিলাম, বৃষ্টির ভেতর পলিথিনে ছবি এঁকে কোথাও পরবর্তী প্রদর্শনী করলে কেমন হয়?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৫১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×