যারা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে আজীবন জড়িয়ে তাদের আর্থিক অনটনে ভুগতে থাকা দেখে সত্যিই কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। এস এম মহসীন ভাইয়ের সাথে বেশ কিছু কাজ করেছি আমি। কয়েকটা নাটকে তার সাথে কাজ করতে গিয়ে পরিচয়। নামাজী মানুষ। শ্যূটিং-এর ফাঁকেও নামাজ পড়েন। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারেন যে কেউ। মানুষ হিসেবে খুবই সাদামাটা। কিন্তু এতোটা সাদামাটা হলে আবার মনের কোনে প্রশ্ন জাগে উনি তো অনেক বড় একজন নাট্যকার, অভিনেতা ও শিক্ষক তাহলে তাঁর পায়ে কম দামী প্লাস্টিকের স্যান্ডেল থাকবে কেন? আজ দুপুরেই তার সাথে দেখা লিফটে্। ছালাম দিলাম। বললাম- কেমন আছেন? কত দিন কথা হয় না আপনার সাথে। সব ঠিকঠাক চলছে তো? বললেন- ভাইরে চলত, এখন আর চলছে না। সবাই ডিজিটাল হতে পারছে আমি তো ভাই পারছি না। বললাম- কেন? দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন- বিভিন্ন মানুষের কাছে বেশকিছু টাকা পড়ে আছে। এই বয়সে ঘুরে ঘুরে টাকা উদ্ধার করতে হচ্ছে। শুনে বাকরুদ্ধ হলাম। মনে পড়ে গেল আমাদেও প্রিয় পপগুরু আজম খানকেও ঠিক এইভাবে আয়োজকগণ ঠকিয়েছেন। বলেছেন- গুরু আপনাকে টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করে অপমান করতে চাই না। তাই গুরুর চরণে এই সামাণ্য হাদিয়া (?!)। অতো বড়ো মানুষরা হয়তো লোকলজ্জার কারণে টাকা চাইতে পারেন না কিন্তু যারা আয়োজক বা প্রযোজক বা পরিচালক বা সঞ্চালক তাদেও কাছে একটাই কথা বলতে চাই ভাইওে এই মানুষগুলোকে বেঁচে থাকতে মূল্যায়ন করতে পারছেন না। কত বড় একজন নাট্যকার এই এস এম মহসীন তা কেউ কি জানেন? রেডিও’র প্রায় সবক’টি নাটকের নাট্যকার ও অভিনেতা এই মানুষটি। কিছু দিন আগে রেডিও’র প্রথম উপস্থাপিকা হেনা কবীর চলে গেলেন এই পৃথিবী ছেড়ে। খুব কি মাঝারি করেও কোন খবর এসেছে তার জন্য কোন প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায়। অথচ একজন কিংবদন্তী ছিলেন। এখন তো ঘটা করে কিংবদন্তী খুঁজছি। অথচ হাতের কাছেই এই সব এস এম মহসীনের মতো কিংবদন্তীরা লজ্জায়, অভিমানে আত্মগোপনে আছেন সেই খবর কেউ রাখি না। কি হবে এই জাতিকে দিয়ে? হুমায়ূন ফরীদি তার এক লেখায় কিছুদিন আগে লিখেছেন তার এই ক্ষোভের কথা। তাঁর এক মুক্তিযোদ্ধা বন্ধু নাকি দেশের বাইরে থাকেন। ফরীদি যখন তাকে বাংলাদেশে আসার জন্য বললেন তখন ঐ বন্ধুটি অনেক অভিমানে বলেছিলেন- বন্ধু, দেশটাকে তো স্বাধীন করেছিলাম লুটেপুটে খেয়ে ফেলার জন্য নয়। নতুন করে গড়বার জন্য। যেখানে লুটেপুটে খাওয়ার ধুম পড়েছে সেখানে তো আর পবিত্র মুক্তিযোদ্ধার শরীর-মন কোন কিছুই থাকতে পারে না। এই পবিত্র আত্মা পরবাসী হয়েছে বড্ড ক্ষোভে আর যন্ত্রণায়! যথার্থই বলেছেন ফরীদি’র ঐ বন্ধুটি। ভাই, বন্ধু, বোনেরা আসুন না এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। আমরা কি আবার নতুন করে শুরু করতে পারি না? অনেক ঝড় ঝঞ্ঝায় সবকিছু হারিয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানহীন মানুষও তো বহু কষ্ট বুকে বেঁধে স্বপ্ন ফিরে পাওয়ার আশায় নতুন করে শুরু করে তার যাত্রা গুটিগুটি পায়ে। আমাদের সব আছে, এখনো সবকিছু হারিয়ে যায়নি, আমরা কেন পারবো না সেই গানের মতো করে বলতে- নোঙ্গর তোলো তোলো/ সময় যে হলো হলো/ নোঙ্গর তোলো তোলো।
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?
,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন